• সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪
    ৯ পৌষ ১৪৩১
    ঢাকা সময়: ০১:০৫

অশান্ত মণিপুরে আরও সেনা পাঠাচ্ছে দিল্লি

  • আন্তর্জাতিক       
  • ১৮ নভেম্বর, ২০২৪       
  • ২০
  •       
  • ১৮-১১-২০২৪, ২১:৪৮:০৭

পথরেখা অনলাইন : ভারতের মণিপুর রাজ্য অশান্ত। পরিস্থিতি সামাল দিতে আরও ৫০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় সশস্ত্র পুলিশ বাহিনী (সিএপিএফ) পাঠাচ্ছেন ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। ওই রাজ্যের পরিস্থিতি নিয়ে সোমবার (১৮ নভেম্বর) নিজের মন্ত্রণালয় শীর্ষ কর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন অমিত শাহ।

মন্ত্রণালয় সূত্রের খবর, সেখানেই এই অতিরিক্ত বাহিনী পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। প্রতি কোম্পানির সদস্য সংখ্যা প্রায় ১০০। সেই মোতাবেক ওই রাজ্যে আরও পাঁচ হাজার জওয়ান পাঠাচ্ছে অমিত শাহের মন্ত্রণালয়। এমনিতেই ওখানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য পুলিশ এবং সেনার সঙ্গে মোতায়েন রয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনী।

ছয় জনের দেহ উদ্ধারের পর থেকে মেইতেইদের বিক্ষোভে উত্তপ্ত মণিপুর। রবিবার মহারাষ্ট্রে প্রচারের কর্মসূচি বাতিল করে দিল্লি ফিরে গিয়েছিলেন অমিত শাহ। সূত্রের খবর, দিল্লি পৌঁছে বৈঠক করেছিলেন তিনি। এর পর সোমবার আবার নিজের মন্ত্রণালয় কর্তাদের সঙ্গে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক করেন তিনি। মন্ত্রণালয় সূত্রের খবর, ওই বৈঠকে মণিপুরের নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। তার পরেই সেখানে আরও ৫০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সূত্রের খবর, রাজ্যের পরিস্থিতি দেখতে একটি দল পাঠাতে পারে ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকও।

এর আগে সোমবার (১৮ নভেম্বর) সকালে মণিপুরের তিনটি মামলার তদন্তভার জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (এনআইএ)-র হাতে তুলে দিয়েছে ভারতের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। কোন তিনটি মামলা এনআইএ-কে দেওয়া হয়েছে, তা এখনও স্পষ্ট নয়। শুধু জানা গিয়েছে, হিংসা, প্রাণহানি সংক্রান্ত এই তিন মামলার তদন্ত করছিল মণিপুর পুলিশ। তাদের কাছ থেকে নিয়ে তদন্তভার তুলে দেওয়া হল এনআইএ-র হাতে। মনে করা হচ্ছে, তদন্তে গতি আনতেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

২০২৩ সালের মে মাস থেকে মেইতেই এবং কুকি সম্প্রদায়ের সংঘাতের কারণে উত্তপ্ত মণিপুর। সেই হিংসার প্রথম পর্বে জিরিবাম জেলায় সংঘাতের আঁচ পড়েনি। সম্প্রতি সেখানে নিরাপত্তা বাহিনী এবং কুকি জঙ্গিদের গুলি বিনিময় হয়। সে সময় একই মেইতেই পরিবারের তিন নারী এবং তিন শিশুকে অপহরণের অভিযোগ ওঠে কুকি বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে। বাহিনীর গুলিতে ১০ জন কুকি জঙ্গির প্রাণ গিয়েছে। কুকি সম্প্রদায়ের দাবি, নিহতরা ‘গ্রামের পাহারাদার’। ওই ঘটনার পর থেকে অপহৃতদের খোঁজ মেলেনি। জিরি নদীতে ছয় জনের মরদেহ মিলেছে।

মেইতেইদের দাবি, ওই দেহ অপহৃতদের। যদিও এই নিয়ে পুলিশ বা প্রশাসন কিছু নিশ্চিত করেনি। এই দেহ মেলার পর থেকে উত্তপ্ত জিরিবাম জেলা। আঁচ এসে পড়েছে ইম্ফল উপত্যকায়। মন্ত্রী এবং বিধায়কদের বাড়িতে হামলা চালিয়ে আগুন লাগানোর অভিযোগ উঠেছে। ইম্ফল পূর্বে মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিংহের পৈতৃক বাড়িতে হামলার চেষ্টা হয়। বিক্ষোভকারীদের রুখতে কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে বাহিনী। এবার পরিস্থিতি সামাল দিতে পাঠানো হচ্ছে আরও বাহিনী।
পথরেখা/এআর

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

পথরেখা : আমাদের কথা

আমাদের পোর্টালের নাম— pathorekha.com; পথরোখা একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। আমরা এই প্রতিষ্ঠানকে প্রতিদিনের সত্য-সংবাদের পথরেখা হিসেবে প্রমাণ করতে চাই। পথরেখা সারাদেশের পাঠকদের জন্য সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ এবং মতামত প্রকাশ করবে। পথরোখা নিউজ পোর্টাল হিসেবে ২০২৩ সালের জুন মাসে যাত্রা শুরু করলো। অচিরেই পথরেখা অনলাইন মিডিয়া হিসেবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের প্রক্রিয়া শুরু করবে। পথরোখা  দেশ কমিউনিকেশনস-এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান।
 
পথরোখা জাতীয় সংবাদের উপর তো বটেই এর সঙ্গে রাজনীতি, আন্তর্জাতিক, খেলাধুলা, কৃষি, বিনোদন, অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, তথ্য ও প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন বিভাগকেও গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে। মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিকতা এবং চৌকস ফটোগ্রাফিকে বিশেষ বিবেচনায় রাখে।
 
পথরোখা’র সম্পাদক আরিফ সোহেল এই সেক্টরে একজন খুব পরিচিত ব্যক্তিত্ব। সাংবাদিক হিসেবে তার দীর্ঘ ৩০ বছর কর্মজীবনে তিনি দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকা, আজকের কাগজ, রিপোর্ট২৪ ডটকম প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। এ ছাড়া তিনি সরকারী ক্রীড়া পাক্ষিক ‘ক্রীড়া জগত’ ও লাইফস্টাইল ম্যাগাজিক অপ্সরা নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। তিনি জনপ্রিয় অনলাইন দেশকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
 
পথরেখা দেশের মৌলিক মূল্যবোধ, বিশেষ করে জাতীয় সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। এছাড়াও, এটি দেশের নাগরিকের মানবিক ও নাগরিক অধিকারের পক্ষে কথা বলবে। ন্যায়পরায়ণতা, নির্ভুলতা এবং বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রাখতে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ। আমরা বিশ্বাস করি যে জনগণের বিশ্বাসযোগ্যতা আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। পথরেখা রাজনৈতিক ইস্যুতে নির্দলীয় অবস্থান বজায় রাখবে। একটি নিরপক্ষ অনলাইন হিসেবে আমরা নিজেদের কর্মকাণ্ডে প্রমাণ করার শতভাগ প্রছেষ্টা করব। তবে সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করেও কিছু ভুল হতেই পারে। যা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রাখছি সব মহলেই। সততা পথে অবিচল; আলোর পথে অবিরাম যাত্রায় আমাদের পাশে থাকুন; আমরা থাকব আপনাদের পাশে।
 
উল্লেখ্য, পথরেখা হিসেবে একটি প্রকাশনী দীর্ঘদিন থেকে প্রকাশিত হয়ে আসছে। এবার উদ্যোগ নেওয়া হলো অনলাইন অনলাইন নিউজ পোর্টাল হিসেবে প্রকাশ করার।