পথরেখা অনলাইন : ধেয়ে আসা ঘূর্ণিঝড় ‘মিধিলি’। জেলায় ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় মাঠে কাজ করছে প্রায় ১৬ হাজার স্বেচ্ছাসেবক। স্বেচ্ছাসেবকর মধ্যে ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচি (সিপিপি) এর ১৩ হাজার ৮৬০ জন ও রেডক্রিসেন্ট ইউনিটের ২ হাজার সদস্য রয়েছেন। এই দুর্যোগ মোকাবেলায় জেলায় প্রস্তুত রাখা হয়েছে ৮৬৯টি আশ্রয় কেন্দ্র ও ১২টি মুজিব কেল্লা। জেলা সদরসহ জেলার ৭ উপজেলায় খোলা হয়েছে ৮টি কন্ট্রোল রুম। স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে খোলা হয়েছে ৯৮টি মেডিকেল টিম।
জেলা ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচি’র উপ-পরিচালক মো. আব্দুর রশিদ জানান, জেলার দুর্গম চরাঞ্চলের প্রায় ২ লাখ মানুষ দুর্যোগে ঝুঁকিতে রয়েছে। আজ সকাল থেকেই আমাদের স্বেচ্ছাসেবকরা মাঠে কাজ করছেন। আমাদের ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার ৮৩টি পয়েন্টে একটি করে সাংকেতিক পতাকা উত্তোলন করা হয়েছে। এছাড়া মাইকিংসহ বিভিন্ন প্রচারণার মাধ্যমে সাধারণ মানুষকে সতর্ক করছে আমাদের স্বেচ্ছাসেবকরা। সিভিল সার্জন অফিসের মেডিকেল অফিসার ডা. মো ফাহমিদ খান বলেন, ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় আমাদের ৯৮টি মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে। ইতোমধ্যে তারা মাঠে কাজ শুরু করছে।
জেলা প্রশাসক আরিফুজ্জামান জানান, আমাদের আশ্রয় কেন্দ্র ও মুজিব কেল্লাগুলো প্রস্তুত রয়েছে। ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় আমরা স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সম্পৃক্ত করে সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েছি। ঝড়ের আগাম বার্তা মানুষের মাঝে প্রচার করা হচ্ছে। প্রাথমিক পর্যায়ে আমাদের কাছে চাল রয়েছে ৭৪৩ মে. টন, নগত ২০ লাখ টাকা, শিশু খাদ্যের জন্য ৯ লাখ ১০ হাজার টাকা, গো খাদ্যের জন্য ৯ লাখ ৩০ হাজার টাকা। জনসাধারণকে আশ্রয় কেন্দ্রে নিয়ে আসার প্রস্তুতির কথাও জানান তিনি। এদিকে ঘূর্ণিঝড় মিধিলি’র প্রভাবে ভোর থেকেই গুড়ি-গুড়ি বৃষ্টি ও দমকা বাতাস বয়ে যাচ্ছে দক্ষিণের এই জেলায়। বৃদ্ধি পেয়েছে বিভিন্ন নদ-নদীর পানি।
পথরেখা/আসো