• সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪
    ৯ পৌষ ১৪৩১
    ঢাকা সময়: ২৩:৪৯

জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কারপ্রাপ্তদের নিয়ে ভাবনা ও করণীয়

মেজর (অব.) চাকলাদার : ক্রীড়াঙ্গনের শ্রেষ্ঠতম অর্জন হলো জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কার প্রাপ্তি। মাঠের পরিশ্রমের শ্রেষ্ঠতম স্বীকৃতিও। ঘাম ঝড়ানো সকাল সন্ধ্যা অনুশীলনে বছর পার করে দিয়ে ক্রীড়ারাজ্যে সফলতা আনলেও দৈনন্দিন কাজে পিছিয়ে পরতেই হয়। আমি দক্ষিণ কোরিয়া এশিয়ান গেমসে হকিতে দেশের অধিনায়ক ছিলাম। সিজিএস জেনারেল সামাদ বললেন ওডব্লিউ -জেটিসি করতে হবে। হকি সভাপতি জেনারেল মতিন বললেন চাকলাদার এশিয়ান গেমস করে এসে পরের কোর্সে যাবে। সকাল সন্ধ্যা অনুশীলনে ব্যস্ত থাকাতে এই ‘কেরিয়ার’ কোর্সের জন্য ওরতো পড়া শোনাও হয়নি। কোর্স শুরু আর চারদিন পরেই। জেনারেল সামাদ বললেন কোর্স করে সময় যদি থাকে তবেই এশিয়ান গেমসে যাবে। ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী তখন শেখ শহীদ, হকি সভাপতি জেনারেল মতিন, হকি সেক্রেটারি শামসুল বারি  অনুরোধ করলেন। কিন্ত জেনারেল সামাদ ‘গোল’ দিয়েই ছাড়বেন এবং দিলেনই। কোর্সে গেলাম এবং  কোর্সে ‘বি’ পেয়েছিলাম। ‘এ’ কেউই পায় নি। এশিয়া কাপে আমার নেতৃত্বে যে দল ছিল; তা বিশ্বে পরিচিতি পেয়েছিল ‘এমার্জিং টাইগার’ বলে। অথচ সেই দলটিই কোরিয়ার এশিয়ান গেমসে সর্বনিন্ম স্থান পায়। 
 
আমি কোর্স শেষ করার পর ঠিক করলাম আর হকিই খেলবো না। বিএ (অনার্স) এমএ তে স্টান্ড করে ছিলাম। সাথে রিটায়ার্ড মেজর তাই  সিভিল চাকুরি পেতে অসুবিধা হয় নাই। ৮০ ভাগ জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কারপ্রাপ্তদের জীবন মসৃন নয়। হকি অন্যতম শ্রেষ্ঠ তারকা জামাল হায়দার এ বয়সেও বিভিন্ন আর্মি ইউনিটে কোচিং করে সংসার চালায়। জাতি এদের জীবনের শ্রেষ্ঠ সময়কে ব্যবহার করেছে আজ দেশেরও দায়িত্ব এদের পাশে দাঁড়ানোর।
 
ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রীর কাছে দাবি থাকবে জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্তদের জন্য ভাতার ব্যবস্থা করার। তাদের জন্য কার্ড চালু করার; যেখানে তাদের বিভিন্ন সুযোগ সুবিধার উল্লেখ থাকবে। জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কারপ্রাপ্তদের কেন সুবিধাদি পাবার জন্য চাইতে হবে? যে ক্লাবে তারা খেলেছেন; আশা করব তারা এদের পাশে দাঁড়াক। একই দাবি ক্রীড়া মন্ত্রণলয়ের প্রতি, তাদের অবশ্যই দায়িত্বনিতে হবে।
লেখক : সাবেক অধিনায়ক, জাতীয় ও সেনাবাহিনী হকি দল এবং জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কারপ্রাপ্ত
দেশকণ্ঠ/আসো

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

পথরেখা : আমাদের কথা

আমাদের পোর্টালের নাম— pathorekha.com; পথরোখা একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। আমরা এই প্রতিষ্ঠানকে প্রতিদিনের সত্য-সংবাদের পথরেখা হিসেবে প্রমাণ করতে চাই। পথরেখা সারাদেশের পাঠকদের জন্য সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ এবং মতামত প্রকাশ করবে। পথরোখা নিউজ পোর্টাল হিসেবে ২০২৩ সালের জুন মাসে যাত্রা শুরু করলো। অচিরেই পথরেখা অনলাইন মিডিয়া হিসেবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের প্রক্রিয়া শুরু করবে। পথরোখা  দেশ কমিউনিকেশনস-এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান।
 
পথরোখা জাতীয় সংবাদের উপর তো বটেই এর সঙ্গে রাজনীতি, আন্তর্জাতিক, খেলাধুলা, কৃষি, বিনোদন, অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, তথ্য ও প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন বিভাগকেও গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে। মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিকতা এবং চৌকস ফটোগ্রাফিকে বিশেষ বিবেচনায় রাখে।
 
পথরোখা’র সম্পাদক আরিফ সোহেল এই সেক্টরে একজন খুব পরিচিত ব্যক্তিত্ব। সাংবাদিক হিসেবে তার দীর্ঘ ৩০ বছর কর্মজীবনে তিনি দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকা, আজকের কাগজ, রিপোর্ট২৪ ডটকম প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। এ ছাড়া তিনি সরকারী ক্রীড়া পাক্ষিক ‘ক্রীড়া জগত’ ও লাইফস্টাইল ম্যাগাজিক অপ্সরা নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। তিনি জনপ্রিয় অনলাইন দেশকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
 
পথরেখা দেশের মৌলিক মূল্যবোধ, বিশেষ করে জাতীয় সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। এছাড়াও, এটি দেশের নাগরিকের মানবিক ও নাগরিক অধিকারের পক্ষে কথা বলবে। ন্যায়পরায়ণতা, নির্ভুলতা এবং বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রাখতে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ। আমরা বিশ্বাস করি যে জনগণের বিশ্বাসযোগ্যতা আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। পথরেখা রাজনৈতিক ইস্যুতে নির্দলীয় অবস্থান বজায় রাখবে। একটি নিরপক্ষ অনলাইন হিসেবে আমরা নিজেদের কর্মকাণ্ডে প্রমাণ করার শতভাগ প্রছেষ্টা করব। তবে সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করেও কিছু ভুল হতেই পারে। যা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রাখছি সব মহলেই। সততা পথে অবিচল; আলোর পথে অবিরাম যাত্রায় আমাদের পাশে থাকুন; আমরা থাকব আপনাদের পাশে।
 
উল্লেখ্য, পথরেখা হিসেবে একটি প্রকাশনী দীর্ঘদিন থেকে প্রকাশিত হয়ে আসছে। এবার উদ্যোগ নেওয়া হলো অনলাইন অনলাইন নিউজ পোর্টাল হিসেবে প্রকাশ করার।