বক্তব্য রাখছেন প্রধান অতিথি অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. আজাহারুল ইসলাম
মো. আবু ফাত্তাহ্ কামাল, ডোমার (নীলফামারী) প্রতিনিধি : গভর্নেন্স ইনোভেশন ইউনিট প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের নির্দেশনায় নীলফামারীর ডোমারে প্রধানমন্ত্রীর ১০টি উদ্যোগ নিয়ে উপজেলা পর্যায়ে দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ২৮ জুন সকালে উপজেলা পরিষদ হলরুমে উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে এই প্রশিক্ষণ কর্মশালার অনুষ্ঠিত হয়। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রমিজ আলমের সভাপতিত্বে প্রশিক্ষণ কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) ও উপপরিচালক স্থানীয় সরকার নীলফামারী মো. আজাহারুল ইসলাম।
উপজেলা পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা আবু রাহাত সোহেলের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান তোফায়েল আহমেদ, ভাইস চেয়ারম্যান ও উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি আব্দুল মালেক সরকার, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান বেগম রৌশন কানিজ, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যাপক খায়রুল আলম বাবুল, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরননবী। এসময় ১০টি উদ্যোগের প্রশিক্ষণ কর্মশালায় অন্যান্যদের মাঝে বক্তব্য রাখেন উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা ফিরোজুল ইসলাম, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের( এমওডিসি) ডা. আবুল আলা, পল্লী বিদ্যুৎ কর্মকর্তা এনায়েতুল্লা প্রমুখ।
প্রসংগত, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সোনার বাংলা বাস্তবায়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। বর্তমান সরকারের প্রতিটি নির্বাচনী ইশতেহারেই দেশের সকল মানুষের মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করাসহ দারিদ্র্য ও ক্ষুধা মুক্তি, বাসস্থান, শিক্ষা, চিকিৎসা এবং সামাজিক নিরাপত্তার বিষয়কে অগ্রাধিকার প্রদান করা হয়েছে। এ লক্ষ্যকে সামনে রেখে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বিভিন্ন সময়ে প্রয়োজনের নিরিখে বিশেষ বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন যার মধ্যে পল্লী সঞ্চয় ব্যাংক, আশ্রয়ন-২ প্রকল্প, ডিজিটাল বাংলাদেশ, শিক্ষা সহায়তা কর্মসূচী, নারীর ক্ষমতায়ন, সবার জন্য বিদ্যুৎ, কমিউনিটি ক্লিনিক ও শিশুর সামাজিক বিকাশ, সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচী, পরিবেশ সুরক্ষা ও বিনিয়োগ বৃদ্ধি অন্যতম যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ ১০ উদ্যোগ নামে পরিচিত। এসব উদ্যোগ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত ভিশন ২০২১ অর্জন সহ দেশের আর্থ সামাজিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে এবং বাংলাদেশকে ইতোমধ্যে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে উন্নীত করেছে। ভিশন ২০২১ এর অভিজ্ঞতার আলোকে প্রধানমন্ত্রী ভিশন ২০৪১ ঘোষণা করেছেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ উদ্যোগ সমুহের সঠিক এবং আরও কার্যকর বাস্তবায়ন ভিশন ২০৪১ অর্জনে এবং জাতিসংঘ ঘোষিত টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট ২০৩০ অর্জনেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আশা করা যায়। স্থানীয় পর্যায়ে বাস্তবায়ন চ্যালেঞ্জ এবং নতুন সম্ভাবনা চিহ্নিত করার পাশাপাশি উদ্যোগ সমুহের বহুল প্রচারে করণীয় নির্ধারণ বিষয়ে সুপারিশ প্রণয়নই কর্মশালার উদ্দেশ্য।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি আজাহারুল ইসলাম বলেন, সারা বিশ্বের মধ্যে শেখ হাসিনা হচ্ছে বাংলাদেশের মডেল। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ২০৪১ সালের ভিশন বাস্তবায়ন করতে হলে এই ১০টি বিশেষ উদ্যোগকে কাজে লাগালে ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত বিশ্বের কাতারে পৌঁছে যাবে বাংলাদেশ। ১৫ থেকে ৪৯ বছর পর্যন্ত মানুষের কর্মসংস্থান তৈরি করতে হবে। সরকারের লক্ষ্য হচ্ছে কর্মমুখী শিক্ষা নিয়ে প্রতিটি উপজেলা থেকে বছরে ১ হাজার লোককে বিদেশে পাঠানো হবে। তিনি আরও বলেন, ২০০৯ সালে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ উৎপাদন ছিল ৪ হাজার মেগাওয়াট, ২০২২ সালে ২৪ হাজার মেগাওয়াট এবং ২০৪১ সালে বাংলাদেশে বিদ্যুৎ উৎপাদন হবে ৫৬ হাজার ৪শত ৭৩ মেঘাওয়াট। বর্তমান সরকার নারীর ক্ষমতায়নে বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন। পাশাপাশি ২০৪১ সালে বয়স্ক শিক্ষা ১০০% করতে হবে, দেশে কোনো মানুষ অশিক্ষিত থাকবেনা।
দিনব্যাপী প্রশিক্ষণ কর্মশালায় অংশ হিসেবে প্রথমার্ধে উপজেলার বিভিন্ন দপ্তরের সরকারি কর্মকর্তা, বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান এবং সাংবাদিকসহ ৫০ জন প্রশিক্ষণার্থী অংশ গ্রহণ করেন। দ্বিতীয়ার্ধে প্রশিক্ষণ কর্মশালায় অংশ গ্রহণ করেন ১শত ৫০ জনসহ মোট ২ শত জন প্রশিক্ষণার্থী প্রশিক্ষণ কর্মশালায় অংশ গ্রহণ করেন।
দেশকণ্ঠ/আসো