• শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪
    ৬ আশ্বিন ১৪৩১
    ঢাকা সময়: ০৯:২৪

আর্জেন্টিনার বাংলাদেশ সফরের আগেই ধাক্কা

  • ক্রীড়া -ফুটবল       
  • ১৮ জানুয়ারি, ২০২৩       
  • ৪৮
  •       
  • ১৮-০১-২০২৩, ২১:৫৫:৫৩

দেশকণ্ঠ প্রতিবেদন : ২০১১ সালের পর আবারও বাংলাদেশে আসছে আর্জেন্টিনা ফুটবল। ২০২২ কাতার বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন দলটিকে আনতে একশ কোটির টাকারও বেশি খরচ হবে বলে জানা গেছে। গতপরশু ঘোষনার পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নানা ধরনের কথা লিখছে মানুষ। লিওনেল মেসির বাংলাদেশ সফর নিয়ে গতকাল বাফুফে ভবনে সংবাদ সম্মেলন করার কথা ছিল বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন-বাফুফের। মাত্র ৩ ঘন্টা আগে সেই সম্মেলন বাতিলের সিদ্ধান্ত নেয় ফেডারেশন। আকস্মিকভাবে সম্মেলন বাতিল করায় ক্রীড়াঙ্গনে বিস্ময়ের সৃষ্টি হয়েছে। বাফুফে সম্মেলন বাতিলের আনুষ্ঠানিক কোনো কারণ ব্যাখ্যা দেয়নি। সংক্ষিপ্ত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে ‘অনিবার্যকারণ’ উল্লেখ করেছে দেশের ফুটবলের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি। আর্জেন্টিনার বাংলাদেশ সফর নিয়ে কাজ করা বাফুফের কয়েকজনের সঙ্গে আলাপ করে ভিন্ন ভিন্ন বিষয় জানা গেছে। আর্জেন্টিনা বাংলাদেশে আসার ব্যাপারে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। তবে এখনো সবকিছু চূড়ান্ত করা হয়নি। সে কারণে বিষয়টি একেবারে চূড়ান্ত করে সংবাদ সম্মেলন করা যৌক্তিক বলে মনে করেন এক কর্মকর্তা। 
 
বাফুফের কাছে এটুকুই প্রকৃত তথ্য রয়েছে বাকি বিষয়গুলো আলোচনার পর্যায়ে। সংবাদ সম্মেলনে নতুন তথ্য প্রদানের অভাব এবং সম্ভাব্য অনেক প্রশ্নের উত্তরের জন্য এখনো পুরোপুরি প্রস্তুত নয়। জানা গেছে, শত কোটি টাকা ব্যয় করে আর্জেন্টিনাকে বাংলাদেশের আনার ব্যাপারে নির্বাহী কমিটির অনেকেরই ভিন্নমত রয়েছে। আর্জেন্টিনাকে বাংলাদেশে আনার ব্যাপারে বাফুফে নির্বাহী সভায় কোনো আলোচনা না হওয়ায় তারা মতামত দেয়ার সুযোগ পাচ্ছেন না। ঢাকায় আসার বিষয়ে আর্জেন্টিনা একাধিক শর্ত দিয়েছে বলে জানা গেছে। কাতার বিশ্বকাপ দিয়ে বাংলাদেশকে নতুন করে চিনেছে আর্জেন্টিনা। ভক্তদের সমর্থনে মুগ্ধ হয়ে আলাদা করে বাংলাদেশকে ধন্যবাদ দিয়েছে আর্জেন্টিনার ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন এবং দলটির কোচ লিওনেল স্কালোনি। বিশ্বকাপ জয়ী ওই আর্জেন্টিনা দলকে ঢাকায় আনার উদ্যোগ নিয়েছে বাফুফে। 
 
দুই পক্ষের মধ্যে বেশ ইতিবাচক আলোচনা হয়েছে। বাফুফের সূত্র জানিয়েছে, বিশ্বকাপ জয়ী আর্জেন্টিনা দলকে ঢাকায় আনার ব্যাপারে আর্জেন্টিনার পক্ষ থেকে ইতিবাচক সাড়া পেয়েছেন তারা। সূত্রের মতে, আর্জেন্টিনা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন চলতি বছরের জুনের আন্তর্জাতিক বিরতিতে ঢাকায় দল পাঠাতে পারবে বলে জানিয়েছে। সেজন্য বেশ কিছু শর্ত দিয়েছে তারা। যেগুলো পূরণ করতে পারলে মেসি ও তার দলকে আবারও ঢাকায় আনা সম্ভব। বাফুফের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ওই শর্ত নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে আলোচনা চলছে। হাতে এখনও অনেক সময় আছে। যদি আলোচনা ইতিবাচকভাবে চালিয়ে যাওয়া যায় এবং টার্মস এন্ড কন্ডিশন পূরণে কোন অসুবিধা না হয় তাহলে জুনে মেসিদের ঢাকায় দেখা যেতে পারে। এর আগেই একাধিক সংবাদ মাধ্যমে খবর প্রচারিত হয়েছে যে, মেসিদের ঢাকায় এনে একটি প্রীতি ম্যাচ আয়োজন করতে সব মিলিয়ে শতকোটি টাকা খরচ হয়ে যেতে পারে। মেসিদের প্রতিপক্ষ কারা হবে, সম্মানি পাওয়ার সম্ভাবনা কেমন। 
 
এছাড়া নিরাপত্তা কেমন হবে, ফুটবল অবকাঠামো অর্থাৎ মাঠ, গ্যালারি সবকিছু ঠিকঠাক থাকবে কিনা এসব বিষয়ে আর্জেন্টিনার ফুটবলার অ্যাসোসিয়েশন আশ্বস্ত হলেই তারা ঢাকায় দল পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিতে পারে। এর আগে বাংলাদেশে আসতে নিজেদের আগ্রহের কথা জানিয়েছে আর্জেন্টিনা। সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী জুনে ফিফা উইন্ডোতেই আন্তর্জাতিক প্রীতি ফুটবল ম্যাচ খেলার জন্য বাংলাদেশ সফরে আসবেন লিওনেল মেসিরা। আবারও বিশ্বকাপ জয়ী আর্জেন্টিনা দলকে বাংলাদেশে আনার ব্যাপারে অবহিত করার জন্য সংবাদ সম্মেলনে ডেকেছিল বাফুফে। বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামের সংস্কার কাজ এখনো শেষ হয়নি। এর আগে ২০১১ সালের ৬ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশে এসে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে একটি আন্তর্জাতিক প্রীতি ফুটবল ম্যাচ খেলেছিল লিওনেল মেসির নেতৃত্বাধীন আর্জেন্টিনা দল। সেবার বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ম্যাচে নাইজেরিয়ার বিপক্ষে খেলছিলেন মেসিরা। আগামী জুন-জুলাইয়ের আগে বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়াম পুরোপুরি বুঝে পেতে চায় বাফুফে। 
 
এরই মধ্যে এ ব্যাপারে ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে দেশের ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি। সম্প্রতি এ মাঠের কাজের অগ্রগতি পরিদর্শন করেছেন বাফুফে সহ-সভাপতি আতাউর রহমান ভূঁইয়া মানিক ও সাধারণ সম্পাদক আবু নাইম সোহাগসহ বাফুফের কর্তারা। আর্জেন্টিনা দলকে বাংলাদেশে এনে খেলাতে হলে আগে বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়াম সম্পূর্ণভাবে বুঝে পেতে হবে। স্টেডিয়ামের সংস্কারের কাজ বিলম্ব হচ্ছে। বিশেষ করে ফ্লাডলাইটকে ঘিরে মূল সমস্যার তৈরি হয়েছে। বাফুফে চাচ্ছে, আধুনিক ফুটবল মাঠে যে ধরনের ফ্লাডলাইড ব্যবহার করা হয়, এমন ফ্লাডলাইট বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামেও থাকবে। কাজী সালাউদ্দিন সংবাদ সম্মেলনে আগে বলেছিলেন, বাংলাদেশ সফরের ব্যাপারে পজিটিভ আর্জেন্টিনা। বিশ্বকাপ জেতা দল আর্জেন্টিনাকে ঢাকায় আনতে অনেক অর্থ খরচ করতে হবে বাফুফেকে। আর্জেন্টিনাকে আনার বিষয়টা ব্যয়বহুল। এর আগে আর্জেন্টিনা দলকে বাংলাদেশে আনতে প্রায় সাড়ে তিন মিলিয়ন ডলার লেগেছিল। এখন ৭ মিলিয়ন ডলারের মতো লাগতে পারে। যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ৭১ কোটি টাকার বেশি। প্রতিপক্ষ মিলিয়ে এক কোটি ডলার অর্থাৎ ১০২ কোটি টাকার বেশি লাগতে পারে। এছাড়া বাড়তে পারে ঋনের বোঝাও।
দেশকণ্ঠ/আসো

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

পথরেখা : আমাদের কথা

আমাদের পোর্টালের নাম— pathorekha.com; পথরোখা একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। আমরা এই প্রতিষ্ঠানকে প্রতিদিনের সত্য-সংবাদের পথরেখা হিসেবে প্রমাণ করতে চাই। পথরেখা সারাদেশের পাঠকদের জন্য সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ এবং মতামত প্রকাশ করবে। পথরোখা নিউজ পোর্টাল হিসেবে ২০২৩ সালের জুন মাসে যাত্রা শুরু করলো। অচিরেই পথরেখা অনলাইন মিডিয়া হিসেবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের প্রক্রিয়া শুরু করবে। পথরোখা  দেশ কমিউনিকেশনস-এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান।
 
পথরোখা জাতীয় সংবাদের উপর তো বটেই এর সঙ্গে রাজনীতি, আন্তর্জাতিক, খেলাধুলা, কৃষি, বিনোদন, অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, তথ্য ও প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন বিভাগকেও গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে। মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিকতা এবং চৌকস ফটোগ্রাফিকে বিশেষ বিবেচনায় রাখে।
 
পথরোখা’র সম্পাদক আরিফ সোহেল এই সেক্টরে একজন খুব পরিচিত ব্যক্তিত্ব। সাংবাদিক হিসেবে তার দীর্ঘ ৩০ বছর কর্মজীবনে তিনি দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকা, আজকের কাগজ, রিপোর্ট২৪ ডটকম প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। এ ছাড়া তিনি সরকারী ক্রীড়া পাক্ষিক ‘ক্রীড়া জগত’ ও লাইফস্টাইল ম্যাগাজিক অপ্সরা নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। তিনি জনপ্রিয় অনলাইন দেশকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
 
পথরেখা দেশের মৌলিক মূল্যবোধ, বিশেষ করে জাতীয় সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। এছাড়াও, এটি দেশের নাগরিকের মানবিক ও নাগরিক অধিকারের পক্ষে কথা বলবে। ন্যায়পরায়ণতা, নির্ভুলতা এবং বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রাখতে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ। আমরা বিশ্বাস করি যে জনগণের বিশ্বাসযোগ্যতা আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। পথরেখা রাজনৈতিক ইস্যুতে নির্দলীয় অবস্থান বজায় রাখবে। একটি নিরপক্ষ অনলাইন হিসেবে আমরা নিজেদের কর্মকাণ্ডে প্রমাণ করার শতভাগ প্রছেষ্টা করব। তবে সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করেও কিছু ভুল হতেই পারে। যা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রাখছি সব মহলেই। সততা পথে অবিচল; আলোর পথে অবিরাম যাত্রায় আমাদের পাশে থাকুন; আমরা থাকব আপনাদের পাশে।
 
উল্লেখ্য, পথরেখা হিসেবে একটি প্রকাশনী দীর্ঘদিন থেকে প্রকাশিত হয়ে আসছে। এবার উদ্যোগ নেওয়া হলো অনলাইন অনলাইন নিউজ পোর্টাল হিসেবে প্রকাশ করার।