কালীগঞ্জ (গাজীপুর) সংবাদাতা : গাজীপুর জেলার কালীগঞ্জের কৃতি সস্তান কালীগঞ্জ মহিলা ডিগ্রী কলেজের সফল প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ মু. নাজমুল ইসলাম। তিনি একজন শিক্ষক, সমাজসেবক এবং সফল উদ্যোক্তা।
অধ্যক্ষ মু.নাজমুল ইসলাম ১৯৮৬ সালে ঐতিহ্যবাহী কালীগঞ্জ আর আর এন পাইলট সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে কৃতিত্বের সাথে মেট্রিক পাশ করেন। ১৯৮৮ সালে কালীগঞ্জ শ্রমিক কলেজ থেকে কৃতিত্বের সাথে উচ্চ মাধ্যমিক শেষ করে ভর্তি হন কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে। তিনি কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যাল থেকে বিবিএস (অনার্স), এমবিএস(ব্যবস্থাপনা) কৃতিত্বের সাথে ডিগ্রী অর্জন করেন। শিক্ষা জীবন শেষে ১৯৯৫ সালে যোগদান করেন শিক্ষকতায়।
সেই থেকে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন কালীগঞ্জ উপজেলার শিক্ষার মান উন্নয়নের জন্য। অনেক প্রতিকুলতার মধ্য দিয়ে কাজ করতে হয়েছে। তাঁর পরিচালিত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বা কলেজের বর্তমান অবকাঠামোগত উন্নয়নের পেছনে সবচেয়ে বেশি অবদান যেই ব্যক্তিটির তিনিই কালীগঞ্জের শ্রেষ্ঠ শিক্ষকদের একজন অধ্যক্ষ মু. নাজমুল ইসলাম। শিক্ষাক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের জন্য কালেরকন্ঠ শুভসংঘ কতৃক পেয়েছেন শ্রেষ্ঠ অধ্যক্ষ পুরস্কার। জাতীয় কবিতা পরিষদ, গাজীপুর জেলা থেকে পেয়েছেন গুণীজন সংবর্ধনা। এ ছাড়া ২০১৯ সালে পেয়েছেন হিউম্যান রাইটস্ পিস এ্যাওয়ার্ড। এছাড়া তিনি উপজেলার শ্রেণ্ঠ অধ্যক্ষ হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন পাঁচবার। তিনি শিক্ষকতা ছাড়াও নিজেকে বিভিন্ন সামাজিক কর্মকাণ্ডের সাথে জড়িত রাখতে বেশী পছন্দ করেন। নিজ উদ্যোগে স্থাপন করেছেন হাসিম উদ্দিন-তাহমিনা ট্রাস্ট। বর্তমানে সেখানে প্রত্যহ কোরআন শিক্ষার আসরের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
ট্রাস্ট থেকে বিভিন্ন সামাজিক ও মানবিক কাজে সাহায্য সহযোগীতা প্রদান করা হয়ে থাকে। তিনি এলাকার সামাজিক কাজে এবং গরীব দুঃখী মানুষের পাশে দাঁড়াতে পছন্দ করেন। তিনি নিজেও একজন দানশীল ব্যক্তি হিসেবে পরিচিত। তিনি উপজেলার পৌর এলাকার দুর্বাটি গ্রামে এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্ম গ্রহন করেন। তিনি মরহুম একেএম হাসিম উদ্দিন ও তাহমিনা খাতুনের সন্তান। নাজমুল ইসলাম কালীগঞ্জ বাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন। তিনি যেন সব সময় কালীগঞ্জের মানুষের পাশে থাকতে পারেন। একজন শিক্ষক, সামাজিক ও মানবিক ব্যক্তি হিসেবে যেন আজীবন কালীগঞ্জবাসীর জন্য নিরলসভাবে কাজ করে যেতে পারেন।
দেশকণ্ঠ/আসো