• রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪
    ৭ আশ্বিন ১৪৩১
    ঢাকা সময়: ১৭:৪২

কুটির ক্ষুদ্র এবং ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পে ঋণ বিতরণ হয়েছে মাত্র ১৯২ কোটি টাকা যা হতাশাজনক :বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর আবু ফারাহ মো. নাসের

দেশকন্ঠ প্রতিবেদন : বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর আবু ফারাহ মো. নাসের বলেছেন, “কুটির, ক্ষুদ্র এবং ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের (সিএমএসএমই) জন্য দুই হাজার কোটি টাকার ক্রেডিট গ্যারান্টি স্কিম থাকা সত্ত্বেও, এ সুবিধার আওতায় এ পর্যন্ত মাত্র ১৯২ কোটি টাকার ঋণ বিতরণ করা হয়েছে। যা হতাশাজনক।”
 
আবু ফারাহ মো. নাসের বলেন, “এই ক্রেডিট গ্যারান্টি স্কিমের যথাযথ ব্যবহার সিএমএসএমই’র পুনরুজ্জীবনের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।” শনিবার (১২ নভেম্বর) রাজধানীতে, ঢাকা চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) আয়োজিত ‘সিএমএসএমই ঋণের সমস্যা ও সুযোগ’ শীর্ষক কর্মশালায় তিনি এ কথা বলেন। ডেপুটি গভর্নর আবু ফারাহ মো. নাসের আরও বলেন, “যদি সিএমএসএমই খাতকে আমাদের অর্থনীতির ইঞ্জিন বলা হয়, তবে সিএমএসএমই অর্থায়ন সেই ইঞ্জিনের জ্বালানি। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বিভিন্ন উদ্যোগ থাকা সত্ত্বেও এই খাতে অর্থায়ন হতাশাজনক।”
 
নাসের বলেন, “সিএমএসএমই প্রতিষ্ঠানের কাছে পৌঁছানোর জন্য, ব্যাংকগুলোকে এজেন্ট ব্যাংক তৈরি করার পরিবর্তে সারাদেশে আরও উপ-শাখা স্থাপনের কথা ভাবা উচিত। কারণ উপ-শাখা তৈরি করা অতিরিক্ত প্রশাসনিক খরচ কমাতে সহায়তা করে।”
 
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর আরও বলেন, “ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের কারণে আমরা একটি কঠিন সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছি। এই সময়ে যদি আমরা জোরপূর্বক সুদের হার নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করি, তাহলে তা মন্দার সৃষ্টি করতে পারে। বৈশ্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে এই মুহূর্তে ঋণ পাওয়ার ক্ষেত্রে উৎপাদন ও সেবা খাতকে অগ্রাধিকার দেওয়া উচিত।”
 
বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর গতানুগতিক ঋণ ব্যবস্থার বিকল্প হিসেবে একটি অনলাইন মার্কেটপ্লেস এবং ব্লকচেইন তৈরির বিষয়ে ভাবতে বিশেষজ্ঞদের প্রতি আহ্বান জানান।
 
বাংলাদেশ ব্যাংক মোট ১৯টি ক্লাস্টার চিহ্নিত করেছে এবং নাসের এই ক্লাস্টারগুলোর অধীনে সিএমএসএমই ঋণ দেওয়ার জন্য সবগুলো ব্যাংককে অনুরোধ করেন তিনি জানান, “একটি ডিজিটাল ব্যাংক (সিএমএসএমইতে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ) তৈরি করা বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিকল্পনায় রয়েছে।”
দেশকন্ঠ/রাসু
 

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

পথরেখা : আমাদের কথা

আমাদের পোর্টালের নাম— pathorekha.com; পথরোখা একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। আমরা এই প্রতিষ্ঠানকে প্রতিদিনের সত্য-সংবাদের পথরেখা হিসেবে প্রমাণ করতে চাই। পথরেখা সারাদেশের পাঠকদের জন্য সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ এবং মতামত প্রকাশ করবে। পথরোখা নিউজ পোর্টাল হিসেবে ২০২৩ সালের জুন মাসে যাত্রা শুরু করলো। অচিরেই পথরেখা অনলাইন মিডিয়া হিসেবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের প্রক্রিয়া শুরু করবে। পথরোখা  দেশ কমিউনিকেশনস-এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান।
 
পথরোখা জাতীয় সংবাদের উপর তো বটেই এর সঙ্গে রাজনীতি, আন্তর্জাতিক, খেলাধুলা, কৃষি, বিনোদন, অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, তথ্য ও প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন বিভাগকেও গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে। মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিকতা এবং চৌকস ফটোগ্রাফিকে বিশেষ বিবেচনায় রাখে।
 
পথরোখা’র সম্পাদক আরিফ সোহেল এই সেক্টরে একজন খুব পরিচিত ব্যক্তিত্ব। সাংবাদিক হিসেবে তার দীর্ঘ ৩০ বছর কর্মজীবনে তিনি দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকা, আজকের কাগজ, রিপোর্ট২৪ ডটকম প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। এ ছাড়া তিনি সরকারী ক্রীড়া পাক্ষিক ‘ক্রীড়া জগত’ ও লাইফস্টাইল ম্যাগাজিক অপ্সরা নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। তিনি জনপ্রিয় অনলাইন দেশকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
 
পথরেখা দেশের মৌলিক মূল্যবোধ, বিশেষ করে জাতীয় সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। এছাড়াও, এটি দেশের নাগরিকের মানবিক ও নাগরিক অধিকারের পক্ষে কথা বলবে। ন্যায়পরায়ণতা, নির্ভুলতা এবং বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রাখতে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ। আমরা বিশ্বাস করি যে জনগণের বিশ্বাসযোগ্যতা আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। পথরেখা রাজনৈতিক ইস্যুতে নির্দলীয় অবস্থান বজায় রাখবে। একটি নিরপক্ষ অনলাইন হিসেবে আমরা নিজেদের কর্মকাণ্ডে প্রমাণ করার শতভাগ প্রছেষ্টা করব। তবে সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করেও কিছু ভুল হতেই পারে। যা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রাখছি সব মহলেই। সততা পথে অবিচল; আলোর পথে অবিরাম যাত্রায় আমাদের পাশে থাকুন; আমরা থাকব আপনাদের পাশে।
 
উল্লেখ্য, পথরেখা হিসেবে একটি প্রকাশনী দীর্ঘদিন থেকে প্রকাশিত হয়ে আসছে। এবার উদ্যোগ নেওয়া হলো অনলাইন অনলাইন নিউজ পোর্টাল হিসেবে প্রকাশ করার।