• মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪
    ১০ পৌষ ১৪৩১
    ঢাকা সময়: ২২:১২

ফিলিং স্টেশনে মোবাইল ব্যবহার কতটা নিরাপদ

পথরেখা অনলাইন : পেট্রোল স্টেশনে গাড়িতে জ্বালানি ভরার সময় মোবাইল ব্যবহারে সতর্ক করেছে ব্রিটিশ তেল ও গ্যাস কোম্পানি শেল। সম্প্রতি তাদের ওয়েবসাইটে এক সতর্কবার্তায় বলা হয়, ফিলিং স্টেশনে গাড়িতে পেট্রোল বা ডিজেল নেয়ার সময় মোবাইলটি গাড়ির বাইরে বা হাতে রাখবেন না। এতে মোবাইলে বিস্ফোরণের শঙ্কা রয়েছে।

সংবাদমাধ্যম লেডবাইবেল বলছে, এর পরিবর্তে ফিলিং স্টেশনে থাকার সময়টা মোবাইল ব্যবহার না করার পরামর্শ দিয়েছে ব্রিটিশ কোম্পানি শেল। তারা বলছে, ওই সময় মোবাইল পকেটে রাখাই উত্তম। বেশি প্রয়োজন না হলে গাড়ির ভেতরে রাখা যেতে পারে। তবে এর যথাযথ কারণ জানায়নি তারা।  

আসলেই কী ফিলিং স্টেশনে মোবাইল ব্যবহার নিরাপদ নয়?

ব্রেশসেন্স নামের একটি ব্রিটিশ নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী জশ আমিশাব বলেন, প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে পেট্রোল স্টেশনে মোবাইল বের করলে তা থেকে দাহ্য বাষ্পীয় কোনো পদার্থ বের হতে পারে। মোবাইলের ব্যাটারি বা অন্যান্য ইলেকট্রনিক উপাদান থেকে স্পার্কের সৃষ্টি হতে পারে। আর জ্বালানি যেখানে আছে সেখানে তো বিস্ফোরণ হয় অল্পতেই।

তবে, এ ধরনের ঘটনা খুব একটা ঘটে না বলেই জানান জশ আমিশাব। তিনি বলেন, আজকের যুগে যে মোবাইল আমাদের হাতে রয়েছে, তা আগের চেয়ে অনেক বেশি নিরাপদ। এসব মোবাইল থেকে দাহ্য বাষ্পীয় কোনো পদার্থ বের হওয়ার আশঙ্কা নেই বললেই চলে। এ নিয়ে বেশ কয়েকটি গবেষণাও করেছে ব্রিটিশ জ্বালানি অ্যাসোসিয়েশনগুলো।   

এরপরও যুক্তরাজ্যের জ্বালানি অ্যাসোসিয়েশন ফুয়েলস ইন্ডাস্ট্রি ইউকে এ ব্যাপারে সবাইকে সতর্ক করে দিয়েছে। তারা বলছে, ফিলিং স্টেশনে গাড়িতে পেট্রোল বা ডিজেল নেওয়ার সময় মেসেজ পাঠাতে বা দেখতেও যেন মোবাইল ব্যবহার না করা হয়। কারণ প্রযুক্তি যেকোনো সময় বিগড়ে যেতে পারে।    

এ ছাড়া মোবাইল ব্যবহার করলে ডিজেল বা পেট্রোল ঠিকঠাকমতো নিতে পারবেন না। ভুলে বড় ধরনের দুর্ঘটনাও ঘটতে পারে। তবে, তারাও বিস্ফোরণ হওয়ার কোনো আশঙ্কা দেখছেন না।
পথরেখা/এআর

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

পথরেখা : আমাদের কথা

আমাদের পোর্টালের নাম— pathorekha.com; পথরোখা একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। আমরা এই প্রতিষ্ঠানকে প্রতিদিনের সত্য-সংবাদের পথরেখা হিসেবে প্রমাণ করতে চাই। পথরেখা সারাদেশের পাঠকদের জন্য সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ এবং মতামত প্রকাশ করবে। পথরোখা নিউজ পোর্টাল হিসেবে ২০২৩ সালের জুন মাসে যাত্রা শুরু করলো। অচিরেই পথরেখা অনলাইন মিডিয়া হিসেবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের প্রক্রিয়া শুরু করবে। পথরোখা  দেশ কমিউনিকেশনস-এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান।
 
পথরোখা জাতীয় সংবাদের উপর তো বটেই এর সঙ্গে রাজনীতি, আন্তর্জাতিক, খেলাধুলা, কৃষি, বিনোদন, অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, তথ্য ও প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন বিভাগকেও গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে। মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিকতা এবং চৌকস ফটোগ্রাফিকে বিশেষ বিবেচনায় রাখে।
 
পথরোখা’র সম্পাদক আরিফ সোহেল এই সেক্টরে একজন খুব পরিচিত ব্যক্তিত্ব। সাংবাদিক হিসেবে তার দীর্ঘ ৩০ বছর কর্মজীবনে তিনি দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকা, আজকের কাগজ, রিপোর্ট২৪ ডটকম প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। এ ছাড়া তিনি সরকারী ক্রীড়া পাক্ষিক ‘ক্রীড়া জগত’ ও লাইফস্টাইল ম্যাগাজিক অপ্সরা নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। তিনি জনপ্রিয় অনলাইন দেশকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
 
পথরেখা দেশের মৌলিক মূল্যবোধ, বিশেষ করে জাতীয় সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। এছাড়াও, এটি দেশের নাগরিকের মানবিক ও নাগরিক অধিকারের পক্ষে কথা বলবে। ন্যায়পরায়ণতা, নির্ভুলতা এবং বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রাখতে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ। আমরা বিশ্বাস করি যে জনগণের বিশ্বাসযোগ্যতা আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। পথরেখা রাজনৈতিক ইস্যুতে নির্দলীয় অবস্থান বজায় রাখবে। একটি নিরপক্ষ অনলাইন হিসেবে আমরা নিজেদের কর্মকাণ্ডে প্রমাণ করার শতভাগ প্রছেষ্টা করব। তবে সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করেও কিছু ভুল হতেই পারে। যা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রাখছি সব মহলেই। সততা পথে অবিচল; আলোর পথে অবিরাম যাত্রায় আমাদের পাশে থাকুন; আমরা থাকব আপনাদের পাশে।
 
উল্লেখ্য, পথরেখা হিসেবে একটি প্রকাশনী দীর্ঘদিন থেকে প্রকাশিত হয়ে আসছে। এবার উদ্যোগ নেওয়া হলো অনলাইন অনলাইন নিউজ পোর্টাল হিসেবে প্রকাশ করার।