দেশকন্ঠ প্রতিবেদন : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আমলে মসজিদভিত্তিক মক্তব প্রতিষ্ঠা, ইবতেদায়ি মাদ্রাসাসহ বিভিন্নভাবে আলেমদের কল্যাণ করা হচ্ছে মন্তব্য করে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন,শেখ হাসিনা আবারও দায়িত্ব পেলে আলেমদের জন্য আরও কল্যাণ করবেন। তিনি বলেন, ‘যখন ভোট আসে তখন বিএনপি কড়া মুসলান হয়ে যায়। ভোট চলে গেলে ওইটা ভুলে যায়।’মঙ্গলবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে বাংলাদেশ ইউনাইটেড ইসলামি পার্টির উদ্যোগে ইফতার মাহফিল ও আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘যখন ভোট আসে তখন বিএনপি কড়া মুসলান হয়ে যায়। ভোট চলে গেলে ওইটা ভুলে যায়। তারা যখন ক্ষমতায় ছিল, তখন ইসলামের খেদমতের জন্য, আলেম ওলামাদের খেদমতের জন্য কোনও কাজ করেনি। বাংলাদেশে ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের দাবি ছিল শত বর্ষের। সে দাবি কেউ পূরণ করেনি। আমাদের প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা সেটা করেছেন।’
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘প্রত্যেকটি উপজেলায় একটি করে মসজিদ, বাইরে থেকে তাকালে মন জুড়িয়ে যায়, ভেতর ঢুকলে মন জুড়িয়ে যায়— এটি শেখ হাসিনা করেছেন।' তিনি আরও বলেন, ‘কওমি মাদ্রাসাকে স্বীকৃতি দেওয়া হবে— এটি কেউ কল্পনাও করতে পারেনি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেই স্বীকৃতি দিয়েছেন।’
‘দেশে প্রায় এক লাখ মসজিদভিত্তিক মক্তব প্রতিষ্ঠা, মক্তবে প্রতি শিক্ষককে মাসে পাঁচ হাজার দুইশ’ টাকা ভাতা দেওয়া, পাশাপাশি ২০ হাজার দারুল আরকাম ইবতেদায়ি মাদ্রাসাকে ১২ হাজার টাকা করে মাসিক ভাতা শেখ হাসিনা নিজ উদ্যোগে চালু করেছেন’, জানান তথ্যমন্ত্রী। আলেমদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘যারা ভোট আসলে মুসলান হয়ে যায়, এদের ব্যাপারে সতর্ক থাকার জন্য আপনারা দয়া জনগণকে অনুরোধ জানাবেন। যারা ইসলামের কথা বলে বিভ্রান্তি ছড়ায়, হানাহানি করে, ফেতনা সৃষ্টি করে, তাদের ব্যাপারেও সতর্ক থাকতে হবে।'
বাংলাদেশ ইউনাইটেড ইসলামী পার্টির চেয়ারম্যান মাওলানা ইসমাইল হোসাইনের সভাপতিত্বে ইফতার মাহফিল ও আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন— ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খান, বায়তুল মোকাররমের ইমাম মাওলানা এহসানুল হক, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের বোর্ড অব গর্ভনর ড. কাফিল উদ্দিন সরকার সালেহী, সাবেক সদস্য সিরাজুল ইসলাম মোল্লাসহ
দেশকণ্ঠ/রাসু