• শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪
    ৬ আশ্বিন ১৪৩১
    ঢাকা সময়: ০৯:৩১

জয়পুরহাটে শশা চাষ করে লাভবান হচ্ছেন প্রান্তিক চাষীরা

  • কৃষি বার্তা       
  • ০২ সেপ্টেম্বর, ২০২৪       
  • ২১
  •       
  • ০২-০৯-২০২৪, ২১:৪৪:৫৭

পথরেখা অনলাইন : স্বল্প সময়ের ফসল হিসেবে শশা চাষ করে লাভবান হচ্ছেন জেলার প্রান্তিক  পর্যায়ের  চাষীরা। এবার শশার ভালো দাম পেয়ে শশা  চাষে আগ্রহ বৃদ্ধি পেয়েছে কৃষকদের। জয়পুরহাটের প্রত্যন্ত অঞ্চল ভাদসা ইউনিয়নের গোপালপুর নামক স্থানে  বসে  উত্তরাঞ্চলের সবচেয়ে বড় শশাার হাট । এখান থেকেই পাইকাররা শশা  কিনে সরবরাহ করে থাকেন দেশে বিভিন্ন স্থানে। দেশি প্রযুক্তিতে চাষ করা ক্ষেতে সুস্বাদু জয়পুরহাটের শশা উন্নত মানের হওয়ায় জেলার গন্ডি পেরিয়ে রাজধানী ঢাকা, বন্দরনগরী চট্রগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় বেশ জনপ্রিয়তা  অর্জন করেছে।

 পাইকারী বাজারে এবার শশা  বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৩৫ টাকা কেজি। আর খুচরা বাজারে তা বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা কেজি। প্রতিদিন এ গোপালপুর বাজার থেকে ৪০ জন পাইকার শশা  কিনে বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করেন। পাইকারদের মধ্যে হামিদুর রহমান ছানা, জামিল হোসেন, সেলিম , কাওসার আহমেদ ও ফরহাদ জানান, এখানকার শশার চাহিদা বেশি থাকায় প্রতিদিন ৮ থেকে ১০ ট্রাক করে শশা  রাজধানী ঢাকা, বন্দর নগরী চট্রগ্রামসহ  দেশের বিভিন্ন স্থানে পাঠানো হয়ে থাকে। শশাার বীজ লাগানো থেকে ৫০ দিনের মধ্যে ফলন পাওয়া যায় এবং তেমন কোন পরিচর্যাও প্রয়োজন হয়না। ফলে অন্যান্য ফসল চাষের তুলনায়  শশা  চাষে খরচ কম পড়ে। গোপালপুর  শশা  হাটের পাশের ফরিদপুর গ্রামের শশা  চাষী আজাদুল ইসলাম এবার ১০ কাটা জমিতে শশা  চাষ করে ৩০ হাজার টাকা বিক্রি করেছেন।

এ ছাড়াও গোপালপুর গ্রামের তারাজুল ইসলাম এবার এক বিঘা জমিতে শশা  চাষ করে  ইতোমধ্যে ৫৫ হাজার টাকা বিক্রি করেছেন এবং আরও ৩০ হাজার টাকা বিক্রি হবে এমন শশা  জমিতে রয়েছে বলেও জানান তিনি। কোঁচকুড়ি গ্রামের মুকুল হোসেন এবার দেড় বিঘা জমিতে  শশা  চাষ করে ইতোমধ্যে ৮০ হাজার টাকার শশা  বিক্রি করেছেন বলে জানান।  শশা   দুই থেকে আড়াই মাসের মধ্যে শেষ হয়ে যায়। বর্তমানে  মৌসুম শেষ পর্যায়ে চলছে তার পরেও দাম ভালো পাওয়ায় কৃষকরা খুশি বলে জানান। জেলায় এবার ৫ হেক্টর জমিতে শসার চাষ হয়েছে বলে জানায় কৃষি বিভাগ।

জয়পুরহাটের গোপালপুরে  উত্তরাঞ্চলের সব চেয়ে বড় শশাার হাট বসে উল্লেখ করে জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক রাহেলা পারভীন বলেন, জয়পুরহাটের  শশা  সুস্বাদু হওয়ায় এর চাহিদা অনেক বেশি। স্বল্প সময়ের ফসল  শশা  চাষ লাভ জনক হওয়ায় স্থানীয় কৃষকদের মাঝে  শশা  চাষে আগ্রহ দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে বলেও জানান তিনি।
পথরেখা/এআর

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

পথরেখা : আমাদের কথা

আমাদের পোর্টালের নাম— pathorekha.com; পথরোখা একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। আমরা এই প্রতিষ্ঠানকে প্রতিদিনের সত্য-সংবাদের পথরেখা হিসেবে প্রমাণ করতে চাই। পথরেখা সারাদেশের পাঠকদের জন্য সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ এবং মতামত প্রকাশ করবে। পথরোখা নিউজ পোর্টাল হিসেবে ২০২৩ সালের জুন মাসে যাত্রা শুরু করলো। অচিরেই পথরেখা অনলাইন মিডিয়া হিসেবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের প্রক্রিয়া শুরু করবে। পথরোখা  দেশ কমিউনিকেশনস-এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান।
 
পথরোখা জাতীয় সংবাদের উপর তো বটেই এর সঙ্গে রাজনীতি, আন্তর্জাতিক, খেলাধুলা, কৃষি, বিনোদন, অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, তথ্য ও প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন বিভাগকেও গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে। মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিকতা এবং চৌকস ফটোগ্রাফিকে বিশেষ বিবেচনায় রাখে।
 
পথরোখা’র সম্পাদক আরিফ সোহেল এই সেক্টরে একজন খুব পরিচিত ব্যক্তিত্ব। সাংবাদিক হিসেবে তার দীর্ঘ ৩০ বছর কর্মজীবনে তিনি দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকা, আজকের কাগজ, রিপোর্ট২৪ ডটকম প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। এ ছাড়া তিনি সরকারী ক্রীড়া পাক্ষিক ‘ক্রীড়া জগত’ ও লাইফস্টাইল ম্যাগাজিক অপ্সরা নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। তিনি জনপ্রিয় অনলাইন দেশকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
 
পথরেখা দেশের মৌলিক মূল্যবোধ, বিশেষ করে জাতীয় সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। এছাড়াও, এটি দেশের নাগরিকের মানবিক ও নাগরিক অধিকারের পক্ষে কথা বলবে। ন্যায়পরায়ণতা, নির্ভুলতা এবং বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রাখতে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ। আমরা বিশ্বাস করি যে জনগণের বিশ্বাসযোগ্যতা আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। পথরেখা রাজনৈতিক ইস্যুতে নির্দলীয় অবস্থান বজায় রাখবে। একটি নিরপক্ষ অনলাইন হিসেবে আমরা নিজেদের কর্মকাণ্ডে প্রমাণ করার শতভাগ প্রছেষ্টা করব। তবে সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করেও কিছু ভুল হতেই পারে। যা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রাখছি সব মহলেই। সততা পথে অবিচল; আলোর পথে অবিরাম যাত্রায় আমাদের পাশে থাকুন; আমরা থাকব আপনাদের পাশে।
 
উল্লেখ্য, পথরেখা হিসেবে একটি প্রকাশনী দীর্ঘদিন থেকে প্রকাশিত হয়ে আসছে। এবার উদ্যোগ নেওয়া হলো অনলাইন অনলাইন নিউজ পোর্টাল হিসেবে প্রকাশ করার।