• শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪
    ৬ আশ্বিন ১৪৩১
    ঢাকা সময়: ০৭:৪৫

রাজিয়া সুলতানা ও মো. আব্দুর রহমানের পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন

  • মত-দ্বিমত       
  • ১৫ মে, ২০২৩       
  • ৯৪৯
  •       
  • ১৫-০৫-২০২৩, ২১:১৩:৩৪

দেশকণ্ঠ প্রতিবেদন : শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় [শেকৃবি] থেকে রাজিয়া সুলতানা ও মো. আব্দুর রহমান পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেছেন। রাজিয়া সুলতানাকে ‘বাংলাদেশের উৎপাদনকারী এলাকায় স্টোরেজ অবস্থায় আলুতে র‌্যালস্টোনিয়া সোলানাসিয়ারামের প্রাদুর্ভাব, বৈশিষ্ট্য এবং সংক্রমণের প্রভাব [PREVALENCE AND CHARACTERIZATION OF Ralstonia solanacearum IN MAJOR POTATO GROWING AREAS OF BANGLADESH AND EFFECT OF STORAGE CONDITION ON Ralstonia solanacearum INFECTION] শীর্ষক অভিসন্দর্ভের জন্য পিএইচডি ডিগ্রি প্রদান করা হয়। একই দিন মো. আব্দুর রহমানকে ‘বাংলাদেশে গ্ল্যাডিওলাস পাতার উজ্জ্বল্য এবং এর ব্যবস্থাপনা [Leaf Bight of Gladiolus and its Management in Bangladesh]’ শীর্ষক অভিসন্দর্ভের জন্য পিএইচডি ডিগ্রি দেওয়া হয়েছে। শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্ল্যান্ট প্যাথলজি বিভাগের প্রফেসর ড. মোহাম্মদ সালাহ্উদ্দিন মাহমুদ চৌধুরীর তত্ত্বাবধানে তারা পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন।
১১ মে শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রাজিয়া সুলতানা ও মো. আব্দুর রহমানের ডক্টরেট ডিগ্রি অর্জন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য প্রফেসর ড. অলোক কুমার পাল, ট্রেজারার প্রফেসর ড. নজরুল ইসলাম, পোস্ট গ্রাজুয়েট স্টাডিজের ডিন প্রফেসর ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক, ডিন [অফিস] প্রফেসর ড. পরিমল কান্তি বিশ্বাস, প্ল্যান্ট প্যাথলজির বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর আবু নোমান ফারুক আহমেদ। বর্হিঅতিথি শিক্ষক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ড. ইসমাইল হোসেন ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ড. আবু আশরাফ খান। এ ছাড়া শেকৃবির প্রফেসর ড. রজ্জব আলী, প্রফেসর ড. আব্দুল লতিফসহ বিভিন্ন বিভাগের অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।
 
 
শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশ ও দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম প্রাচীনতম কৃষি শিক্ষা এবং গবেষণা প্রতিষ্ঠান। শেরে বাংলা নগরে অবস্থিত এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি ১৯৩৮ সালে দ্য বেঙ্গল এগ্রিকালচারাল ইনস্টিটিউট নামে যাত্রা শুরু করে। পরবর্তীতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটি ২০০১ সালে বিশ্ববিদ্যালয়ে উন্নীত হয়। শিক্ষক, গবেষক ও ছাত্ররা শেকৃবি রিসার্চ সিস্টেম [সাউরেস] এবং কেন্দ্রীয় গবেষণাগারের মাধ্যমে গবেষণার মাধ্যমে কৃষি সেকটরে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছেন। 
 
 
রাজিয়া সুলতানা ১৯৮৯ সালে কামরুন্নেছা  সরকারী উচ্চ বালিকা বিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক এবং সরকারী বেগম বদরুন্নেছা মহিলা কলেজ থেকে ১৯৯১ সালে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় কৃতিত্বের সঙ্গে পাশ করেন। তিনি ১৯৯৬ সালে শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় বিএসসি [এজি] অনার্স সম্পন্ন করেন। ২০১৪ সালে তিনি প্ল্যান্ট প্যাথলজি বিভাগ থেকে এমএসসি [এজি] ডিগ্রি অর্জন করেন। সর্বশেষ তিনি ২০২০ সালে পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করেন। তিনি সিটি ইন্টারন্যাশনাল স্কুল এন্ড কলেজের হেড অব এডিমিন হিসেবে কর্মরত। পাশাপাশি কলামিস্ট হিসেবে পত্র-পত্রিকা লেখালেখি করেন। তার জীবনসঙ্গী আরিফ সোহেল প্রতিষ্ঠিত সাংবাদিক। রাজিয়া সুলতানা-আরিফ সোহেল দম্পতির বড় ছেলে অনিন্দ্য আরিফ দিব্যও মিডিয়াকে পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছেন। বড় মেয়ে অনিন্দিতা আরিফ চৈতি বিডিএস প্রথম বর্ষের এবং ছোট মেয়ে নন্দিতা আরিফ ব্রতি সপ্তম শ্রেণীর ছাত্রী। রাজিয়া সুলতানা তার শাশুড়ি মা শরিফা বেগম, ছেলে বউ আমেনা বেগম হীরা এবং ৭ মাসের নাতনি অদ্রিতা আরিফ চর্যাকেও যাপিত সংসার জীবনে অংশ হিসেবে পেয়েছেন। ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা সর্ম্পকে রাজিয়া সুলাতানা বলেছেন, ‘আমি আলুর রোগতত্ত্ব নিয়ে পোস্ট গ্রাজুয়েট করতে চাই। অধিকতর গবেষণার মাধ্যমে শুধু নিজের কিংবা পরিবার পরিজনের জন্যই নয়; দেশের জন্যও কিছু করে রেখে যেতে চাই।’
 
অপর দিকে আব্দুর রাজ্জাক ও রাবেয়া খাতুনের তৃতীয় সন্তান মো. আব্দুর রহমান পঞ্চগড় জেলার সিপাইপাড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। বোদা পাইলট হাই স্কুল থেকে মাধ্যমিক এবং রংপুর কারমাইকেল কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করেন। গ্রাজুয়েশন ও মাস্টার্স সম্পন্ন করেছেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ময়মনসিংহ হতে। বর্তমানের তিনি এনএটিপি-২ এর পিআইইউ-বিএআরসির এসোসিয়েট মনিটরিং কর্মকর্তা হিসেবে চাকরিরত। তার সহধর্মিণী প্রফেসর নূর মহল আক্তার শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় কীটতত্ত্ব বিভাগের শিক্ষক। পিএইচডি ডিগ্রি অর্জন করা মো. আব্দুর রহমান বলেছেন, ‘আগামীতে তার অভিসন্দর্ভোত্তর গবেষণা অব্যাহত রাখবেন। কারণ বাংলাদেশে গ্ল্যাডিওলাস ফুলের কদর বাড়ছে ক্রমাগত।’
 
ডিফেন্স ভাইবা শেষে ঘটা আয়োজনে শেষ হয়েছে পিএইচডি অর্জনের গৌরবময় দিন।
দেশকণ্ঠ/আসো 

 

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

পথরেখা : আমাদের কথা

আমাদের পোর্টালের নাম— pathorekha.com; পথরোখা একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। আমরা এই প্রতিষ্ঠানকে প্রতিদিনের সত্য-সংবাদের পথরেখা হিসেবে প্রমাণ করতে চাই। পথরেখা সারাদেশের পাঠকদের জন্য সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ এবং মতামত প্রকাশ করবে। পথরোখা নিউজ পোর্টাল হিসেবে ২০২৩ সালের জুন মাসে যাত্রা শুরু করলো। অচিরেই পথরেখা অনলাইন মিডিয়া হিসেবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের প্রক্রিয়া শুরু করবে। পথরোখা  দেশ কমিউনিকেশনস-এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান।
 
পথরোখা জাতীয় সংবাদের উপর তো বটেই এর সঙ্গে রাজনীতি, আন্তর্জাতিক, খেলাধুলা, কৃষি, বিনোদন, অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, তথ্য ও প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন বিভাগকেও গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে। মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিকতা এবং চৌকস ফটোগ্রাফিকে বিশেষ বিবেচনায় রাখে।
 
পথরোখা’র সম্পাদক আরিফ সোহেল এই সেক্টরে একজন খুব পরিচিত ব্যক্তিত্ব। সাংবাদিক হিসেবে তার দীর্ঘ ৩০ বছর কর্মজীবনে তিনি দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকা, আজকের কাগজ, রিপোর্ট২৪ ডটকম প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। এ ছাড়া তিনি সরকারী ক্রীড়া পাক্ষিক ‘ক্রীড়া জগত’ ও লাইফস্টাইল ম্যাগাজিক অপ্সরা নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। তিনি জনপ্রিয় অনলাইন দেশকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
 
পথরেখা দেশের মৌলিক মূল্যবোধ, বিশেষ করে জাতীয় সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। এছাড়াও, এটি দেশের নাগরিকের মানবিক ও নাগরিক অধিকারের পক্ষে কথা বলবে। ন্যায়পরায়ণতা, নির্ভুলতা এবং বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রাখতে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ। আমরা বিশ্বাস করি যে জনগণের বিশ্বাসযোগ্যতা আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। পথরেখা রাজনৈতিক ইস্যুতে নির্দলীয় অবস্থান বজায় রাখবে। একটি নিরপক্ষ অনলাইন হিসেবে আমরা নিজেদের কর্মকাণ্ডে প্রমাণ করার শতভাগ প্রছেষ্টা করব। তবে সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করেও কিছু ভুল হতেই পারে। যা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রাখছি সব মহলেই। সততা পথে অবিচল; আলোর পথে অবিরাম যাত্রায় আমাদের পাশে থাকুন; আমরা থাকব আপনাদের পাশে।
 
উল্লেখ্য, পথরেখা হিসেবে একটি প্রকাশনী দীর্ঘদিন থেকে প্রকাশিত হয়ে আসছে। এবার উদ্যোগ নেওয়া হলো অনলাইন অনলাইন নিউজ পোর্টাল হিসেবে প্রকাশ করার।