দেশকন্ঠ প্রতিবেদন : গোল করে, করিয়ে এই স্বপ্নপূরণের, ইতিহাস গড়ার পথে বড় কুশীলব হিসেবেই কাজ করেছেন অধিনায়ক সাবিনা খাতুন। দলের অধিনায়ক তিনি, নেতৃত্বটা যে তিনি সামনে থেকেই দিয়েছিলেন, তার প্রমাণ মিলছে তার গোলসংখ্যায়। পুরো টুর্নামেন্টে করেছেন ৮ গোল, তাতেই টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ গোলদাতার পুরস্কারটা উঠেছে তার হাতে। সঙ্গে সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কারটাও বগলদাবা করেছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। সেই মালদ্বীপ ম্যাচ দিয়ে শুরু। বাংলাদেশের অদম্য, অপরাজিত যাত্রার শুরুটা সেই ম্যাচে। কাঠমান্ডুর দশরথ স্টেডিয়ামে জোড়া গোল করেন সাবিনা, খোলেন টুর্নামেন্টে বাংলাদেশের গোলের খাতাও। সেই ম্যাচে বাংলাদেশ জয় পায় ৩-০ ব্যবধানে।
এরপর পাকিস্তানের বিপক্ষে করে বসলেন হ্যাটট্রিক। পরের ম্যাচে ভারত ছিল বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ, সেই ম্যাচে অবশ্য গোল পাননি সাবিনা। ভারত ম্যাচে গোল না পাওয়ার ঝালটা তুললেন সেমিফাইনালে, ভুটানের ওপর। টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় হ্যাটট্রিক তুলে নেন, বাংলাদেশ ৮-০ গোলের বিশাল এক জয়ে উঠে যায় ফাইনালে। কাঠমান্ডুর দশরথে তার দায়িত্বটা ছিল বড়। এমনিতে গোলদাতাদের অভাব নেই বাংলাদেশের। তাই কোচ গোলাম রব্বানী ছোটন তাকে খেলান একটু নিচে। সে ভূমিকাতেও দারুণভাবে উতরে গেলেন সাবিনা। একের পর এক সুযোগ তৈরি করছিলেন, তাতে স্বাগতিক নেপালের ওপর ছড়িটা ঘোরাচ্ছিল বাংলাদেশই। দ্বিতীয় গোলে তার বাড়ানো দারুণ একটা বল খুঁজে পেল কৃষ্ণা চাকমাকে, এরপর গোল। তৃতীয় গোলেও একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি। তাতেই শিরোপার ছোঁয়া পেল বাংলাদেশ। কৃতিত্বের স্বীকৃতি সাবিনাও পেলেন। টুর্নামেন্টে আট গোল করে হলেন টুর্নামেন্টের সেরা গোলদাতা, সেরা খেলোয়াড়ও।
দেশকন্ঠ/অআ