• সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪
    ৯ পৌষ ১৪৩১
    ঢাকা সময়: ২১:৩৭

হকি এক গতিহীন দানব

মেজর (অব.) চাকলাদার
১৯০৮ সনে কোলকাতাতে হকি খেলা দেখে নবাব স্যার সলিমুল্লাহ নবাব বাড়ির উঠতি যুবকদের জন্য কোলকাতার ‘হোয়াইট ওয়েজ’ ডিপার্টমেন্টাল দোকান থেকে হকি স্টিক নিয়ে আসেন। সেই থেকে ঢাকাতে হকির শুরু। নবাব বাড়ির যুবকরা সলিমুল্লাহকে নিরাশ করেনি। ইউসুফ রেজা ভারতীয় অলিম্পিক দলে অন্তর্ভুক্ত হয়ে ছিলেন। ধ্যানচাঁদের হকি দল অলিম্পিকে সোনা পেতই তবে বিশ্বযুদ্ধের জন্য অলিম্পিক না হওয়াতে ইউসুফ রেজার  সাথে ঢাকা ও অলিম্পিক সোনা থেকে বঞ্চিত হয়। সোজা কথা হলো ঢাকা হকির ঐতিহ্য বহন করে। সেই ঢাকা হকি খেলার সাথে হকির দর্শকদেরও স্টেডিয়ামমুখী করেছিল। স্বাধীনতার আগ দিয়ে ঢাকার হকি বিহারি খেলোয়াড়দের দেখেছে, পিডব্লিডি, ইস্পাহানি দল, কিছু ওয়ারি ক্লাবে তাদের দেখা যেত। উর্দুতেই তারা বেশি ‘বাত চিত’ করত। ঢাকা র হকি বলতে আরমানিটোলা ছিল হকির খনি। নবাববাড়ির হকি খেলোয়াড় ও ঢাকার মাঠ কাঁপাতো, এরাও উর্দু কথা বলত; তবে তা ব্যাকরণ সিদ্ধ ছিল না। অনেকটা ‘হামকো বাড়ি, তুমকো দাওয়াত’। 
 
ঢাকার হকি খেলাকে আন্তর্জাতিক মর্যাদা পেল ১৯৭০ সনে আব্দুস সাদেক বিশ্বজয়ী পাকিস্তান দলের সাথে বিশ্ব ট্যুরে যাওয়াতে। তবে এমনিতে পাকিস্তান দল আব্দুস সাদেককে দলে নেয় নি। পাকিস্তান দল বিশ্ব জয় করে ঢাকাতে প্রদর্শনী খেলতে এসেছিল। প্রথম তারা তৎকালিন পূর্ব পাকিস্তান দলে পাকিস্তান দলের কিছু খেলোয়াড় দিতে চেয়েছিল তবে তা মানা না হওয়াতে সম্পূর্ণ বাঙালিদের দিয়ে তৈরি হয় পূর্ব পাকিস্তান দল। পাকিস্তান দল তানভির দারের পেনাল্টি কর্নার থেকে গোল করে ১-০ গোলে জিতেছিল। আব্দুস সাদেক দেখিয়ে ছিল, হারবো না, পারলে হারাও। ১৯৭০ সনে  পূর্ব পাকিস্তানের সর্বত্র মানুষ জ্বলছে বৈষ্যমের আগুনে, হকিতেও দেখল বৈষম্য। লজ্জা ঢাকতে আব্দুস সাদেককে বিশ্ব ট্যুরে পাকিস্তান দলে নেয়।
 
 
ঐ খেলাটা ছিল অনুপ্রেরণা, ছিল দিক নির্দেশনা। ১৯৮৫ সনে এশিয়া কাপে ঐ পাকিস্তানকে নাকানি চুবানি খাইয়ে ছিল বাংলাদেশ হকি দল। কিসমত আর টিসা দুজনে মিলে তিনবার গোলকিপারকে একা পেয়েও গোল করতে না পারাতে পাকিস্তান হাসান সরদারের এক মাত্র গোলে জয়ী হয়। তবে দর্শক তাদের ‘মন কি বাত’ পুরোটাই কড়ায় গন্ডায় বুঝে পেয়ে ছিল।হকি খেলা দেখতে বিশ্বের আর কোথায়ও এত দর্শক হয় নাই।
 
আজও হকি হয়, আছে দুর্দান্ত সব খেলোয়াড় তবে মাঠ ভরার দর্শক নাই। এই মাঠ ভরা দর্শক কই?
হকিকে দাগাতে হবেই—
‘কোন কুলে আজ ভিরল তরি
এ কোন সোনার গাঁয়
আমার ভাটির তরি আবার কেন 
উজান যেতে চায়!’
 
হকির যে দর্শকহীন পরিবেশ, এ থেকে নিস্তার পেতেই হবে। ‘গুগল’ দেখাল মরুভূমি সবুজ ঘাঁসে ভরে গেছে, ইনশাল্লাহ ,আমাদের হকি স্টেডিয়ামও দর্শক পূর্ণ হবে, দরকার নিবেদিত প্রাণ হকি জ্ঞানসম্পন্ন  কর্মকর্তা ।
 
লেখক : সাবেক অধিনায়ক জাতীয় ও সেনাবাহিনী হকি দল এবং জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কারপ্রাপ্ত
দেশকণ্ঠ/আসো

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

পথরেখা : আমাদের কথা

আমাদের পোর্টালের নাম— pathorekha.com; পথরোখা একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। আমরা এই প্রতিষ্ঠানকে প্রতিদিনের সত্য-সংবাদের পথরেখা হিসেবে প্রমাণ করতে চাই। পথরেখা সারাদেশের পাঠকদের জন্য সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ এবং মতামত প্রকাশ করবে। পথরোখা নিউজ পোর্টাল হিসেবে ২০২৩ সালের জুন মাসে যাত্রা শুরু করলো। অচিরেই পথরেখা অনলাইন মিডিয়া হিসেবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের প্রক্রিয়া শুরু করবে। পথরোখা  দেশ কমিউনিকেশনস-এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান।
 
পথরোখা জাতীয় সংবাদের উপর তো বটেই এর সঙ্গে রাজনীতি, আন্তর্জাতিক, খেলাধুলা, কৃষি, বিনোদন, অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, তথ্য ও প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন বিভাগকেও গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে। মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিকতা এবং চৌকস ফটোগ্রাফিকে বিশেষ বিবেচনায় রাখে।
 
পথরোখা’র সম্পাদক আরিফ সোহেল এই সেক্টরে একজন খুব পরিচিত ব্যক্তিত্ব। সাংবাদিক হিসেবে তার দীর্ঘ ৩০ বছর কর্মজীবনে তিনি দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকা, আজকের কাগজ, রিপোর্ট২৪ ডটকম প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। এ ছাড়া তিনি সরকারী ক্রীড়া পাক্ষিক ‘ক্রীড়া জগত’ ও লাইফস্টাইল ম্যাগাজিক অপ্সরা নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। তিনি জনপ্রিয় অনলাইন দেশকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
 
পথরেখা দেশের মৌলিক মূল্যবোধ, বিশেষ করে জাতীয় সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। এছাড়াও, এটি দেশের নাগরিকের মানবিক ও নাগরিক অধিকারের পক্ষে কথা বলবে। ন্যায়পরায়ণতা, নির্ভুলতা এবং বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রাখতে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ। আমরা বিশ্বাস করি যে জনগণের বিশ্বাসযোগ্যতা আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। পথরেখা রাজনৈতিক ইস্যুতে নির্দলীয় অবস্থান বজায় রাখবে। একটি নিরপক্ষ অনলাইন হিসেবে আমরা নিজেদের কর্মকাণ্ডে প্রমাণ করার শতভাগ প্রছেষ্টা করব। তবে সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করেও কিছু ভুল হতেই পারে। যা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রাখছি সব মহলেই। সততা পথে অবিচল; আলোর পথে অবিরাম যাত্রায় আমাদের পাশে থাকুন; আমরা থাকব আপনাদের পাশে।
 
উল্লেখ্য, পথরেখা হিসেবে একটি প্রকাশনী দীর্ঘদিন থেকে প্রকাশিত হয়ে আসছে। এবার উদ্যোগ নেওয়া হলো অনলাইন অনলাইন নিউজ পোর্টাল হিসেবে প্রকাশ করার।