• সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪
    ৯ পৌষ ১৪৩১
    ঢাকা সময়: ০০:৪৯

তিউনিসিয়াকে উড়িয়ে দিল ব্রাজিল

  • ক্রীড়া -ফুটবল       
  • ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০২২       
  • ১০৪
  •       
  • ২৮-০৯-২০২২, ০৮:১৩:৫৯

দেশকন্ঠ প্রতিবেদন : ম্যাচের ১৮ মিনিটে মুনতাসার তালবি যখন ১-১ সমতা ফেরালেন, নেইমার-রাফিনিয়াদের মনে নিশ্চয়ই তেমন একটা ক্ষোভই ফুঁসে উঠেছিল! তার প্রমাণ মিলল প্রথমার্ধে ব্রাজিলের পারফর্ম্যান্সে। পরের ২৭ মিনিটে যে গুণে গুণে আরও ৩ গোল জড়িয়েছে ব্রাজিল! দ্বিতীয়ার্ধে রাগটা হয়তো একটু কমে গিয়েছিল। নাহয় প্রথমার্ধে ব্রাজিল যেমন খেলছিল, তাতে স্কোরলাইনটা নেহায়েত ৫-১ গোলে আটকে থাকার ছিল না।  তিউনিসিয়ার সাম্প্রতিক পারফর্ম্যান্সটা মন্দ নয় একেবারে। গেল জুনেই কিরিন কাপে দলটি হারিয়েছিল জাপান, চিলির মতো দলকে। গেল মার্চে বুরকিনা ফাসোর কাছে আফ্রিকান নেশন্স কাপের কোয়ার্টারে হারের পর থেকে নেই কোনো হার, এমনকি এরপর থেকে সাত ম্যাচে কোনো গোলও জড়ায়নি দলটির জালে।
 
সেই তিউনিসিয়ার বিপক্ষেই নেইমার নেমেছিলেন চার গোলের সাধ নিয়ে। চারটা গোল হলেই যে কিংবদন্তি পেলেকে ছাড়িয়ে ব্রাজিলের সর্বোচ্চ গোলদাতা বনে যেতেন তিনি! তবে ম্যাচে অবশ্য নেইমার নন, প্রথম গোলটা করেন রাফিনিয়া। ১১ মিনিটে মাঝমাঠ থেকে প্রতিপক্ষ বিপদসীমায় ক্যাসেমিরো বাড়ান দারুণ এক বল। সেটা আর কেউ হলে হয়তো আগে আয়ত্বে নিতেন, এরপর নিতেন শটটা। কিন্তু রাফিনিয়া তা করেননি, সেই লব করা বলটায় দারুণ এক হেডারে বলটা নিয়ে ফেলেন তিউনিসিয়ার জালে। প্রায় ছয় মাস পর প্রথমবারের মতো বল জড়ায় তিউনিসিয়ার জালে। এরপরই মুনতাসারের গোলে সমতায় ফেরে তিউনিসিয়া। যদিও সেই সমতা টেকেনি এক মিনিটও। প্রথম গোলটা করেছিলেন যিনি, সেই রাফিনিয়ার বাড়ানো বলে এবার গোল করেন রিচার্লিসন।
 
তাদের জালে বল জড়ানোর রাগটা ব্রাজিল এরপর দমায় গোল উৎসব করে। সেই গোল উৎসবে ২৯ মিনিটে যোগ দেন নেইমার। পেনাল্টি থেকে দলকে এগিয়ে দেন ৩-১ গোলে। প্রথমার্ধের শেষ দিকে আলগা বলে বক্সের বাইরে দারুণ এক গোল করে বসেন রাফিনিয়া। ৪২ মিনিটে লাল কার্ড দেখে বসেন ডিলান ব্রোন। একে তো দারুণ ফর্মে থাকা ব্রাজিল তার ওপর দল খেলোয়াড়ের সংখ্যা কমে গেছে এক জন, তাতে দ্বিতীয়ার্ধে গোলের বন্যায় ভেসে যাওয়ার শঙ্কাই চড়ে বসে তিউনিসিয়া শিবিরে। তবে ব্রাজিল অতোটা নির্দয় হয়নি। দ্বিতীয়ার্ধে গোল এসেছে একটি। করেছেন ব্রাজিলীয় লিগের দল ফ্ল্যামেঙ্গোর স্ট্রাইকার পেদ্রো। তাতে ৫-১ গোলের জয় নিয়ে সেলেসাওরা শেষ করে বিশ্বকাপের আগে শেষ আন্তর্জাতিক ফুটবলের উইন্ডোটা। এই উইন্ডো শেষে কোচ তিতে যে যারপরনাই উচ্ছ্বসিত, সেটা ম্যাচে তার অভিব্যক্তিই বলে দিচ্ছিল। শুরুর একাদশ থেকে বেঞ্চের খেলোয়াড়, সবাই যেমন ফর্মে ফিরে এসেছেন বিশ্বকাপ শুরুর ঠিক আগে, তাতে কোন কোচই বা উচ্ছ্বসিত হবেন না?
দেশকন্ঠ/অআ

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

পথরেখা : আমাদের কথা

আমাদের পোর্টালের নাম— pathorekha.com; পথরোখা একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। আমরা এই প্রতিষ্ঠানকে প্রতিদিনের সত্য-সংবাদের পথরেখা হিসেবে প্রমাণ করতে চাই। পথরেখা সারাদেশের পাঠকদের জন্য সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ এবং মতামত প্রকাশ করবে। পথরোখা নিউজ পোর্টাল হিসেবে ২০২৩ সালের জুন মাসে যাত্রা শুরু করলো। অচিরেই পথরেখা অনলাইন মিডিয়া হিসেবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের প্রক্রিয়া শুরু করবে। পথরোখা  দেশ কমিউনিকেশনস-এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান।
 
পথরোখা জাতীয় সংবাদের উপর তো বটেই এর সঙ্গে রাজনীতি, আন্তর্জাতিক, খেলাধুলা, কৃষি, বিনোদন, অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, তথ্য ও প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন বিভাগকেও গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে। মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিকতা এবং চৌকস ফটোগ্রাফিকে বিশেষ বিবেচনায় রাখে।
 
পথরোখা’র সম্পাদক আরিফ সোহেল এই সেক্টরে একজন খুব পরিচিত ব্যক্তিত্ব। সাংবাদিক হিসেবে তার দীর্ঘ ৩০ বছর কর্মজীবনে তিনি দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকা, আজকের কাগজ, রিপোর্ট২৪ ডটকম প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। এ ছাড়া তিনি সরকারী ক্রীড়া পাক্ষিক ‘ক্রীড়া জগত’ ও লাইফস্টাইল ম্যাগাজিক অপ্সরা নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। তিনি জনপ্রিয় অনলাইন দেশকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
 
পথরেখা দেশের মৌলিক মূল্যবোধ, বিশেষ করে জাতীয় সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। এছাড়াও, এটি দেশের নাগরিকের মানবিক ও নাগরিক অধিকারের পক্ষে কথা বলবে। ন্যায়পরায়ণতা, নির্ভুলতা এবং বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রাখতে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ। আমরা বিশ্বাস করি যে জনগণের বিশ্বাসযোগ্যতা আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। পথরেখা রাজনৈতিক ইস্যুতে নির্দলীয় অবস্থান বজায় রাখবে। একটি নিরপক্ষ অনলাইন হিসেবে আমরা নিজেদের কর্মকাণ্ডে প্রমাণ করার শতভাগ প্রছেষ্টা করব। তবে সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করেও কিছু ভুল হতেই পারে। যা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রাখছি সব মহলেই। সততা পথে অবিচল; আলোর পথে অবিরাম যাত্রায় আমাদের পাশে থাকুন; আমরা থাকব আপনাদের পাশে।
 
উল্লেখ্য, পথরেখা হিসেবে একটি প্রকাশনী দীর্ঘদিন থেকে প্রকাশিত হয়ে আসছে। এবার উদ্যোগ নেওয়া হলো অনলাইন অনলাইন নিউজ পোর্টাল হিসেবে প্রকাশ করার।