• সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪
    ৯ পৌষ ১৪৩১
    ঢাকা সময়: ১৭:১৯

দুর্গাপূজা : বাঙালি হিন্দুদের সবচেয়ে বড় উৎসব

  • মত-দ্বিমত       
  • ২০ অক্টোবর, ২০২৩       
  • ৭৪৬
  •       
  • ২০-১০-২০২৩, ১৬:২৭:৫১

• মৃণাল বন্দ্য
 
"ইয়া দেবী সর্বভূতেষু ক্ষান্তিরূপেণ সংস্থিতা।”
"নমস্তসৈ নমস্তসৈ নমস্তসৈ নমো নমঃ।।”
"ইয়া দেবী সর্বভূতেষু জাতিরূপেণ সংস্থিতা।”
"নমস্তসৈ নমস্তসৈ নমস্তসৈ নমো নমঃ।।”
 
প্রতিটি বাঙালি হিন্দু মানেই এই মন্ত্রের সুরে জেগে উঠে মন। মার চলে আসার সময় হয়ে এলো বাপের বাড়ি! বরণ ডালা নিয়ে তৈরি মেয়েকে স্বাগত জানাতে! চারদিকে আলোর রোশনাই, বেজে চলেছে ঢাক! এটা কেবল একটি উৎসব নয়, মিলনোৎসব বটে! স্নান সেরে নতুন জামা পড়ে মার সামনে অঞ্জলিতে দাঁড়ানো প্রতিটি বাঙালি হিন্দুর এক অন্য রকম আনন্দ। প্রতিটি বছর সবাই অপেক্ষায় থাকে এই মুহূর্তের জন্য। দশমীর দিন যেভাবে মা কাঁদিয়ে যায়, বছর ঘুরে এদিন সবার মুখে ফুটে উঠে হাসি আর আনন্দ। 
 
দেবীপক্ষের সূচনা কিন্তু হয়ে গেছে। ২০ অক্টোবর "দুর্গাষষ্ঠী" এর মাধ্যমে জমে উঠবে শারদীয়া দুর্গাপূজা । সাধারণত আশ্বিন মাসের শুক্ল পক্ষের ষষ্ঠ থেকে দশম দিন পর্যন্ত শারদীয়া দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হয়। এই ৫ দিন যথাক্রমে "দুর্গাষষ্ঠী", "দুর্গাসপ্তমী", "মহাষ্টমী", "মহানবমী" ও "বিজয়াদশমী" নামে পরিচিত। আশ্বিন মাসের শুক্ল পক্ষটিকে বলা হয় "দেবীপক্ষ"। দেবীপক্ষের সূচনার অমাবস্যাটির নাম মহালয়া; এই দিন সনাতনীরা তর্পণ করে তাদের পূর্বপুরুষদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে। দেবীপক্ষের শেষ দিনটি হল কোজাগরী পূর্ণিমা। এই দিন সনাতন ধর্মাবলম্বীদের দেবী লক্ষ্মীর পূজা করা হয়। "
 
দুর্গার আগমন, প্রস্থানের বাহন ও তার ফলাফল নিয়ে বাঙালি সমাজে বহু কথা প্রচলিত আছে। দেবী দুর্গা ও তাঁর পুত্র-কন্যার নিজস্ব বাহন থাকলেও আগমন ও প্রস্থানের বাহনের কথা আলাদা করে পঞ্জিকায় উল্লেখ করা থাকে। হিন্দুশাস্ত্র অনুযায়ী, দুর্গার আগমন ও প্রস্থানের বাহন নির্ধারণ করে মর্ত্যলোকে সারা বছর কেমন যাবে। প্রতিবছর দুর্গার আগমন ও প্রস্থান সাধারণত একই বাহনে হয় না। যদি কোনো বছর তেমন হয়‚ তাহলে তা খুবই অশুভ ইঙ্গিত বহন করে। এ বছর দুর্গার আসা ও যাওয়া, দুটোই হবে ঘোড়ায়। ফলে আগামী এক বছর অশুভ প্রভাব থাকবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
 
শারদীয়া দুর্গাপূজাকে "অকালবোধন" বলা হয়। দুর্গাপুজোর সঙ্গে কত শতকের ইতিহাস জড়িয়ে আছে। এর নেপথ্যে কতই না লোক গাঁথা, পৌরাণিক গল্প আছে। পুরাণ অনুযায়ী বসন্তকাল হচ্ছে দেবী দুর্গার পুজো করার আসল সময়। কিন্তু রাবণকে বধ করার জন্য রামচন্দ্র দেবীর অকালে আবাহন করেন তাঁর আশীর্বাদ পাওয়ার জন্য। রাম যে দুর্গাকে পুজো করেছিলেন তাঁর দশটি হাত রয়েছে এবং তিনি মহিষাসুরকে বধ করেছিলেন। ফলে বরাবর আমরা যে উৎসবকে দুর্গোৎসব বলে জেনে আসছি সেটার আরেক নাম হল অকাল বোধন।
 
পূজোর এই কদিন মন ভরে যেমন মা দুর্গাকে পূজো করেন ভক্তরা, একই সাথে প্রার্থনা করেন সমগ্র মানবজাতির জন্য, এখানে কোন ভেদাভেদ নেই।
“সর্ব্বমঙ্গলমঙ্গল্যে শিবে সর্ব্বার্থসাধিকে।
শরণ্যে ত্র্যম্বকে গৌরি নারায়ণি নমোহস্তুতে।।”
পথরেখা/আসো

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

পথরেখা : আমাদের কথা

আমাদের পোর্টালের নাম— pathorekha.com; পথরোখা একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। আমরা এই প্রতিষ্ঠানকে প্রতিদিনের সত্য-সংবাদের পথরেখা হিসেবে প্রমাণ করতে চাই। পথরেখা সারাদেশের পাঠকদের জন্য সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ এবং মতামত প্রকাশ করবে। পথরোখা নিউজ পোর্টাল হিসেবে ২০২৩ সালের জুন মাসে যাত্রা শুরু করলো। অচিরেই পথরেখা অনলাইন মিডিয়া হিসেবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের প্রক্রিয়া শুরু করবে। পথরোখা  দেশ কমিউনিকেশনস-এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান।
 
পথরোখা জাতীয় সংবাদের উপর তো বটেই এর সঙ্গে রাজনীতি, আন্তর্জাতিক, খেলাধুলা, কৃষি, বিনোদন, অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, তথ্য ও প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন বিভাগকেও গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে। মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিকতা এবং চৌকস ফটোগ্রাফিকে বিশেষ বিবেচনায় রাখে।
 
পথরোখা’র সম্পাদক আরিফ সোহেল এই সেক্টরে একজন খুব পরিচিত ব্যক্তিত্ব। সাংবাদিক হিসেবে তার দীর্ঘ ৩০ বছর কর্মজীবনে তিনি দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকা, আজকের কাগজ, রিপোর্ট২৪ ডটকম প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। এ ছাড়া তিনি সরকারী ক্রীড়া পাক্ষিক ‘ক্রীড়া জগত’ ও লাইফস্টাইল ম্যাগাজিক অপ্সরা নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। তিনি জনপ্রিয় অনলাইন দেশকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
 
পথরেখা দেশের মৌলিক মূল্যবোধ, বিশেষ করে জাতীয় সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। এছাড়াও, এটি দেশের নাগরিকের মানবিক ও নাগরিক অধিকারের পক্ষে কথা বলবে। ন্যায়পরায়ণতা, নির্ভুলতা এবং বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রাখতে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ। আমরা বিশ্বাস করি যে জনগণের বিশ্বাসযোগ্যতা আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। পথরেখা রাজনৈতিক ইস্যুতে নির্দলীয় অবস্থান বজায় রাখবে। একটি নিরপক্ষ অনলাইন হিসেবে আমরা নিজেদের কর্মকাণ্ডে প্রমাণ করার শতভাগ প্রছেষ্টা করব। তবে সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করেও কিছু ভুল হতেই পারে। যা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রাখছি সব মহলেই। সততা পথে অবিচল; আলোর পথে অবিরাম যাত্রায় আমাদের পাশে থাকুন; আমরা থাকব আপনাদের পাশে।
 
উল্লেখ্য, পথরেখা হিসেবে একটি প্রকাশনী দীর্ঘদিন থেকে প্রকাশিত হয়ে আসছে। এবার উদ্যোগ নেওয়া হলো অনলাইন অনলাইন নিউজ পোর্টাল হিসেবে প্রকাশ করার।