আব্দুল আজিজ, তিতাস [কুমিল্লা] প্রতিনিধি : ইতিহাস বিধৌত স্মরণকালের কালো অধ্যায় ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট। এই দিনে হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সপরিবারে নিষ্ঠুর ঘাতকের হাতে নিহত হন। প্রতি বছর গভীর শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায় ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট নিহতদের স্মরণ করে আসছে বাঙালি জাতি। ওই দিন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয়। পালন করা করা নানা কর্মসূচির। কুমিল্লার তিতাস ক্লাব যথাযোগ্য মর্যাদা এবং ভাব-গম্ভীর পরিবেশে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭তম শাহাদাৎ বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস পালন করেছে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কুমিল্লা-২ (হোমনা-তিতাস) আসনের সংসদ সদস্য সেলিমা আহমাদ মেরী।
এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন ভিটিকান্দি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সাংবাদিক বাবুল আহমেদ, ভিটিকান্দি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ওমর ফারুক, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. ফারুক সরকার, ইউপি সদস্য জামাল হোসেন, অলেক মিয়া, ভিটিকান্দি ইউনিয়ন যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক মো. শামীম আহমেদ, মো. ইব্রাহীম খলিলসহ স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরা।
ওই দিন তিতাস ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও সমাজসেবক মুহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন পলাশ আয়োজনে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল এবং কাঙ্গালী ভোজের আয়োজন করা হয়েছে। প্রধান অতিথি সেলিমা আহমাদ মেরী এমপি বলেন, ‘১৯৭৫ সালের এই দিনে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নির্মমভাবে সপরিবারে হত্যা করা হয়েছিল। হত্যাকারীদের বিচার হয়েছে, কিন্তু যারা হত্যাকান্ডের প্রধান কুশীলব, তাদের বিচার হয়নি। বঙ্গবন্ধুর যেসব খুনি বিদেশে পালিয়ে আছে, তাদেরকে দেশে ফিরিয়ে এনে তাদের বিচার করতে হবে।’
আলোচনা অনুষ্ঠানে তিতাস ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মুহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন পলাশ সকল শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করে বলেন, ‘আমরা জাতীয় শোককে শক্তিতে রূপান্তরিত করে বঙ্গবন্ধুর আদর্শের পথে যুব সমাজের মাধ্যমে দেশকে এগিয়ে নিতে যাব।’ এই জন্য তিনি সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।
দেশকণ্ঠ/আসো