• সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪
    ৯ পৌষ ১৪৩১
    ঢাকা সময়: ২০:৪৬

ফুটবলে জরিমানা ও নিষেধাজ্ঞায়ও কমছেনা ম্যাচ ফিক্সিং

  • ক্রীড়া -ফুটবল       
  • ১৫ নভেম্বর, ২০২২       
  • ৮৯
  •       
  • ১৫-১১-২০২২, ১৯:১৩:৫৭

স্পোর্টস রিপোর্টার : নিয়মিতভাবেই এখন ম্যাচ ফিক্সিং চলছে ঘরোয়া ফুটবলে। নিচের সারির লিগগুলোতে কি ধরনের ফুটবল খেলা হয় সেটা নিয়ে গত কয়েকবছর ধরেই চলছে আলোচনা। প্রায় নিয়মিতই পাতানো ম্যাচের অভিযোগ ওঠে থাকে। বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) পেশাদার লিগ কমিটির নিয়মিত নজরদারির না করার সুযোগেই এমন অপরাধ সংগঠিত হচ্ছে বলে জানা গেছে। সে কারণে এবার অনুর্ধ্ব-১৬ ফুটবল টুর্নামেন্টে চার ক্লাবকে জরিমানা করেছে দেশের ফুটবলের নিয়ন্ত্রা সংস্থাটি। বাফুফের ডিসিপ্লিনারী কমিটির চেয়ারম্যান মেজবাহ উদ্দিনের সভাপতিত্বে এক ভার্চ্যুয়াল সভায় অনুর্ধ্ব-১৬ ফুটবল টুর্নামেন্টের চার ক্লাবকে আর্থিকভাবে জরিমানা করা হয়েছে। এছাড়া গোপালগঞ্জ ক্লাবের প্রশিক্ষক নিপু দাশকে দুই বছরের জন্য ফুটবলের যাবতীয় কার্যক্রম থেকে নিষিদ্ধ ঘোষনা করা হয়েছে। অনুর্ধ্ব-১৬ ফুটবল টুর্নামেন্টে অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড জালিয়াতির করে একজনকে খেলানোর অভিযোগ ছিল গোপালগঞ্জ স্পোর্টিং ক্লাবের বিপক্ষেও। গত ২৭ সেপ্টেম্বর ঢাকা ওয়ান্ডারার্স স্পোর্টিং ক্লাবের বিপক্ষের ম্যাচে এই জালিয়াতি করেছিল গোপালগঞ্জ। অভিযোগের সত্যতা পাওয়ার পর বাফুফে ডিসিপ্লিনারি কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ক্লাবের প্রশিক্ষক নিপু দাশকে দুই বছরের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়েছে। কোচকে শাস্তি দেওয়ার পাশাপাশি ক্লাবটিকে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। 
 
শুধু গোপালগঞ্জই নয়, অ্যাক্রিডিটেশন জালিয়াতির অভিযোগ ছিল অগণী ব্যাংক স্পোর্টস ক্লাবের বিপক্ষেও। গেল ২৯ সেপ্টেম্বর ওয়ারী ক্লাবের বিপক্ষে অনিবন্ধিত ফুটবলারকে কার্ড জালিয়াতি করে খেলানোর চেস্টা করেছিল অগ্রণী ব্যাংক স্পোর্টস ক্লাব। ফলে এখানেও ক্লাবের প্রশিক্ষককে দুই বছরের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়েছে। পাশাপাশি অগ্রনী ব্যাংক ক্লাবকে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। বসুন্ধরা গ্রুপে পৃষ্ঠপোষকতায় দ্বিতীয় বিভাগ ফুটবল লিগের ক্লাব পূর্বাচল পরিষদকেও জরিমানা করা হয়েছে। গত ১০ সেপ্টেম্বর কদমতলা সংসদের বিপক্ষে ম্যাচে পূর্বাচল পরিষদের হয়ে মাঠে নেমেছিলেন রাশেদ বাবু। আগের ক্লাবের পর দ্বৈত নিবন্ধনের কথা পরের ক্লাবের কাছে গোপন করেছিল সে। ফলে তাকে একে বছরের জন্য নিষিদ্ধ এবং ওই ম্যাচে কদমতলা সংসদকে ৩-০ গোলে জয়ী ঘোষণা করে কমিটি। এদিকে বাদ যায়নি ওয়ারি ক্লাবও। তাদেরকেও জরিমানা গুনতে হচ্ছে। বাফুফে অনুর্ধ্ব-১৬ টুর্নামেন্টে কাওরান বাজার প্রগতি সংঘের বিপক্ষে ১১ সেপ্টেম্বরের ম্যাচে পেনাল্টির সিদ্ধান্ত নিয়ে মাঠেই ঝামেলা বাধে। যার ফলে খেলা বন্ধ থাকে ৫ মিনিটের মতো। মাঠের বাইরে থেকে খেলা বন্ধ রাখতে দলের ম্যানেজার জহিরুল হক সুমন দলকে উৎসাহী করেছেন বলে অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে। 
 
যার ফলে ওয়ারি ক্লাবকে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। একই ম্যাচে সমর্থকদের অশোভন আচরণের জন্য জরিমানা গুনতে হয়েছে কাওরান বাজার প্রগতি সংঘকেও। ম্যাচ চলাকালীন সময়ে সমর্থকরা গেটের তালা ভেঙে মাঠে প্রবেশ করায় ক্লাবকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। বলা যায় একটা টুর্নামেন্টে একাধিক ম্যাচে কয়েকটি অপরাধ সংগঠিত হওয়ায় বাফুফের ডিসিপ্লিনারি কমিটি বিভিন্ন ক্লাবকে শাস্তি দিয়েছে। নিচের সারির লিগগুলোতে কি ধরনের অনিয়ম হয় একাধিক ক্লাবকে শাস্তি দেওয়ার মাধ্যমে সেটি আরেকবার প্রমাণিত হয়েছে। অনিয়ম আর জালিয়াতি সেখানে নিত্য দিনকার ঘটনা। নিয়ম মেনে বয়সভিত্তিক বিভিন্ন প্রতিযোগিতা থেকে একজন কিশোর বড় ফুটবলার হওয়ার পথে নিজের অবস্থান পোক্ত করে থাকে। কিন্তু বাংলাদেশের বয়সভিত্তিক ফুটবলে নানা অনিয়মের পাশাপাশি ম্যাচ পাতানোর অভিযোগও বেশ পুরনো। বাফুফের দেওয়া অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড জালিয়াতি করে অনিবন্ধিত ফুটবলারকেও নিয়মিত খেলানো হচ্ছে নিচের দিকের টুর্নামেন্টে, এমন অভিযোগও নতুন নয়। এটাকে বড় ধরনের অপরাধ হিসেবে গন্য করা হচ্ছে। যার ফলে অনেকে আবার দুই ক্লাবের জার্সিতে মাঠে নামছেন দুবার করে! এসব ঘটনা নিয়মিত ঘটে থাকে বলে নতুন করে নজরদারি করারও যেন কেউ নেই। এসব জাল জালিয়াতির ক্ষেত্রে বেশির ভাগ সময়ই পেছন থেকে কলকাঠি নেড়ে থাকেন সংশ্লিষ্ট ক্লাবের কোচরা। ঢাকায় প্রিমিয়ার ডিভিশন ফুটবল লিগ (বিপিএল), পেশাদার লিগের দ্বিতীয় স্থর বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়নশিপ লিগের (বিসিএল) পর বয়সভিত্তিক ফুটবলে এমন অনিয়ম দেখে সাবেক ফুটবলার হাসানুজ্জামান খান বাবলু হতাশ ও ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন। 
 
ফুটবলার উঠে আসার এমন প্রতিযোগিতায় প্রতারনা ও জালিয়াতি নিয়ে সোচ্চার এই সাবেক ফুটবলার বলেন, ’বাফুফে অনুর্ধ্ব-১৬ টুর্নামেন্ট থেকেই তরুন আর প্রতিশ্রুতিশীল খেলোয়াড় উঠে আসে। আর বয়সভিত্তিক দলগুলোকে নিয়ে ক্যারিয়ারের শুরুতেই যদি এমন প্রতারণার আশ্রয় নেয়ায় শুরুতেই নষ্ট হয়ে যাচ্ছে প্রতিভা। উঠে আসছেনা মানসম্পন্ন খেলোয়াড়ও। এসব অনিয়ম বন্ধে বাফুফেকে আরও কঠোর হতে হবে। কোনভাবেই এসবকে পাত্তা দেওয়ার কোন সুযোগ নেই। দেশের ফুটবলের স্বার্থেই বিসিএল থেকে শুরু করে বয়সভিত্তিক এসকল টুর্নামেন্টে নিয়মিত মনিটরিংই পারে সমস্যার সমাধান করতে’। ভবিষ্যতের জন্য বার্তা দেওয়া হলেও খুব বেশি কাজে আসছেনা। সামনে কি অপেক্ষা করছে সেটাই বলা মুশকিল।
দেশকন্ঠ/আসো
 
 

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

পথরেখা : আমাদের কথা

আমাদের পোর্টালের নাম— pathorekha.com; পথরোখা একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। আমরা এই প্রতিষ্ঠানকে প্রতিদিনের সত্য-সংবাদের পথরেখা হিসেবে প্রমাণ করতে চাই। পথরেখা সারাদেশের পাঠকদের জন্য সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ এবং মতামত প্রকাশ করবে। পথরোখা নিউজ পোর্টাল হিসেবে ২০২৩ সালের জুন মাসে যাত্রা শুরু করলো। অচিরেই পথরেখা অনলাইন মিডিয়া হিসেবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের প্রক্রিয়া শুরু করবে। পথরোখা  দেশ কমিউনিকেশনস-এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান।
 
পথরোখা জাতীয় সংবাদের উপর তো বটেই এর সঙ্গে রাজনীতি, আন্তর্জাতিক, খেলাধুলা, কৃষি, বিনোদন, অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, তথ্য ও প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন বিভাগকেও গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে। মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিকতা এবং চৌকস ফটোগ্রাফিকে বিশেষ বিবেচনায় রাখে।
 
পথরোখা’র সম্পাদক আরিফ সোহেল এই সেক্টরে একজন খুব পরিচিত ব্যক্তিত্ব। সাংবাদিক হিসেবে তার দীর্ঘ ৩০ বছর কর্মজীবনে তিনি দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকা, আজকের কাগজ, রিপোর্ট২৪ ডটকম প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। এ ছাড়া তিনি সরকারী ক্রীড়া পাক্ষিক ‘ক্রীড়া জগত’ ও লাইফস্টাইল ম্যাগাজিক অপ্সরা নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। তিনি জনপ্রিয় অনলাইন দেশকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
 
পথরেখা দেশের মৌলিক মূল্যবোধ, বিশেষ করে জাতীয় সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। এছাড়াও, এটি দেশের নাগরিকের মানবিক ও নাগরিক অধিকারের পক্ষে কথা বলবে। ন্যায়পরায়ণতা, নির্ভুলতা এবং বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রাখতে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ। আমরা বিশ্বাস করি যে জনগণের বিশ্বাসযোগ্যতা আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। পথরেখা রাজনৈতিক ইস্যুতে নির্দলীয় অবস্থান বজায় রাখবে। একটি নিরপক্ষ অনলাইন হিসেবে আমরা নিজেদের কর্মকাণ্ডে প্রমাণ করার শতভাগ প্রছেষ্টা করব। তবে সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করেও কিছু ভুল হতেই পারে। যা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রাখছি সব মহলেই। সততা পথে অবিচল; আলোর পথে অবিরাম যাত্রায় আমাদের পাশে থাকুন; আমরা থাকব আপনাদের পাশে।
 
উল্লেখ্য, পথরেখা হিসেবে একটি প্রকাশনী দীর্ঘদিন থেকে প্রকাশিত হয়ে আসছে। এবার উদ্যোগ নেওয়া হলো অনলাইন অনলাইন নিউজ পোর্টাল হিসেবে প্রকাশ করার।