• সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪
    ৯ পৌষ ১৪৩১
    ঢাকা সময়: ০০:৪৬

ডোমারে ম্যাজিস্ট্রেটের ঘুষ বাণিজ্যের প্রতিবাদে মানববন্ধন সমাবেশ

ডোমার প্রতিনিধি: নীলফামারীর ডোমারে নেসকোর রংপুর বিভাগের দায়িত্বরত জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ওয়াছ কুরুনী খাঁন চৌধুরী বিরুদ্ধে ঘুষ বাণিজ্যের ব্যাপক অভিযোগ উঠেছে। ভূক্তভোগীরা জানিয়েছেন, মিথ্যা মামলা দিয়ে বেপরোয়া ঘুষ বাণিজ্য করে যাচ্ছেন। এরই প্রতিবাদে ১৭ জুন মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে এলাকাবাসী। ওই দিন দুপুরে ডোমার কেন্দ্রীয়  শহীদ মিনার চত্বরে বিদ্যু  গ্রাহক সমিতি মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে। মানববন্ধন  শেষে আয়োজিত সমাবেশে গোলাম কুদ্দুস আইয়ুবের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স। 
 
স্থানীয়রা অভিযোগ করেছেন, ডোমার উপজেলায় নেসকোর কর্মকর্তা কর্মচারীদের স্বেচ্ছাচারীতা, দূর্নীতি ও নানাবিধ অপকর্মে গ্রাহকরা এমনিতেই দিশেহারা। তার উপর অত্যাচারের নতুনত্ব নিয়ে যোগ দিয়েছেন, রংপুর বিভাগে নিযুক্ত জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ওয়াছ কুরুনী। বিচারক হিসাবে যেখানে বিদ্যুৎ বিভাগের অনিয়ম ও দূর্নীতি নিয়ন্ত্রণে তার কাজ করার কথা, সেখানে তিনি বিচার কার্যের মতো মহান পেশার প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে, নৈতিকতা বিসর্জন দিয়ে বিচারাঙ্গনকে ঘুষের বাজারে পরিণত করেছেন।
 
এ ব্যাপারে ডোমার বড় রাউতা পেট্রোলপাম্প এলাকার আব্দুল হাই বলেন, মাত্র ৩২শ টাকা বিল বাকী থাকার অজুহাতে আমার বিরুদ্ধে ৩ লাখ টাকার ক্ষতিপুরণ মামলা করা হয়েছে। পরবর্তীতে আদালতে গেলে আমাকে তার চেম্বারে ডেকে ১ লাখ টাকা ঘুষ দাবী করেন। তার নির্দেশনায়ই তার নিযুক্ত দালালের মাধ্যমে ৫৫ হাজার টাকা ঘুষ দিয়ে মামলা দফারফা করতে বাধ্য হই। ৩  লাখ টাকার জরিমানা মামলায় ৫৫হাজার টাকা ঘুষ পাওয়ার পরে ৫হাজার টাকা সরকারী কোষাগারে জমার আদেশ দিয়ে আমার মামলা শেষ করেন! 
 
অপর ভুক্তভোগী আজিজুল ইসলামর স্ত্রী কহিনুর বেগম বলেন, তিনি গ্রাহকদের মামলার ফাঁদে ফেলে লক্ষ লক্ষ টাকা ঘুষ আদায় করছেন। ২১ হাজার টাকা বকেয়ার দায়ে আমার বিরুদ্ধে ৫ লাখ টাকার মামলা হয়। পরে আমার কাছে ১ লাখ টাকা ঘুষ দাবী করে। তার দাবীকৃত ঘুষ না দিলে আমার স্বামীর বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরওয়ানা জারির হুমকি দিলে আমি ভয়ে বাধ্য হয়ে ১লক্ষ টাকা ঘুষ দিয়ে মামলা নিস্পত্তি করি। আমাকে  ১০হাজার টাকা সরকারী কোষাগারে জমা দেওয়ার নির্দেশ দেয়। 
 
কমিউনিস্ট পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেন, ম্যাজিস্ট্রেট ন্যায় বিচার না করে তিনি এবং তার দালাল দিয়ে যা করছেন, তা দেশের বিচার ব্যবস্থাকে কুলষিত করেছে। তার মামলার ফাঁদে পড়ে অসহায় ভূক্তভোগীরা গরু, ছাগল, ভ্যান এমনকি ১২ দিনের দুধের বাছুর রেখে গাভীপর্যন্ত বিক্রি করে ঘুষ দিতে বাধ্য হয়েছে। আন্দোলনের নেতা গোলাম কুদ্দুস আইয়ুব বলেন, তিনি বিচারালয়কে প্রকাশ্যে ঘুষের হাট বানিয়েছেন। তিনি আক্ষেপ করে বলেন একটি স্বাধীন দেশে একজন বিচারক এ কি করছে, দেখার কি কেও নেই? 
 
এ ব্যাপারে নেসকোর ডোমার শাখার নির্বাহী প্রকৌশলী শহিদুল ইসলামকে একাধিক বার মোবাইলে কল করলেও (০১৭৫৫৫৮৪৯০২) তিনি তা রিসিভ করেন নাই। জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ওয়াছ কুরুনীকে এ ব্যাপারে তার বক্তব্য জানতে মোবাইল ফোনে  (০১৭৩৫৪২১৬২৬) একাধিকবার কল করলেও তা রিসিভ হয়নি।
দেশকণ্ঠ/আসো
 

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

পথরেখা : আমাদের কথা

আমাদের পোর্টালের নাম— pathorekha.com; পথরোখা একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। আমরা এই প্রতিষ্ঠানকে প্রতিদিনের সত্য-সংবাদের পথরেখা হিসেবে প্রমাণ করতে চাই। পথরেখা সারাদেশের পাঠকদের জন্য সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ এবং মতামত প্রকাশ করবে। পথরোখা নিউজ পোর্টাল হিসেবে ২০২৩ সালের জুন মাসে যাত্রা শুরু করলো। অচিরেই পথরেখা অনলাইন মিডিয়া হিসেবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের প্রক্রিয়া শুরু করবে। পথরোখা  দেশ কমিউনিকেশনস-এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান।
 
পথরোখা জাতীয় সংবাদের উপর তো বটেই এর সঙ্গে রাজনীতি, আন্তর্জাতিক, খেলাধুলা, কৃষি, বিনোদন, অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, তথ্য ও প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন বিভাগকেও গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে। মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিকতা এবং চৌকস ফটোগ্রাফিকে বিশেষ বিবেচনায় রাখে।
 
পথরোখা’র সম্পাদক আরিফ সোহেল এই সেক্টরে একজন খুব পরিচিত ব্যক্তিত্ব। সাংবাদিক হিসেবে তার দীর্ঘ ৩০ বছর কর্মজীবনে তিনি দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকা, আজকের কাগজ, রিপোর্ট২৪ ডটকম প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। এ ছাড়া তিনি সরকারী ক্রীড়া পাক্ষিক ‘ক্রীড়া জগত’ ও লাইফস্টাইল ম্যাগাজিক অপ্সরা নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। তিনি জনপ্রিয় অনলাইন দেশকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
 
পথরেখা দেশের মৌলিক মূল্যবোধ, বিশেষ করে জাতীয় সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। এছাড়াও, এটি দেশের নাগরিকের মানবিক ও নাগরিক অধিকারের পক্ষে কথা বলবে। ন্যায়পরায়ণতা, নির্ভুলতা এবং বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রাখতে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ। আমরা বিশ্বাস করি যে জনগণের বিশ্বাসযোগ্যতা আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। পথরেখা রাজনৈতিক ইস্যুতে নির্দলীয় অবস্থান বজায় রাখবে। একটি নিরপক্ষ অনলাইন হিসেবে আমরা নিজেদের কর্মকাণ্ডে প্রমাণ করার শতভাগ প্রছেষ্টা করব। তবে সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করেও কিছু ভুল হতেই পারে। যা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রাখছি সব মহলেই। সততা পথে অবিচল; আলোর পথে অবিরাম যাত্রায় আমাদের পাশে থাকুন; আমরা থাকব আপনাদের পাশে।
 
উল্লেখ্য, পথরেখা হিসেবে একটি প্রকাশনী দীর্ঘদিন থেকে প্রকাশিত হয়ে আসছে। এবার উদ্যোগ নেওয়া হলো অনলাইন অনলাইন নিউজ পোর্টাল হিসেবে প্রকাশ করার।