দেশকন্ঠ প্রতিবেদন : বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর আবু ফারাহ মো. নাসের বলেছেন, “কুটির, ক্ষুদ্র এবং ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের (সিএমএসএমই) জন্য দুই হাজার কোটি টাকার ক্রেডিট গ্যারান্টি স্কিম থাকা সত্ত্বেও, এ সুবিধার আওতায় এ পর্যন্ত মাত্র ১৯২ কোটি টাকার ঋণ বিতরণ করা হয়েছে। যা হতাশাজনক।”
আবু ফারাহ মো. নাসের বলেন, “এই ক্রেডিট গ্যারান্টি স্কিমের যথাযথ ব্যবহার সিএমএসএমই’র পুনরুজ্জীবনের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।” শনিবার (১২ নভেম্বর) রাজধানীতে, ঢাকা চেম্বার অফ কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) আয়োজিত ‘সিএমএসএমই ঋণের সমস্যা ও সুযোগ’ শীর্ষক কর্মশালায় তিনি এ কথা বলেন। ডেপুটি গভর্নর আবু ফারাহ মো. নাসের আরও বলেন, “যদি সিএমএসএমই খাতকে আমাদের অর্থনীতির ইঞ্জিন বলা হয়, তবে সিএমএসএমই অর্থায়ন সেই ইঞ্জিনের জ্বালানি। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বিভিন্ন উদ্যোগ থাকা সত্ত্বেও এই খাতে অর্থায়ন হতাশাজনক।”
নাসের বলেন, “সিএমএসএমই প্রতিষ্ঠানের কাছে পৌঁছানোর জন্য, ব্যাংকগুলোকে এজেন্ট ব্যাংক তৈরি করার পরিবর্তে সারাদেশে আরও উপ-শাখা স্থাপনের কথা ভাবা উচিত। কারণ উপ-শাখা তৈরি করা অতিরিক্ত প্রশাসনিক খরচ কমাতে সহায়তা করে।”
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর আরও বলেন, “ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের কারণে আমরা একটি কঠিন সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছি। এই সময়ে যদি আমরা জোরপূর্বক সুদের হার নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করি, তাহলে তা মন্দার সৃষ্টি করতে পারে। বৈশ্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে এই মুহূর্তে ঋণ পাওয়ার ক্ষেত্রে উৎপাদন ও সেবা খাতকে অগ্রাধিকার দেওয়া উচিত।”
বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর গতানুগতিক ঋণ ব্যবস্থার বিকল্প হিসেবে একটি অনলাইন মার্কেটপ্লেস এবং ব্লকচেইন তৈরির বিষয়ে ভাবতে বিশেষজ্ঞদের প্রতি আহ্বান জানান।
বাংলাদেশ ব্যাংক মোট ১৯টি ক্লাস্টার চিহ্নিত করেছে এবং নাসের এই ক্লাস্টারগুলোর অধীনে সিএমএসএমই ঋণ দেওয়ার জন্য সবগুলো ব্যাংককে অনুরোধ করেন তিনি জানান, “একটি ডিজিটাল ব্যাংক (সিএমএসএমইতে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ) তৈরি করা বাংলাদেশ ব্যাংকের পরিকল্পনায় রয়েছে।”
দেশকন্ঠ/রাসু