• সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪
    ৯ পৌষ ১৪৩১
    ঢাকা সময়: ০১:১১

মাঠের বাইরের সাকিব

মোয়াজ্জেম হোসেন রাসেল : মাঠ ও মাঠের বাইরের সাকিব আল হাসানের মধ্যে বিস্তর তফাৎ। মাঠের বাইরে যত বিতর্কিত ঘটনাই ঘটান না কেন মাঠে তার বিন্দুমাত্র প্রভাব নেই। বিশ্বসেরা এই অলরাউন্ডারের জনকল্যানমূলক কাজেও নিজেকে সম্পৃক্ত রেখেছেন। ২৪ মার্চ ৩৬তম জন্মদিনে ক্যান্সার ফাউন্ডেশন গঠন করার মতো মহতী কাজের ঘোষনা দিয়েছেন।  অনেকটা নীরবে-নিভৃতে ভালো কাজ করে যান মিস্টার সেভেনটি ফাইভ। বাঁহাতি এ অলরাউন্ডার মানবিক কর্মকান্ডগুলোকে খুব একটা সামনে আনেন না। স্বল্প আয়ের মানুষের সুস্বাস্থ্য, সুবিধাবঞ্চিতদের জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন ও শিক্ষা নিশ্চিতের লক্ষ্যে ২০২০ সালে করোনা ভাইরাস মহামারির মধ্যে তিনি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন ‘সাকিব আল হাসান ফাউন্ডেশন’। যার মাধ্যমে অনেক মানুষ সেবা পেয়েছেন। এবার সাকিব আল হাসানের তার জন্মদিনে আরও বড় পরিসরে দেশের মানুষের সেবায় নিয়োজিত হতে যাচ্ছেন বিশ্বসেরা এ অলরাউন্ডার। ঢাকার একটি পাঁচতারকা হোটেলে শুক্রবার তিনি উদ্বোধন করেছেন ‘সাকিব আল হাসান ক্যানসার ফাউন্ডেশন’। দেশের সুবিধাবঞ্চিত ক্যান্সার রোগীদের চিকিৎসায় সহযোগিতা করতেই সাকিব আল হাসান ক্যান্সার ফাউন্ডেশন গড়ে তোলা বলে জানান উদ্যোক্তারা। যা মহতী কাজ হিসেবে সর্বমহলের প্রশংসা কুড়িয়েছে।
 
সাকিবের এই মহতী উদ্যোগের সঙ্গে রয়েছেন বিকেএসপির সাবেক কয়েকজন ক্রিকেটার ও দু’জন কোচ। অনূর্ধ্ব-১৯ জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক কাফি খানের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় ৯ জনের একটি গ্রুপ মিলে ফাউন্ডেশনটি গড়ে তোলার উদ্যোগ গ্রহণ করে। এক বছর আগে সাকিব আল হাসান ক্যান্সার ফাউন্ডেশনের নিবন্ধনও করা হয়েছে বলে জানান গ্রুপের অন্যতম সদস্য জাতীয় দলের সাবেক ক্রিকেটার নাঈম ইসলাম। অন্য সদস্যরা হলেন, জাতীয় দলের সাবেক বাঁহাতি স্পিনার ও বর্তমান নির্বাচক আব্দুর রাজ্জাক রাজ, জাতীয় দলের সাবেক বাঁহাতি স্পিনার সোহরাওয়ার্দী শুভ, ক্রিকেটার মো. নাসিরুল ইসলাম ও প্রয়াত মোশাররফ হোসেন রুবেল, যিনি মস্তিষ্কের ক্যান্সার আক্রান্ত হয়ে গত বছর ১৯ এপ্রিল মারা গেছেন। বিকেএসপির ক্রিকেট উপদেষ্টা নাজমুল আবেদীন ফাহিম ও জাতীয় দলের সাবেক কোচ সারওয়ার ইমরান এই ফাউন্ডেশনের দু’জন গুরুত্বপূর্ণ সদস্য। এদিকে কিছুদিন আগেই মাস্তুল ফাউন্ডেশনকে একটি অ্যাম্বুলেন্স উপহার দিয়েছেন সাকিব।
 
বিশ্বসেরা এই অলরাউন্ডার মাগুরায় ১৯৮৭ সালের ২৪ মার্চ জন্মগ্রহণ করেন। ২০০৬ সালে বিকেএসপিতে হাতেখড়ির পর মাত্র ১৯ বছর বয়সে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পথচলা শুরু সাকিবের। বিশ্বের প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে তিন ফরম্যাটেই সেরা অলরাউন্ডার হয়েছেন তিনি। রেকর্ডের পর রেকর্ড ভেঙেছেন, গড়েছেনও। ২০১১ বিশ্বকাপে দলকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। বর্তমানেও অধিনায়কত্বের আর্মব্যান্ডের ভার রয়েছে টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে। এদিকে, সাকিবের জন্মদিনে কলকাতা নাইট রাইডার্সের পক্ষ থেকে ছবি পোস্ট করা হয়। সেখানে দেখা যাচ্ছে, কলকাতার জার্সি পরে একটি চেয়ারে বসে রয়েছেন সাকিব এবং তার পায়ের কাছে একটি রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার। সেই সঙ্গে লেখা, ‘শুভ জন্মদিন সাকিব। দিনটা খুব ভালো কাটুক।’ অনুষ্ঠানে বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনও উপস্থিত ছিলেন। নিজের বক্তব্যে সাকিব বলেন, ‘রোজার শুরু, জুম্মার দিন, আজ আর আমার জন্মদিন। এক দিনে সব মিলে গেছে তাই দিনটি আমার জন্য আলাদা। আলাদা আরও একটি কারণে, সেটা আমাদের এই নতুন উদ্যোগ। আমি অনেক সময় অনেক কিছুর সঙ্গে জড়িয়েছি’।
 
সাকিব আরও বলেন, ’চেষ্টা করেছি মানুষের পাশে থাকার। এবার প্রাতিষ্ঠানিকভাবে কিছু করতে চাই। এই ক্যান্সার ফাউন্ডেশন করার পেছনে সত্যিকার অর্থে সেটিই কারণ। একটা ডায়াগনসিস সেন্টার করতে চাই। তারও আগে চাই মানুষের মাঝে সচেতনতা বাড়াতে। আমার কাছে মনে হয় এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।’ বিশ্বসেরা অল-রাউন্ডার আরও বলেন, ‘আমার ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকে আমি বলতে পারি, অনেক আর্লি স্টেজে যদি এটা ধরা পড়ে, কিংবা শুরুতেই ডায়াগনসিস করা যায়, তাহলে আমার মনে হয় এখন অনেক ভালো চিকিৎসা আছে। যার মাধ্যমে মানুষ অনেক দিন বেঁচে থাকতে পারবে। ক্যান্সারকে সবাই মরণব্যাধি বলে। তবে এর ভয়ে পিছিয়ে থাকলে তো চলবে না। আমাদেরকে এর বিরুদ্ধে লড়াই করতে হবে, মানুষকে সাহস দিতে হবে, দেখাতে হবে আশা। আমরা সবাই মিলে সেই কাজটি করতে চাই। যত ক্ষুদ্র পর্যায়ে থেকেই হোক না কেন।’ নিজেদের কার্যক্রম নিয়ে বাংলাদেশের টেস্ট অধিনায়ক বলেন, ’সাকিব আল হাসান ক্যান্সার ফাউন্ডেশন এইসব মানুষের জন্য কাজ করতে চায়, যাদের সামর্থ্য নেই ক্যান্সার মতো ব্যয়বহুল চিকিৎসাকে এগিয়ে নেওয়ার, যাদের সামর্থ্য নেই ক্যান্সার ডায়াগনসিস করার। আমরা যদি একজন, একশ জন বা এক হাজার জন মানুষকেও সাহায্য করতে পারি, সেটিই আমাদের জন্য বড় অর্জন হবে আমি মনে করি। আমাদের স্বপ্নটা বড়, একটা ক্যান্সার হাসপাতাল করার’। সাকিবের এই উদ্যোগে অনেকের থাকা অসহায় মানুষের পাশে থাকার মতোই।
দেশকণ্ঠ/আসো 
 

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

পথরেখা : আমাদের কথা

আমাদের পোর্টালের নাম— pathorekha.com; পথরোখা একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। আমরা এই প্রতিষ্ঠানকে প্রতিদিনের সত্য-সংবাদের পথরেখা হিসেবে প্রমাণ করতে চাই। পথরেখা সারাদেশের পাঠকদের জন্য সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ এবং মতামত প্রকাশ করবে। পথরোখা নিউজ পোর্টাল হিসেবে ২০২৩ সালের জুন মাসে যাত্রা শুরু করলো। অচিরেই পথরেখা অনলাইন মিডিয়া হিসেবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের প্রক্রিয়া শুরু করবে। পথরোখা  দেশ কমিউনিকেশনস-এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান।
 
পথরোখা জাতীয় সংবাদের উপর তো বটেই এর সঙ্গে রাজনীতি, আন্তর্জাতিক, খেলাধুলা, কৃষি, বিনোদন, অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, তথ্য ও প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন বিভাগকেও গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে। মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিকতা এবং চৌকস ফটোগ্রাফিকে বিশেষ বিবেচনায় রাখে।
 
পথরোখা’র সম্পাদক আরিফ সোহেল এই সেক্টরে একজন খুব পরিচিত ব্যক্তিত্ব। সাংবাদিক হিসেবে তার দীর্ঘ ৩০ বছর কর্মজীবনে তিনি দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকা, আজকের কাগজ, রিপোর্ট২৪ ডটকম প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। এ ছাড়া তিনি সরকারী ক্রীড়া পাক্ষিক ‘ক্রীড়া জগত’ ও লাইফস্টাইল ম্যাগাজিক অপ্সরা নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। তিনি জনপ্রিয় অনলাইন দেশকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
 
পথরেখা দেশের মৌলিক মূল্যবোধ, বিশেষ করে জাতীয় সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। এছাড়াও, এটি দেশের নাগরিকের মানবিক ও নাগরিক অধিকারের পক্ষে কথা বলবে। ন্যায়পরায়ণতা, নির্ভুলতা এবং বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রাখতে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ। আমরা বিশ্বাস করি যে জনগণের বিশ্বাসযোগ্যতা আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। পথরেখা রাজনৈতিক ইস্যুতে নির্দলীয় অবস্থান বজায় রাখবে। একটি নিরপক্ষ অনলাইন হিসেবে আমরা নিজেদের কর্মকাণ্ডে প্রমাণ করার শতভাগ প্রছেষ্টা করব। তবে সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করেও কিছু ভুল হতেই পারে। যা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রাখছি সব মহলেই। সততা পথে অবিচল; আলোর পথে অবিরাম যাত্রায় আমাদের পাশে থাকুন; আমরা থাকব আপনাদের পাশে।
 
উল্লেখ্য, পথরেখা হিসেবে একটি প্রকাশনী দীর্ঘদিন থেকে প্রকাশিত হয়ে আসছে। এবার উদ্যোগ নেওয়া হলো অনলাইন অনলাইন নিউজ পোর্টাল হিসেবে প্রকাশ করার।