• রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪
    ৬ আশ্বিন ১৪৩১
    ঢাকা সময়: ১১:২৯
কঠোর ভিসা নীতিতে কানাডা

বৈধ ভিসা থাকা সত্ত্বেও ফিরিয়ে দেয়া হচ্ছে পর্যটকদের

মৃণাল বন্দ্য, কানাডা থেকে 
অভিভাসীবান্ধব হিসেবে বরাবরই কানাডা একটি জনপ্রিয় দেশ। মাল্টি কালচারের এই দেশে আশ্রয় পেয়েছে বিভিন্ন দেশের নিপীড়িত মানুষরা। তবে গত ৪/৫ বছরে যে পরিমাণ মানুষ কানাডায় প্রবেশ করেছে, তাতে নাভিশ্বাস উঠেছে স্থানীয়দের। নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দামের অস্বাভাবিক উর্ধগতি, আবাসিক সংকট আর সাম্প্রতিক সময়ে আইন শৃঙ্খলা পরিস্থতি এমন দাঁড়িয়েছে যে জনপ্রিয়তায় ভাটা পড়তে শুরু করেছে ট্রুডো সরকারের। এর উপর আবার আগামী বছর কানাডায় সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। যে কারণে এখন একের পর এক নিয়ম পরিবর্তন করে যাচ্ছে কানাডা সরকার। এর প্রভাব পড়েছে সীমান্তে। শুধু অবৈধ নয়, বৈধ ভিসা নিয়েও কানাডায় ঢুকতে পারছেন না অনেকে। সীমান্ত থেকে, বিমানবন্দর থেকে ফিরিয়ে দেয়া হচ্ছে তাদের। 
 
গত জুন মাসে দেশটির প্রত্যাখ্যান করা ভিজিট ভিসার আবেদনের অনুপাত ভিসা অনুমোদনের আবেদনের হারের তুলনায় অনেক বেশি ছিল। অর্থাৎ দেশটির ভিসা না পাওয়ার হার করোনাভাইরাস মহামারির সময়ে সর্বোচ্চে পৌঁছানোর পর যেকোনও সময়ের তুলনায় বেশি ছিল গত জুনে। দেশটির অভিবাসন বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের জানুয়ারি, ফেব্রুয়ারি, মে এবং জুন মাসে ভিসা অনুমোদনের চেয়ে ভিসার আবেদন প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে বেশি। শুধু তাই নয়, বিশ্ববিদ্যালয়গুলো তাদের আসন পূরণ করতে পারেনি এই ভিসা জটিলতার কারণে। 
 
ভিসা ইস্যু হ্রাস, বৈধ নথি নিয়ে সীমান্তে পৌঁছানোদের বেশি সংখ্যায় ফিরিয়ে দেওয়ার মাধ্যমে বিদেশি পর্যটক ও অস্থায়ী বাসিন্দাদের জন্য দেশে প্রবেশের দরজা বন্ধ করে দিচ্ছে কানাডা। কানাডার অভিবাসন নীতি আরও কঠোর করার লক্ষ্যে এই ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে বলে দেশটির সরকারি এক নথিতে দেখা গেছে।
 
আগামী বছর কানাডায় যে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে, তার নির্বাচনী প্রতিদ্বন্দ্বিতায় দেশটির ক্ষমতাসীন প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো নেতৃত্বাধীন উদারপন্থী সরকার পিছিয়ে রয়েছে। যে কারণে বিদেশি ভ্রমণকারী, অস্থায়ী বাসিন্দা ছাড়াও স্থায়ী অভিবাসীদের সংখ্যা হ্রাসের চেষ্টা করছে ট্রুডোর সরকার। দেশটিতে বর্তমানে আবাসন সংকট ও বাসা ভাড়া বৃদ্ধির জন্য অভিবাসীদের দায়ী করা হয়।
 
অতীতে নতুন করে আসা অভিবাসীদের সাদরে গ্রহণ করার রেকর্ড রয়েছে কানাডীয়দের। তবে সাম্প্রতিক এক জরিপে ক্রমবর্ধমানসংখ্যক কানাডীয় বলেছেন, দেশটি অনেক বেশি অভিবাসীকে গ্রহণ করেছে। পর্যবেক্ষকরা বলেছেন, এই অবস্থান সীমান্ত ও অভিবাসন কর্মকর্তাদের সিদ্ধান্ত পাল্টাতে ভূমিকা রাখছে।
 
গত জুলাইয়ে কানাডা ৫ হাজার ৮৫৩ জন ভ্রমণকারীকে দেশটিতে ঢোকার অনুমতি দেয়নি। তাদের মধ্যে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের শিক্ষার্থী, কর্মী ও পর্যটকও ছিলেন। দেশটিতে এক মাসে এতসংখ্যক মানুষকে প্রবেশ করতে না দেওয়ার ঘটনা ২০১৯ সালের জানুয়ারির পর সর্বোচ্চ। নথিতে দেখা যায়, দেশটির সীমান্ত কর্মকর্তারা চলতি বছরের প্রথম সাত মাসে গড়ে ৩ হাজার ৭২৭ জন করে বিদেশি ভ্রমণকারীকে ফিরিয়ে দিয়েছেন; যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ২০ শতাংশ বা ৬৩৩ জন বেশি।
 
এছাড়া পৃথকভাবে দেশটির কর্মকর্তারা গত জুলাইয়ে ২৮৫ জন ভিসাধারীকে কানাডায় প্রবেশের অযোগ্য বলে বিবেচনা করেন। পরিসংখ্যানে দেখা যায়, ওই মাসে কানাডার ভিসাধারীদের দেশটিতে প্রবেশে অযোগ্য হিসেবে বিবেচনা করার হার ২০১৯ সালের জানুয়ারির পর যেকোনও মাসের তুলনায় সর্বোচ্চ। কানাডার সীমান্ত সেবা সংস্থার (সিবিএসএ) একজন মুখপাত্র রয়টার্সকে বলেছেন, প্রবেশে অযোগ্য বিবেচনার বিষয়টি অভিবাসনের ধরন বা নীতির পরিবর্তনের কারণে হতে পারে। এছাড়া এই বিষয়ে ভিসাধারীদের ব্যক্তিগত বিবরণ অনুযায়ী চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তবে নির্দিষ্ট কোনও নীতি পরিবর্তন হয়েছে কি না সেটি জানায়নি সিবিএসএ।
 
‘‘কানাডায় আসা ব্যক্তিদের গ্রহণযোগ্যতার মূল্যায়নের ক্ষেত্রে সিবিএসএর ভূমিকা, নীতি এবং এসবের চর্চা সবসময়ই করা হয়েছে। এটার পরিবর্তিন হয়নি বলেন ওই মুখপাত্র। একই সঙ্গে কানাডার অভিবাসন বিভাগ বর্তমানে ভিসার অনুমোদন কমিয়ে দিয়েছে।
পথরেখা/আসো

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

পথরেখা : আমাদের কথা

আমাদের পোর্টালের নাম— pathorekha.com; পথরোখা একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। আমরা এই প্রতিষ্ঠানকে প্রতিদিনের সত্য-সংবাদের পথরেখা হিসেবে প্রমাণ করতে চাই। পথরেখা সারাদেশের পাঠকদের জন্য সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ এবং মতামত প্রকাশ করবে। পথরোখা নিউজ পোর্টাল হিসেবে ২০২৩ সালের জুন মাসে যাত্রা শুরু করলো। অচিরেই পথরেখা অনলাইন মিডিয়া হিসেবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের প্রক্রিয়া শুরু করবে। পথরোখা  দেশ কমিউনিকেশনস-এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান।
 
পথরোখা জাতীয় সংবাদের উপর তো বটেই এর সঙ্গে রাজনীতি, আন্তর্জাতিক, খেলাধুলা, কৃষি, বিনোদন, অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, তথ্য ও প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন বিভাগকেও গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে। মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিকতা এবং চৌকস ফটোগ্রাফিকে বিশেষ বিবেচনায় রাখে।
 
পথরোখা’র সম্পাদক আরিফ সোহেল এই সেক্টরে একজন খুব পরিচিত ব্যক্তিত্ব। সাংবাদিক হিসেবে তার দীর্ঘ ৩০ বছর কর্মজীবনে তিনি দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকা, আজকের কাগজ, রিপোর্ট২৪ ডটকম প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। এ ছাড়া তিনি সরকারী ক্রীড়া পাক্ষিক ‘ক্রীড়া জগত’ ও লাইফস্টাইল ম্যাগাজিক অপ্সরা নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। তিনি জনপ্রিয় অনলাইন দেশকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
 
পথরেখা দেশের মৌলিক মূল্যবোধ, বিশেষ করে জাতীয় সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। এছাড়াও, এটি দেশের নাগরিকের মানবিক ও নাগরিক অধিকারের পক্ষে কথা বলবে। ন্যায়পরায়ণতা, নির্ভুলতা এবং বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রাখতে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ। আমরা বিশ্বাস করি যে জনগণের বিশ্বাসযোগ্যতা আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। পথরেখা রাজনৈতিক ইস্যুতে নির্দলীয় অবস্থান বজায় রাখবে। একটি নিরপক্ষ অনলাইন হিসেবে আমরা নিজেদের কর্মকাণ্ডে প্রমাণ করার শতভাগ প্রছেষ্টা করব। তবে সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করেও কিছু ভুল হতেই পারে। যা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রাখছি সব মহলেই। সততা পথে অবিচল; আলোর পথে অবিরাম যাত্রায় আমাদের পাশে থাকুন; আমরা থাকব আপনাদের পাশে।
 
উল্লেখ্য, পথরেখা হিসেবে একটি প্রকাশনী দীর্ঘদিন থেকে প্রকাশিত হয়ে আসছে। এবার উদ্যোগ নেওয়া হলো অনলাইন অনলাইন নিউজ পোর্টাল হিসেবে প্রকাশ করার।