• সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪
    ৯ পৌষ ১৪৩১
    ঢাকা সময়: ০০:৫১

ক্রীড়ালেখক ও সময়ের ক্যানভাস

মেজর চাকলাদার (অব.) : ক্রীড়ঙ্গনের হাজারো ঘটনা ক্রীড়ালেখকদের কলমের কাছে বাঁধা রয়েছে। স্মৃতি মেদুর এই ক্রীড়া ক্ষেত্র জীবন্ত হয়ে আসে ক্রীড়ালেখকদের প্রচেষ্টায়।
 
আমি যখন সেনাবাহিনী হকি দলে খেলি তার আগে বহু বছর ছিলাম সোনালি ব্যাংক দলে। ‘৭৬ সনে সেনা একাডেমিতে যাবার আগে খেলেছি আবাহনী ক্রীড়া চক্রে। মেজর মহসিন ছিলেন আর্মি স্পোর্টস কন্ট্রোল বোর্ডের দায়িত্বে। তিনি মারা যান শান্তিবাহিনীর গুলিতে। আমি আর্মিতে যোগদানের পরপরেই তিনি হকি টিমে আমাকে নিয়ে নেন। সেনাবাহিনী দলের হকি খেলোয়াড়রা তিনটি এস স্টামিনা, স্পিড আর স্কিল, এর মধ্যে স্টামিনা আর স্পিডে সিভিল খেলোয়াড়দের থেকে যোজন যোজন এগিয়ে। স্কিলে তাদের ঘাটতি। আমি হকি দলে আসার পর কর্নেল ফেরদৌস দলের কোচিং অমার উপরই ছেড়ে দেন। আমি স্কিল এড়িয়ে ওয়ান টাচ খেলতে বলি। এতে খেলাতে প্রচন্ড গতি আসে, আমি খেলেছি ‘৮৩ পর্যন্ত। আর ১৯৭৮ সনে হেরে যাবার পর ১৯৭৯ সন থেকে এক নাগাড়ে ১৯৮৩ পর্যন্ত সব টুর্নামেন্টের বিজয়ী ট্রফি সেনা স্পোর্টস ক্যাবিনেটে শোভা পায়। ‘৮৫ সনে এশিয়া কাপে আমার নেতৃত্বে বাংলাদেশ দুর্দান্ত রেজাল্ট করে আর হকির পরিচিতি দেশের কোনায় কোনায় পৌঁছে।
 
ক্রীড়ালেখক সমিতির পুরুস্কারে আমার নাম অন্তত পাঁচবার অনুমোদনের তালিকায় আসে তবে আতাউল হক মল্লিকের একক গো’র ঠেলায় প্রতিবার বাদ পরি। আর এখন কার অবস্থা হলো, ‘ঘর কা মুরগি ডাইল বরাবর।’
 
অনেক ক্রীড়া সাংবাদিক-লেখক বর্তমান নিয়েই তাক দুমাদুম নৃত্যে অভ্যস্ত। যার পেনাল্টি দিতে হলো ফুটবল কিংবদন্তি সালাহউদ্দিনকে। হকি থেকে ফুটবলের পরিচিতি অধিক। দেশব্যাপি হকি পরিচিতি এসেছিল সেই ‘৮৫ সনে আমারই নেতৃত্বে। বর্তমানে যারা ক্রীড়া সাংবাদিক তাদের অধিকাংশই ইন্টারনেট নির্ভর, ফলে দেশের ৩০/৪০ বছর আগের ক্রীড়া-অর্জনে কেইবা সময় নষ্ট করে।
 
সালাউদ্দিন স্বাধীন বাংলা ফুটবল দলের প্রতিনিধি। ফুটবল সময় তার ঘাটে বাঁধা। তবে ভুলে যাওয়া আর ব্যক্তি মাস্তানি আমাদের স্বভাব। এদের পাল্লায় অমার মতন সালাউদ্দিনও ধরা খেয়েছেন। সময় এগুতে থাকে, সময়রে পট পরিবর্তন হয় তবে যারা ক্রীড়া পুরস্কারের সাথে জড়িত; তারা থাকেন মহাভাব নিয়ে সুতরাং ‘বৎস, পরিবর্তন আশা করা, ঠিক নেহি।’
“যারা কেড়ে খায় তেত্রিশ কোটি মুখের গ্রাস
যেন লেখা হয় আমার এ রক্ত লেখায়
তাদের সর্বনাশ”।— কোনো দুঃখে কবি নজরুল এ লাইনগুলো লিখেছিলেন। অনেক মিল, তাজ্জব কি বাত!
 
লেখক : সাবেক অধিনায়ক, জাতীয় ও সেনাবাহিনী হকি দল এবং জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কারপ্রাপ্ত
দেশকণ্ঠ/আসো

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

পথরেখা : আমাদের কথা

আমাদের পোর্টালের নাম— pathorekha.com; পথরোখা একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। আমরা এই প্রতিষ্ঠানকে প্রতিদিনের সত্য-সংবাদের পথরেখা হিসেবে প্রমাণ করতে চাই। পথরেখা সারাদেশের পাঠকদের জন্য সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ এবং মতামত প্রকাশ করবে। পথরোখা নিউজ পোর্টাল হিসেবে ২০২৩ সালের জুন মাসে যাত্রা শুরু করলো। অচিরেই পথরেখা অনলাইন মিডিয়া হিসেবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের প্রক্রিয়া শুরু করবে। পথরোখা  দেশ কমিউনিকেশনস-এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান।
 
পথরোখা জাতীয় সংবাদের উপর তো বটেই এর সঙ্গে রাজনীতি, আন্তর্জাতিক, খেলাধুলা, কৃষি, বিনোদন, অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, তথ্য ও প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন বিভাগকেও গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে। মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিকতা এবং চৌকস ফটোগ্রাফিকে বিশেষ বিবেচনায় রাখে।
 
পথরোখা’র সম্পাদক আরিফ সোহেল এই সেক্টরে একজন খুব পরিচিত ব্যক্তিত্ব। সাংবাদিক হিসেবে তার দীর্ঘ ৩০ বছর কর্মজীবনে তিনি দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকা, আজকের কাগজ, রিপোর্ট২৪ ডটকম প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। এ ছাড়া তিনি সরকারী ক্রীড়া পাক্ষিক ‘ক্রীড়া জগত’ ও লাইফস্টাইল ম্যাগাজিক অপ্সরা নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। তিনি জনপ্রিয় অনলাইন দেশকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
 
পথরেখা দেশের মৌলিক মূল্যবোধ, বিশেষ করে জাতীয় সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। এছাড়াও, এটি দেশের নাগরিকের মানবিক ও নাগরিক অধিকারের পক্ষে কথা বলবে। ন্যায়পরায়ণতা, নির্ভুলতা এবং বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রাখতে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ। আমরা বিশ্বাস করি যে জনগণের বিশ্বাসযোগ্যতা আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। পথরেখা রাজনৈতিক ইস্যুতে নির্দলীয় অবস্থান বজায় রাখবে। একটি নিরপক্ষ অনলাইন হিসেবে আমরা নিজেদের কর্মকাণ্ডে প্রমাণ করার শতভাগ প্রছেষ্টা করব। তবে সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করেও কিছু ভুল হতেই পারে। যা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রাখছি সব মহলেই। সততা পথে অবিচল; আলোর পথে অবিরাম যাত্রায় আমাদের পাশে থাকুন; আমরা থাকব আপনাদের পাশে।
 
উল্লেখ্য, পথরেখা হিসেবে একটি প্রকাশনী দীর্ঘদিন থেকে প্রকাশিত হয়ে আসছে। এবার উদ্যোগ নেওয়া হলো অনলাইন অনলাইন নিউজ পোর্টাল হিসেবে প্রকাশ করার।