• রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪
    ৬ আশ্বিন ১৪৩১
    ঢাকা সময়: ১১:৪৬

উদ্ভাসিত পিএসজি নেইমার আলোয়

দেশকন্ঠ প্রতিবেদন : দেখো, কাকে ছেড়ে দিতে চেয়েছিলে!' চলতি মৌসুমে দুর্দান্ত পারফর্ম্যান্স দিয়ে যেন পিএসজিকে এমনটাই বুঝাতে চাইছেন নেইমার। নিবেদন নিয়ে প্রশ্ন উঠছিল তার, গুঞ্জন ছিল তাকে ছেড়েই দিতে চায় প্যারিসিয়ানরা। তার জবাবটা মাঠেই দিচ্ছেন ব্রাজিলিয়ান তারকা। আগের ম্যাচে করেছিলেন এক গোল, সতীর্থদের দিয়ে করিয়েছিলেন আরও তিনটি। গত রাতে মঁপেলিয়ের বিপক্ষেও ফর্মটা ধরে রাখলেন, করলেন জোড়া গোল। তাতেই পিএসজি পেল ৫-২ ব্যবধানের বিশাল জয়। নিজেদের মাঠ পার্ক দেস প্রিন্সেসে শুরু থেকেই বলের দখলে আধিপত্য ছিল তাদের। তবে ফিনিশিংয়ের দূর্বলতায় ক্রিস্তোফ গালতিয়েরের শিষ্যদের গোলের জন্য অপেক্ষা করতে হয়েছে ম্যাচের ৩৯ মিনিট পর্যন্ত। ১৭ মিনিটে লিওনেল মেসি দারুণ এক বল বাড়িয়েছিলেন নেইমারকে, তবে প্রথম ছোঁয়ায় গড়বড় পাকিয়ে বলটা প্রতিপক্ষ গোলরক্ষকের হাতে তুলে দেন নেইমার। 
 
 
 
এর কিছু পরই ভিতিনিয়ার পাস থেকে নেইমার ছিলেন গোলের খুব কাছাকাছি, তবে দুরূহ কোণ থেকে শট নিয়ে গোলটা আর পাননি তিনি। মঁপেলিয়ে গোলরক্ষক ইয়োনাস অমলিনও ফর্মে ছিলেন দারুণ, মেসির দুর্দান্ত ফ্রি কিক ঠেকিয়েছেন, এর একটু পর একটা নিচু শটও ফিরিয়েছেন তিনি। প্রথমার্ধে ঠেকিয়েছেন কিলিয়ান এমবাপের পেনাল্টিও। সবকিছুর মিশেলে পিএসজির অপেক্ষাটা বড় হয়েছে ৩৯ মিনিট পর্যন্ত। মঁপেলিয়ের চোয়ালবদ্ধ রক্ষণ ভাঙে নিজেদের দোষেই। এমবাপের নিচু ক্রস নিজেদের জালে জড়িয়ে দেন সাকো৷ স্বস্তির গোলটা পায় পিএসজি। স্বাগতিকদের পরের গোলটার 'অবদানও' সাকোরই। বক্সে তার হ্যান্ডবলের কারণেই পেনাল্টি পায় পিএসজি। গোলরক্ষক অমলিনকে বোকা বানিয়ে গোল করেন নেইমার। 
 
 
 
তৃতীয় গোলটা বিরতির পরেই পায় পিএসজি৷ প্রথমার্ধে অতিমানব হয়ে ওঠা অমলিন করে বসেন শিশুসুলভ ভুল। তার নেওয়া গোল কিক রুখে দেন এমবাপে, এরপর আশরাফ হাকিমি হয়ে নেইমারের পায়ে আসে বল, ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ডও কোনো ভুল করেননি। ঘণ্টার কাটা পেরোনোর আগে মঁপেলিয়ে ম্যাচে ফেরার ইঙ্গিত দিয়েছিল বৈকি! ওয়াহির শট ঠেকালেও জিয়ানলুইজি ডনারুমা বলটা আয়ত্বে আনতে পারেননি পুরোপুরি। তা চলে যায় খাজরির কাছে, সহজ ট্যাপইনে সফরকারীদের ম্যাচে ফেরান তিনি। তবে তাদের প্রত্যাবর্তনের আশা শেষ হয়ে যায় একটু পরেই। বক্সে বল বাড়িয়েছিলেন নেইমার, তা বিপদমুক্ত করলেও এমবাপের নৈপুণ্যে তিন গোলের ব্যবধান ফিরে পায় পিএসজি। শেষ সময়ে রেনাতো সাঞ্চেসের কল্যাণে পঞ্চম গোলের দেখা পায় পিএসজি। তবে যোগ করা সময়ে তা শোধ করে মঁপেলিয়ে। ফলে তিন গোলের ব্যবধানে জয় নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয় ফরাসি চ্যাম্পিয়নদের। 
দেশকন্ঠ/অআ

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

পথরেখা : আমাদের কথা

আমাদের পোর্টালের নাম— pathorekha.com; পথরোখা একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। আমরা এই প্রতিষ্ঠানকে প্রতিদিনের সত্য-সংবাদের পথরেখা হিসেবে প্রমাণ করতে চাই। পথরেখা সারাদেশের পাঠকদের জন্য সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ এবং মতামত প্রকাশ করবে। পথরোখা নিউজ পোর্টাল হিসেবে ২০২৩ সালের জুন মাসে যাত্রা শুরু করলো। অচিরেই পথরেখা অনলাইন মিডিয়া হিসেবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের প্রক্রিয়া শুরু করবে। পথরোখা  দেশ কমিউনিকেশনস-এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান।
 
পথরোখা জাতীয় সংবাদের উপর তো বটেই এর সঙ্গে রাজনীতি, আন্তর্জাতিক, খেলাধুলা, কৃষি, বিনোদন, অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, তথ্য ও প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন বিভাগকেও গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে। মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিকতা এবং চৌকস ফটোগ্রাফিকে বিশেষ বিবেচনায় রাখে।
 
পথরোখা’র সম্পাদক আরিফ সোহেল এই সেক্টরে একজন খুব পরিচিত ব্যক্তিত্ব। সাংবাদিক হিসেবে তার দীর্ঘ ৩০ বছর কর্মজীবনে তিনি দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকা, আজকের কাগজ, রিপোর্ট২৪ ডটকম প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। এ ছাড়া তিনি সরকারী ক্রীড়া পাক্ষিক ‘ক্রীড়া জগত’ ও লাইফস্টাইল ম্যাগাজিক অপ্সরা নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। তিনি জনপ্রিয় অনলাইন দেশকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
 
পথরেখা দেশের মৌলিক মূল্যবোধ, বিশেষ করে জাতীয় সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। এছাড়াও, এটি দেশের নাগরিকের মানবিক ও নাগরিক অধিকারের পক্ষে কথা বলবে। ন্যায়পরায়ণতা, নির্ভুলতা এবং বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রাখতে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ। আমরা বিশ্বাস করি যে জনগণের বিশ্বাসযোগ্যতা আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। পথরেখা রাজনৈতিক ইস্যুতে নির্দলীয় অবস্থান বজায় রাখবে। একটি নিরপক্ষ অনলাইন হিসেবে আমরা নিজেদের কর্মকাণ্ডে প্রমাণ করার শতভাগ প্রছেষ্টা করব। তবে সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করেও কিছু ভুল হতেই পারে। যা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রাখছি সব মহলেই। সততা পথে অবিচল; আলোর পথে অবিরাম যাত্রায় আমাদের পাশে থাকুন; আমরা থাকব আপনাদের পাশে।
 
উল্লেখ্য, পথরেখা হিসেবে একটি প্রকাশনী দীর্ঘদিন থেকে প্রকাশিত হয়ে আসছে। এবার উদ্যোগ নেওয়া হলো অনলাইন অনলাইন নিউজ পোর্টাল হিসেবে প্রকাশ করার।