দেশকন্ঠ প্রতিবেদন : প্যারাগুয়েকে হারিয়ে ফাইনালের টিকিট নিশ্চিত করেছে সেলেকাও ফেমেনিনারা। আলফনসো লোপেজ স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ সময় বুধবার ভোরে হওয়া ম্যাচটিতে প্যারাগুয়েকে ২-০ গোলে হারিয়েছে ব্রাজিল। দলের জয়ে গোল দুইটি করেছেন আরি বোর্গেস ও বিত্রিজ জানেরাত্তো। আগামী রোববার শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচে লড়বে ব্রাজিল ও কলম্বিয়া। গ্রুপপর্বের চার ম্যাচে প্রতিপক্ষের জালে ন্যুনতম তিনটি করে গোল দিয়েছিল ব্রাজিল। সেমিতে এসেও তারা খেলেছে দাপুটে ফুটবল। তবে গোল পায়নি দুইটির বেশি। সবমিলিয়ে পাঁচ ম্যাচে ১৯ গোল করে, কোনো গোল হজম না করে ফাইনালে উঠলো তারা।
ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে প্যারাগুয়ের রক্ষণে একের পর এক আক্রমণ চালিয়েছে ব্রাজিল। পুরো ম্যাচে প্রায় ৭০ শতাংশ সময় বলের দখল নিজেদের নিয়ন্ত্রণে রেখে গোলের জন্য তারা অন্তত ২৩টি শট করে। যার মধ্যে আটটিই ছিল লক্ষ্য বরাবর। কিন্তু দুইবারের বেশি তা জালে প্রবেশ করেনি। ব্রাজিলের দুইটি গোলই হয়েছে প্রথমার্ধে। ম্যাচের ১৬ মিনিটের সময় বিত্রিজের অ্যাসিস্ট থেকে দলকে লিড এনে দেন আরি বোর্গেস। এর ১২ মিনিট পরে বিত্রিজ নিজেই নাম তোলেন স্কোরশিটে। তাকে বল এগিয়ে দেন অ্যান্তোনিয়া ডা কস্তা সিলভা।
এই ম্যাচ হেরে শিরোপার দৌড় থেকে বিদায় নিলেও, প্যারাগুয়ের সামনে এখন রয়েছে তৃতীয় হওয়ার হাতছানি। আগামী শনিবার আরেক সেমিফাইনালে পরাজিত দল আর্জেন্টিনার বিপক্ষে তৃতীয় স্থান নির্ধারণী ম্যাচে নামবে তারা। কলম্বিয়ার কাছে ১-০ গোলে হেরেছিল আর্জেন্টিনা। অন্যদিকে ফাইনালে ওঠা দুই দলই এখন পর্যন্ত রয়েছে অপরাজিত। এ গ্রুপ থেকে চার ম্যাচে ১৩ গোল করে সেমিফাইনালে উঠেছিল কলম্বিয়া। বিপরীতে তারা হজম করে তিনটি। অন্যদিকে পুরো আসরে এখন পর্যন্ত পাঁচ ম্যাচে কোনো গোল হজম করেনি ব্রাজিল। এবার ব্রাজিলের সামনে হাতছানি অষ্টমবারের মতো নারী কোপা আমেরিকা জেতার। আগের আট আসরে মাত্র একবারই তারা চ্যাম্পিয়ন হতে পারেনি। ২০০৬ সালে নিজেদের ঘরের মাঠে শিরোপা জিতেছিল আর্জেন্টিনা। বাকি সাত আসরেই বাজিমাত করেছে সেলেকাও ফেমেনিনারা।
দেশকন্ঠ/অআ