• রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪
    ৬ আশ্বিন ১৪৩১
    ঢাকা সময়: ১৩:৪৭

কেঁদে-কাঁদিয়ে ফেদেরারের বিদায়

দেশকন্ঠ প্রতিবেদন : লন্ডনের ও২ অ্যারেনায় লেভার কাপের ম্যাচ খেলতে, দেখতে হাজির সব খেলোয়াড়-দর্শক সবারই তো প্রায় একই অবস্থা হয়ে গিয়েছিল! টেনিস কিংবদন্তি রজার ফেদেরার বিদায় নিচ্ছেন, তার আবেগ ছুঁয়ে গিয়েছিল প্রায় সবাইকে। এমনকি ‘জোকার’ ডাকনামে পরিচিত যে নোভাক জকোভিচ, সেই তিনিও তো চোখ মুছলেন একটু আড়ালে! জন ম্যাকেনরোর চোখে যিনি ‘সবচেয়ে সুন্দর টেনিস উপহার দেওয়া একজন’, কিংবদন্তি বিয়ন বোর্গ যার মতো টেনিস খেলার ইচ্ছা পোষণ করেন এখনো, সেই ফেদেরারই ছেড়ে যাচ্ছেন টেনিস কোর্ট! তার বিদায়ের দিনে লেভার কাপের কোর্টে যেন রীতিমতো আবেগের বিস্ফোরণই ঘটে গেল!
 
আর যিনি বিদায় নিচ্ছেন? সেই রজার ফেদেরার? তিনিও কেঁদেছেন বাচ্চা ছেলের মতো। একটু সামলে নিলেন এরপরই। পুরো কোর্ট ঘুরলেন। হাত নেড়ে দর্শকদের ধন্যবাদ জানালেন। শেষে নাদাল, জোকোভিচদের কাঁধে চড়ে নিলেন বিদায়। বেদনার রঙ নাকি নীল, সেই নীল রঙেই শনিবার রাতে সেজেছিল লন্ডনের ও২ অ্যারেনা। সেই আবহে বিদায়বেলায় যখন ফেদেরার কাঁদলেন সবান্ধবে, তখন সেটা বেদনার কান্না বলে মনে হওয়াটা অসম্ভব কিছু নয়। ফেদেরার সে ‘ভুলটা’ ভাঙলেন। জানালেন, এই অশ্রু আসলে আনন্দের। বললেন, ‘আমি সুস্থ আছি, সুখে আছি, সবকিছু চলছে ভালোই। আর এটা তো একেবারে শেষও নয়! আপনি জানেন, জীবন তার নিজের গতিতেই বয়ে চলে!’
 
ফেদেরার যতই আনন্দ-অশ্রুর কথা বলুন, বাকিদের ভেতর ভেতর যে বেদনার বিউগলই বেজে চলেছে, তা টের পাওয়া গেল নাদালের কথায়। ‘রজার চলে যাচ্ছে, সাথে করে আমার জীবনের একটা গুরুত্বপূর্ণ অংশও নিয়ে যাচ্ছে।’ –কথাটা যখন বলে শেষ করলেন, ডার্ক নাইট সিনেমায় জোকারের ব্যাটম্যানকে বলা বিখ্যাত উক্তিটাও মনে পড়ে যাওয়ার কথা আপনার। যেখানে বলেছিলেন, ‘তোমাকে ছাড়া আমি কী করতাম? তুমিই তো আমাকে পরিপূর্ণ করো!’ ২০০৫ সালের ফ্রেঞ্চ ওপেনের সেমিফাইনালে ফেদেরারকে হারিয়ে নাদালের পাদপ্রদীপের আলোয় আসা। এরপর থেকে একে অপরের মুখোমুখি কতবার হয়েছেন, কত মহাকাব্যিক সব লড়াই হয়েছে দু’জনের… সেসব ফেদেরার না থাকলে নাদাল পেতেন?  নাদালের ভাষায়, ফেদেরার তার জীবনের গুরুত্বপূর্ণ অংশ। টেনিসেরও কম কী? এখন নাদাল-জকোভিচরা তাকে ছাড়িয়ে গেলেও, ইতিহাসে প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে তিনিই যে ২০ গ্র্যান্ড স্ল্যামের গেরো খুলেছেন, দুই গ্র্যান্ড স্ল্যামে ১০০’রও বেশি জয়, এটিপি র‍্যাঙ্কিংয়ের চূড়ায় সবচেয়ে বেশি দিন থাকার রেকর্ড… এ সব কিছু তার দখলে। 
 
এ তো গেল অর্জনের ফিরিস্তি, টেনিস কোর্টে শিল্পিত সব শটে কি দারুণ রোমাঞ্চই না ছড়িয়েছেন ২৪টা বছর! তাই তো বিয়ন বোর্গ তার মতো করে খেলার ইচ্ছা পোষণ করেন এই বুড়ো বয়সে এসেও!  সেই একজনের বিদায়ে টেনিসে একটা অধ্যায়ের সমাপ্তিই টেনে দিল বৈকি! ফেদেরার যতই বলুন তার অশ্রু আনন্দের, কোর্টে হাজির সবার, বিশ্বে ছড়িয়ে থাকা প্রায় সব টেনিস ভক্তের মন তার বিদায়ে পুড়ছে বেদনার আগুনেই।
দেশকন্ঠ/অআ

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

পথরেখা : আমাদের কথা

আমাদের পোর্টালের নাম— pathorekha.com; পথরোখা একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। আমরা এই প্রতিষ্ঠানকে প্রতিদিনের সত্য-সংবাদের পথরেখা হিসেবে প্রমাণ করতে চাই। পথরেখা সারাদেশের পাঠকদের জন্য সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ এবং মতামত প্রকাশ করবে। পথরোখা নিউজ পোর্টাল হিসেবে ২০২৩ সালের জুন মাসে যাত্রা শুরু করলো। অচিরেই পথরেখা অনলাইন মিডিয়া হিসেবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের প্রক্রিয়া শুরু করবে। পথরোখা  দেশ কমিউনিকেশনস-এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান।
 
পথরোখা জাতীয় সংবাদের উপর তো বটেই এর সঙ্গে রাজনীতি, আন্তর্জাতিক, খেলাধুলা, কৃষি, বিনোদন, অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, তথ্য ও প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন বিভাগকেও গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে। মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিকতা এবং চৌকস ফটোগ্রাফিকে বিশেষ বিবেচনায় রাখে।
 
পথরোখা’র সম্পাদক আরিফ সোহেল এই সেক্টরে একজন খুব পরিচিত ব্যক্তিত্ব। সাংবাদিক হিসেবে তার দীর্ঘ ৩০ বছর কর্মজীবনে তিনি দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকা, আজকের কাগজ, রিপোর্ট২৪ ডটকম প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। এ ছাড়া তিনি সরকারী ক্রীড়া পাক্ষিক ‘ক্রীড়া জগত’ ও লাইফস্টাইল ম্যাগাজিক অপ্সরা নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। তিনি জনপ্রিয় অনলাইন দেশকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
 
পথরেখা দেশের মৌলিক মূল্যবোধ, বিশেষ করে জাতীয় সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। এছাড়াও, এটি দেশের নাগরিকের মানবিক ও নাগরিক অধিকারের পক্ষে কথা বলবে। ন্যায়পরায়ণতা, নির্ভুলতা এবং বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রাখতে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ। আমরা বিশ্বাস করি যে জনগণের বিশ্বাসযোগ্যতা আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। পথরেখা রাজনৈতিক ইস্যুতে নির্দলীয় অবস্থান বজায় রাখবে। একটি নিরপক্ষ অনলাইন হিসেবে আমরা নিজেদের কর্মকাণ্ডে প্রমাণ করার শতভাগ প্রছেষ্টা করব। তবে সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করেও কিছু ভুল হতেই পারে। যা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রাখছি সব মহলেই। সততা পথে অবিচল; আলোর পথে অবিরাম যাত্রায় আমাদের পাশে থাকুন; আমরা থাকব আপনাদের পাশে।
 
উল্লেখ্য, পথরেখা হিসেবে একটি প্রকাশনী দীর্ঘদিন থেকে প্রকাশিত হয়ে আসছে। এবার উদ্যোগ নেওয়া হলো অনলাইন অনলাইন নিউজ পোর্টাল হিসেবে প্রকাশ করার।