• সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪
    ৯ পৌষ ১৪৩১
    ঢাকা সময়: ২০:৫৬

টেন হাগের ইউনাইটেডের প্রথম শিকার লিভারপুল

দেশকন্ঠ প্রতিবেদন : ম্যাচ শুরুর আগেই চমকে দিয়েছিলেন টেন হাগ। ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো এবং ক্লাব অধিনায়ক হ্যারি মাগুয়েরকে বেঞ্চে রেখেই একাদশ সাজিয়েছিলেন ইউনাইটেড কোচ। ৪-২-৩-১ ফরমেশনে আক্রমণভাগের পুরোধা হিসেবে ছিলেন রাশফোর্ড। তার পেছনে ছিলেন সানচো, ব্রুনো ফের্নান্দেস এবং অ্যান্থনি এলাঙ্গা। শুরু থেকেই ক্লপের লিভারপুলের চোখে চোখ রেখে খেলতে থাকে ইউনাইটেড। আগের দুই ম্যাচে বাজে দুই হারের সম্মুখীন হলেও এদিন যেন মাঠে নিজেদের সর্বস্ব বিলিয়ে দেওয়ার পণ করে নেমেছিলেন রেড ডেভিলরা। তাদের এই আগ্রাসী মনোভাবে সাফল্যও দ্রুতই ধরা দেয়। ক্রিশ্চিয়ান এরিকসেনের সঙ্গে ওয়ান-টু খেলে বক্সের বাঁ প্রান্ত থেকে সানচোর দিকে বল বাড়ান এলাঙ্গা। বক্সের মাঝে বল পেয়ে অ্যালিসনকে বোকা বানিয়ে বল জালে জড়াতে কোনো ভুল করেননি ইংলিশ ফরোয়ার্ড সানচো। আর তাতে নতুন মৌসুমে টানা তৃতীয় ম্যাচে শুরুতে পিছিয়ে পড়ে ইয়ুর্গেন ক্লপের দল।
 
তবে আগের দুই ম্যাচের মতো এবার আর লিভারপুল সমতায় আসতে পারেনি। দ্বিতীয়ার্ধ শুরুর আট মিনিটের মাথায় দারুণ এক প্রতি-আক্রমণ থেকে রাশফোর্ড নিচু শটে সফরকারীদের জাল কাঁপান। ভার্জিল ভ্যান ডাইক-জো গোমেজদের রক্ষণকে তুলোধুনো করে ২-০ গোলে এগিয়ে যায় ইউনাইটেড। এই ম্যাচের আগে মোহাম্মদ সালাহ শিরোপার জন্য চলতি মৌসুমে লিভারপুলের তিন প্রতিদ্বন্দ্বীর নাম জানিয়েছিলেন। তার মতে, আর্সেনাল, চেলসি এবং ম্যানচেস্টার সিটি হতে যাচ্ছে তাদের শিরোপা জয়ের পথে মূল বাধা। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডকে তিনি শিরোপা জয়ের যোগ্য বিবেচনা না করলেও এদিন শেষ মুহূর্তে গোল করেও তাদের বিপক্ষে হার এড়াতে পারেননি। ৮১ মিনিটে তার গোল হারের ব্যবধান-ই শুধু কমিয়েছে।
 
প্রাক-মৌসুমেও লিভারপুলকে হারের তেঁতো স্বাদ উপহার দিয়েছিল ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। থাইল্যান্ডের রাজামাঙ্গালা স্টেডিয়ামে ইউনাইটেডের ডাগআউটে টেন হাগের প্রথমদিনেই ক্লপের দলকে ৪-০ গোলে হারিয়েছিল তারা। এদিকে ওল্ড ট্রাফোর্ডের গ্যালারি থেকে ইউনাইটেডের অবিস্মরণীয় জয় উপভোগ করেছেন দলে নতুন সংযোজন কাসেমিরো। ইউনাইটেডের কাছে হারায় নতুন মৌসুমে এখনো জয়বঞ্চিত লিভারপুল। আগের দুই ম্যাচে ফুলহ্যাম এবং ক্রিস্টাল প্যালেসের বিপক্ষে ড্র করেছিল তারা। অন্যদিকে মৌসুমের প্রথম জয়ে টেবিলের একেবারে তলানি থেকে ১৪তম স্থানে উঠে এসেছে টেন হাগের দল।
দেশকন্ঠ/অআ

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

পথরেখা : আমাদের কথা

আমাদের পোর্টালের নাম— pathorekha.com; পথরোখা একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। আমরা এই প্রতিষ্ঠানকে প্রতিদিনের সত্য-সংবাদের পথরেখা হিসেবে প্রমাণ করতে চাই। পথরেখা সারাদেশের পাঠকদের জন্য সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ এবং মতামত প্রকাশ করবে। পথরোখা নিউজ পোর্টাল হিসেবে ২০২৩ সালের জুন মাসে যাত্রা শুরু করলো। অচিরেই পথরেখা অনলাইন মিডিয়া হিসেবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের প্রক্রিয়া শুরু করবে। পথরোখা  দেশ কমিউনিকেশনস-এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান।
 
পথরোখা জাতীয় সংবাদের উপর তো বটেই এর সঙ্গে রাজনীতি, আন্তর্জাতিক, খেলাধুলা, কৃষি, বিনোদন, অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, তথ্য ও প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন বিভাগকেও গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে। মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিকতা এবং চৌকস ফটোগ্রাফিকে বিশেষ বিবেচনায় রাখে।
 
পথরোখা’র সম্পাদক আরিফ সোহেল এই সেক্টরে একজন খুব পরিচিত ব্যক্তিত্ব। সাংবাদিক হিসেবে তার দীর্ঘ ৩০ বছর কর্মজীবনে তিনি দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকা, আজকের কাগজ, রিপোর্ট২৪ ডটকম প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। এ ছাড়া তিনি সরকারী ক্রীড়া পাক্ষিক ‘ক্রীড়া জগত’ ও লাইফস্টাইল ম্যাগাজিক অপ্সরা নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। তিনি জনপ্রিয় অনলাইন দেশকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
 
পথরেখা দেশের মৌলিক মূল্যবোধ, বিশেষ করে জাতীয় সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। এছাড়াও, এটি দেশের নাগরিকের মানবিক ও নাগরিক অধিকারের পক্ষে কথা বলবে। ন্যায়পরায়ণতা, নির্ভুলতা এবং বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রাখতে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ। আমরা বিশ্বাস করি যে জনগণের বিশ্বাসযোগ্যতা আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। পথরেখা রাজনৈতিক ইস্যুতে নির্দলীয় অবস্থান বজায় রাখবে। একটি নিরপক্ষ অনলাইন হিসেবে আমরা নিজেদের কর্মকাণ্ডে প্রমাণ করার শতভাগ প্রছেষ্টা করব। তবে সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করেও কিছু ভুল হতেই পারে। যা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রাখছি সব মহলেই। সততা পথে অবিচল; আলোর পথে অবিরাম যাত্রায় আমাদের পাশে থাকুন; আমরা থাকব আপনাদের পাশে।
 
উল্লেখ্য, পথরেখা হিসেবে একটি প্রকাশনী দীর্ঘদিন থেকে প্রকাশিত হয়ে আসছে। এবার উদ্যোগ নেওয়া হলো অনলাইন অনলাইন নিউজ পোর্টাল হিসেবে প্রকাশ করার।