• শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪
    ৬ আশ্বিন ১৪৩১
    ঢাকা সময়: ০৯:৩১

শীতের সবজি গ্রীষ্মে আবাদ করে দুপয়সার মুখ দেখছে ঝিনাইদহের কৃষকেরা

  • কৃষি বার্তা       
  • ১০ সেপ্টেম্বর, ২০২৪       
  • ১৮
  •       
  • ১০-০৯-২০২৪, ১৯:৫৬:১০

পথরেখা অনলাইন : শীতের সবজি গ্রীষ্মে আবাদ করে লাভবান হচ্ছে ঝিনাইদহের কৃষকেরা। এ জেলার মাটিতে বছর জুড়ে নানা ধরনের সবজি উৎপাদন হয়ে থাকে। তারপরেও অসময়ের চাষে বেশি পরিমাণ লাভ থাকায় দিন দিন এই চাষে ঝুঁকে পড়ছেন কৃষকেরা। বিক্রি করতেও কোন ঝামেলা নেই, মাঠ থেকে চাষিদের নিকট হতে কিনে এনে ব্যাপারীরা রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় পাঠাচ্ছেন। গেল কয়েক বছর শীতের সবজি ফুলকপি ও বাঁধা কপি গ্রীষ্মে আবাদ করে লাভবান হয়েছেন চাষিরা।
এবং চাষিরা সবজি বিক্রি করে দু'পয়সার মুখ দেখছে।

কৃষকরা জানান, গ্রীষ্মকালীন ফুলকপি ও বাঁধাকপি বছরের ১লা আষাঢ় মাসে চাষ শুরু করা হয়ে থাকে। প্রতিবিঘা জমিতে সাড়ে ৩ হাজার থেকে ৪ হাজার পর্যন্ত চারা রোপণ করা যায়। বীজতলায় চারাগাছ থেকে শুরু করে মাত্র ৩ মাসে ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকা উৎপাদন খরচ করে বিঘা প্রতি প্রায় লক্ষাধিক টাকা বিক্রি করা যায়। কোটচাঁদপুর উপজেলার লক্ষীপুর গ্রামের কৃষক আমিরুল ইসলাম জানান, এ বছর তীব্র গরম ও বেশি পরিমাণ বৃষ্টিতে প্রতিকুল আবহাওয়াতেও তিন মাস অর্থাৎ ৯০ দিনের মধ্যে কপি বাজারজাত করতে পেরেছেন অনেক চাষি। প্রতি বিঘা জমিতে বাঁধাকপি ৫ টন ও ফুলকপি ৩ টন উৎপাদন হয়ে থাকে।
 
এতে কৃষকরা অনেক টাকা লাভবান হয়ে থাকে। জেলার কোটচাঁদপুর উপজেলার লক্ষীপুর গ্রামের চাষি ইছাহক আলী বলেন, এ বছর প্রতিবিঘা জমিতে বীজ, সার, কীটনাশকসহ খরচ হয়েছে প্রায় ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকা। বর্তমান বাজার দাম ভালো থাকায় বেশ ভালো লাভ হয়েছে। গেল বছরও বিঘা প্রতি কপি বিক্রি করে খরচ বাদে চাষিরা ৫০ থেকে ৬০ হাজার টাকা লাভ করেছিল। পাইকার ব্যবসায়ী সিরাজুল ইসলাম বলেন, কপির বাজার চাহিদা ও সাইজের উপর দাম নির্ভর করে। এ বছর কপির সাইজ কিছুটা ছোট হয়েছে। প্রতি পিচ ফুলকপি ও বাঁধাকপি ১৮ থেকে ২২ টাকায় কৃষকদের জমি থেকে ক্রয় করে ঢাকাতে পাঠায়।

ঝিনাইদহ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-সহকারি কৃষি অফিসার মোঃ সাইদ সিদ্দিকী (সংযুক্ত) জানান, এই জেলাতে ফুলকপি ও বাঁধাকপিসহ বিভিন্ন সবজির আবাদ হয়েছে ৫ হাজার ৪২৯ হেক্টর। আর এবছর হেক্টর প্রতি ১৭ দশমিক ১২ মেট্রিক টন সবজি উৎপাদন হবে বলে আশা করছেন কৃষি বিভাগ। ভৌগলিকভাবে জেলার মাটি উঁচু ভূমি হওয়ায় সময়ে অসময়ে সব ধরনের সবজি চাষ এখানে হয়ে থাকে। এখানে আবাদি জমিতে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়না। অন্যান্য জেলার চাইতে এ জেলায় প্রাকৃতিক দুর্যোগ কম হওয়ায় ভালোভাবে গ্রীষ্মকালীন সবজি চাষ করা সম্ভব হয়।
পথরেখা/এআর

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

পথরেখা : আমাদের কথা

আমাদের পোর্টালের নাম— pathorekha.com; পথরোখা একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। আমরা এই প্রতিষ্ঠানকে প্রতিদিনের সত্য-সংবাদের পথরেখা হিসেবে প্রমাণ করতে চাই। পথরেখা সারাদেশের পাঠকদের জন্য সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ এবং মতামত প্রকাশ করবে। পথরোখা নিউজ পোর্টাল হিসেবে ২০২৩ সালের জুন মাসে যাত্রা শুরু করলো। অচিরেই পথরেখা অনলাইন মিডিয়া হিসেবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের প্রক্রিয়া শুরু করবে। পথরোখা  দেশ কমিউনিকেশনস-এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান।
 
পথরোখা জাতীয় সংবাদের উপর তো বটেই এর সঙ্গে রাজনীতি, আন্তর্জাতিক, খেলাধুলা, কৃষি, বিনোদন, অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, তথ্য ও প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন বিভাগকেও গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে। মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিকতা এবং চৌকস ফটোগ্রাফিকে বিশেষ বিবেচনায় রাখে।
 
পথরোখা’র সম্পাদক আরিফ সোহেল এই সেক্টরে একজন খুব পরিচিত ব্যক্তিত্ব। সাংবাদিক হিসেবে তার দীর্ঘ ৩০ বছর কর্মজীবনে তিনি দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকা, আজকের কাগজ, রিপোর্ট২৪ ডটকম প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। এ ছাড়া তিনি সরকারী ক্রীড়া পাক্ষিক ‘ক্রীড়া জগত’ ও লাইফস্টাইল ম্যাগাজিক অপ্সরা নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। তিনি জনপ্রিয় অনলাইন দেশকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
 
পথরেখা দেশের মৌলিক মূল্যবোধ, বিশেষ করে জাতীয় সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। এছাড়াও, এটি দেশের নাগরিকের মানবিক ও নাগরিক অধিকারের পক্ষে কথা বলবে। ন্যায়পরায়ণতা, নির্ভুলতা এবং বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রাখতে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ। আমরা বিশ্বাস করি যে জনগণের বিশ্বাসযোগ্যতা আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। পথরেখা রাজনৈতিক ইস্যুতে নির্দলীয় অবস্থান বজায় রাখবে। একটি নিরপক্ষ অনলাইন হিসেবে আমরা নিজেদের কর্মকাণ্ডে প্রমাণ করার শতভাগ প্রছেষ্টা করব। তবে সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করেও কিছু ভুল হতেই পারে। যা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রাখছি সব মহলেই। সততা পথে অবিচল; আলোর পথে অবিরাম যাত্রায় আমাদের পাশে থাকুন; আমরা থাকব আপনাদের পাশে।
 
উল্লেখ্য, পথরেখা হিসেবে একটি প্রকাশনী দীর্ঘদিন থেকে প্রকাশিত হয়ে আসছে। এবার উদ্যোগ নেওয়া হলো অনলাইন অনলাইন নিউজ পোর্টাল হিসেবে প্রকাশ করার।