• শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪
    ৬ আশ্বিন ১৪৩১
    ঢাকা সময়: ০৯:৩২

সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে সাবেক এটর্নি জেনারেল এ জে মোহাম্মদ আলীর জানাজা সম্পন্ন

পথরেখা অনলাইন : সাবেক এটর্নি জেনারেল ও সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি সিনিয়র এডভোকেট এ জে মোহাম্মদ আলীর জানাজা সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে বাদ আসর অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান, সাবেক প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন, সুপ্রিম কোর্টের আপিল ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতিগণ, এটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি ও সম্পাদকগণ, সিনিয়র এডভোকেটগন, এটর্নি জেনারেল কার্যালয়ের কর্মকর্তাবৃন্দ, সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসনের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাগন, বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, বিপুল সংখ্যক আইনজীবীসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ জানাজায় অংশ নেন।

জানাজার পূর্বে  বিশিষ্ট আইনজীবী মরহুম এ জে মোহাম্মদ আলীর জীবন বৃত্তান্ত তুলে ধরেন সুপ্রিম কোর্ট বার সম্পাদক শাহ মঞ্জুরুল হক। এ জে মোহাম্মদ আলীর কর্মজীবনের উপর স্মৃতিচারণ করে বক্তৃতা করেন প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান, এটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন ও সুপ্রিম কোর্ট বার সভাপতি ব্যারিস্টার এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন।

প্রধান বিচারপতি বলেন, এ জে মোহাম্মদ আলীর বাবা এম এইচ খন্দকার বাংলাদেশের প্রথম এটর্নি জেনারেল ছিলেন। তিনি সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি ছিলেন। এ জে মোহাম্মদ আলীও এটর্নি জেনারেল ও সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি ছিলেন। এরকম আর কখনও আসবে কি-না সন্দেহ আছে। এ জে মোহাম্মদ আলী নিতান্তই ভদ্রলোক ছিলেন। বড় মাপের মানুষ ছিলেন।   

গত শুক্রবার সন্ধ্যায় সিঙ্গাপুর থেকে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তার মরদেহ পৌঁছে। আজ দুই দফা জানাজা শেষে রাজধানীর বনানী কবরস্থানে তার বাবার কবরের পাশে তার মরদেহ দাফন করা হয়। আজ বাদ জোহর রাজধানীর ধানমন্ডি তাকওয়া মসজিদে প্রথম জানাজা এবং বাদ আসর সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে দ্বিতীয় জানাজার নামাজ অনুষ্ঠিত হয়।

বৃহস্পতিবার ২ মে সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে বাংলাদেশ সময় দুপুর ১টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান বিশিষ্ট আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তার বয়স হয়েছিল ৭৩ বছর। মৃত্যুকালে স্ত্রী, এক ছেলে ও এক মেয়েকে রেখে গেছেন তিনি।

সাবেক এটর্নি জেনারেল, সুপ্রিম কোর্ট বার-এর সাবেক সভাপতি দেশের বিশিষ্ট আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলীর মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান। শোক প্রকাশ করেছেন এটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন, সুপ্রিম কোর্ট বার এর সভাপতি ব্যারিস্টার এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকনসহ বিভিন্ন সংগঠন।    

বিশিষ্ট আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলীর বাবা এম এইচ খন্দকার। তিনি ছিলেন দেশের প্রথম এটর্নি জেনারেল। এ জে মোহাম্মদ আলী ১৯৭৮ সালে আইনজীবী হিসেবে সনদ পান। ১৯৮০ সালে হাইকোর্ট বিভাগের এবং ১৯৮৫ সালে আপিল বিভাগে আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্ত হন।

২০০১ সালের অক্টোবরে অতিরিক্ত এটর্নি জেনারেল হিসেবে নিয়োগ পান এ জে মোহাম্মদ আলী। পরে তিনি দেশের দ্বাদশ এটর্নি জেনারেল হিসেবে নিয়োগ পান। ২০০৫ সালের ৩০ শে এপ্রিল থেকে ২০০৭ সালের ২৪ শে জানুয়ারি পর্যন্ত এ দায়িত্ব পালন করেন তিনি। ২০১৩-১৪ মেয়াদে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির (সুপ্রিম কোর্ট বার) সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন এ জে মোহাম্মদ আলী।

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের কেন্দ্রীয় কমিটির নির্বাচিত সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন এ জে মোহাম্মদ আলী।
পথরেখা/এআর

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

পথরেখা : আমাদের কথা

আমাদের পোর্টালের নাম— pathorekha.com; পথরোখা একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। আমরা এই প্রতিষ্ঠানকে প্রতিদিনের সত্য-সংবাদের পথরেখা হিসেবে প্রমাণ করতে চাই। পথরেখা সারাদেশের পাঠকদের জন্য সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ এবং মতামত প্রকাশ করবে। পথরোখা নিউজ পোর্টাল হিসেবে ২০২৩ সালের জুন মাসে যাত্রা শুরু করলো। অচিরেই পথরেখা অনলাইন মিডিয়া হিসেবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের প্রক্রিয়া শুরু করবে। পথরোখা  দেশ কমিউনিকেশনস-এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান।
 
পথরোখা জাতীয় সংবাদের উপর তো বটেই এর সঙ্গে রাজনীতি, আন্তর্জাতিক, খেলাধুলা, কৃষি, বিনোদন, অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, তথ্য ও প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন বিভাগকেও গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে। মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিকতা এবং চৌকস ফটোগ্রাফিকে বিশেষ বিবেচনায় রাখে।
 
পথরোখা’র সম্পাদক আরিফ সোহেল এই সেক্টরে একজন খুব পরিচিত ব্যক্তিত্ব। সাংবাদিক হিসেবে তার দীর্ঘ ৩০ বছর কর্মজীবনে তিনি দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকা, আজকের কাগজ, রিপোর্ট২৪ ডটকম প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। এ ছাড়া তিনি সরকারী ক্রীড়া পাক্ষিক ‘ক্রীড়া জগত’ ও লাইফস্টাইল ম্যাগাজিক অপ্সরা নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। তিনি জনপ্রিয় অনলাইন দেশকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
 
পথরেখা দেশের মৌলিক মূল্যবোধ, বিশেষ করে জাতীয় সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। এছাড়াও, এটি দেশের নাগরিকের মানবিক ও নাগরিক অধিকারের পক্ষে কথা বলবে। ন্যায়পরায়ণতা, নির্ভুলতা এবং বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রাখতে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ। আমরা বিশ্বাস করি যে জনগণের বিশ্বাসযোগ্যতা আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। পথরেখা রাজনৈতিক ইস্যুতে নির্দলীয় অবস্থান বজায় রাখবে। একটি নিরপক্ষ অনলাইন হিসেবে আমরা নিজেদের কর্মকাণ্ডে প্রমাণ করার শতভাগ প্রছেষ্টা করব। তবে সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করেও কিছু ভুল হতেই পারে। যা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রাখছি সব মহলেই। সততা পথে অবিচল; আলোর পথে অবিরাম যাত্রায় আমাদের পাশে থাকুন; আমরা থাকব আপনাদের পাশে।
 
উল্লেখ্য, পথরেখা হিসেবে একটি প্রকাশনী দীর্ঘদিন থেকে প্রকাশিত হয়ে আসছে। এবার উদ্যোগ নেওয়া হলো অনলাইন অনলাইন নিউজ পোর্টাল হিসেবে প্রকাশ করার।