• রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪
    ৭ আশ্বিন ১৪৩১
    ঢাকা সময়: ২১:৩৮

বেড়েই চলেছে এইডস রোগী বেসরকারি মতে ১৫ হাজার

দেশকন্ঠ  প্রতিবেদক : দেশে বেড়েই চলেছে এইচআইভি পজেটিভ বা এইডস রোগী। আক্রান্তদের ৩৭ শতাংশই শনাক্ত হননি আর শনাক্ত হওয়া রোগীদেরও ২৩ শতাংশ চিকিৎসার বাইরে। লোকলজ্জায় রোগ প্রকাশ বা চিকিৎসা নিতে চান না অনেকেই। তাদের কারণে সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ছে বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।দেশে প্রথম এইচআইভি পজেটিভ ধরা পড়ে ১৯৮৯ সালে। গত তিন দশকের বেশি সময়ে রোগী বেড়েছে আশঙ্কাজনক হারে। বেসরকারি গবেষণা মতে, এই সংখ্যা প্রায় ১৫ হাজার। তবে, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের দাবি শনাক্ত ৮ হাজার ৭৬১ জন রোগীর মধ্যে মারা গেছেন ১ হাজার ৮২০ জন।সংক্রমিতদের ২৬ শতাংশ সাধারণ মানুষ, ২০ শতাংশ অভিবাসী, ৮ শতাংশ শিরায় মাদক গ্রহণকারী, ২৬ শতাংশ রোহিঙ্গা, ৯ শতাংশ সমকামী, ৭ শতাংশ পুরুষ যৌনকর্মী, ২ শতাংশ ট্রান্সজেন্ডার বা তৃতীয় লিঙ্গের মানুষ এবং ২ শতাংশ নারী যৌনকর্মী।ভয়ে-লজ্জায় দেশ ছেড়েছেন সংক্রমিত অনেকেই। আরও অনেকেই টেস্টের সময় ভুল ঠিকানা দেয়ায় সমস্যা বাড়ছে।  গবেষকদের মতে, আক্রান্ত বেশি রয়েছে ড্রাগইউজার, প্রবাসী, রোহিঙ্গা এবং তরুণ-তরুণী। প্রকাশ না করা আর চিকিৎসা না নেয়া অসচেতন রোগীরাই ছড়াচ্ছেন বেশিরভাগ সংক্রমণ।

এইচআইভি এক্সপার্ট ও বিসিসিএম সদস্য হাফিজ উদ্দিন মুন্না বলেন, “আমাদের সমাজে অসংখ্য মানুষ স্বাভাবিক মানুষের মতোই এইচআইভি নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন “মহাখালী সংক্রমণ ব্যাধি হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. হাসিবা মুনতাহা বলেন, “ম্যান টু ম্যান সেক্স যারা করে, ফিমেল সেক্স ওয়ার্কার, এছাড়া যারা প্রবাসে থাকে তাদের মধ্যেও অনেকে অ্যাফেকটেড হয়।”আইইডিসিআর প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ডা. মো. সেলিম উজ্জামান বলেন, “যারা শিরায় মাদকাসক্ত তাদের মধ্যে এই সংখ্যাটা একটু বেশি। এটা ঢাকা শহরেও বেশি এবং ঢাকার বাইরেও।”তবে শনাক্ত ও চিকিৎসা সেবার পরিধি বাড়াতে এইডস রোগীদের দিয়ে মাঠকর্মীর কাজ করানোসহ বেশকিছু উদ্যোগ রয়েছে সরকারের। মহাখালি এনআইডিসিএইচ সহকারি রেজিস্ট্রার ডা. মাহমুদুল হাসান বলেন, “এখন বাংলাদেশ সরকারের প্রায় ২৮টির উপরে এইচআইভি টেস্টিং সেন্টার, এআরটি সেন্টার ১১টি যেখান থেকে ওষুধ প্রদান করা হয়। আমাদের টেস্টের পরিসেবা যেভাবে বেড়েছে, প্রচারণা যখন বেড়েছে তখন এইচআইভি রোগীর সংখ্যাও বেড়েছে।”ঝুঁকি এড়াতে সবার সচেতনতা জরুরি বলেও মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।
দেশকন্ঠ/এআর

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

পথরেখা : আমাদের কথা

আমাদের পোর্টালের নাম— pathorekha.com; পথরোখা একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। আমরা এই প্রতিষ্ঠানকে প্রতিদিনের সত্য-সংবাদের পথরেখা হিসেবে প্রমাণ করতে চাই। পথরেখা সারাদেশের পাঠকদের জন্য সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ এবং মতামত প্রকাশ করবে। পথরোখা নিউজ পোর্টাল হিসেবে ২০২৩ সালের জুন মাসে যাত্রা শুরু করলো। অচিরেই পথরেখা অনলাইন মিডিয়া হিসেবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের প্রক্রিয়া শুরু করবে। পথরোখা  দেশ কমিউনিকেশনস-এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান।
 
পথরোখা জাতীয় সংবাদের উপর তো বটেই এর সঙ্গে রাজনীতি, আন্তর্জাতিক, খেলাধুলা, কৃষি, বিনোদন, অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, তথ্য ও প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন বিভাগকেও গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে। মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিকতা এবং চৌকস ফটোগ্রাফিকে বিশেষ বিবেচনায় রাখে।
 
পথরোখা’র সম্পাদক আরিফ সোহেল এই সেক্টরে একজন খুব পরিচিত ব্যক্তিত্ব। সাংবাদিক হিসেবে তার দীর্ঘ ৩০ বছর কর্মজীবনে তিনি দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকা, আজকের কাগজ, রিপোর্ট২৪ ডটকম প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। এ ছাড়া তিনি সরকারী ক্রীড়া পাক্ষিক ‘ক্রীড়া জগত’ ও লাইফস্টাইল ম্যাগাজিক অপ্সরা নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। তিনি জনপ্রিয় অনলাইন দেশকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
 
পথরেখা দেশের মৌলিক মূল্যবোধ, বিশেষ করে জাতীয় সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। এছাড়াও, এটি দেশের নাগরিকের মানবিক ও নাগরিক অধিকারের পক্ষে কথা বলবে। ন্যায়পরায়ণতা, নির্ভুলতা এবং বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রাখতে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ। আমরা বিশ্বাস করি যে জনগণের বিশ্বাসযোগ্যতা আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। পথরেখা রাজনৈতিক ইস্যুতে নির্দলীয় অবস্থান বজায় রাখবে। একটি নিরপক্ষ অনলাইন হিসেবে আমরা নিজেদের কর্মকাণ্ডে প্রমাণ করার শতভাগ প্রছেষ্টা করব। তবে সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করেও কিছু ভুল হতেই পারে। যা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রাখছি সব মহলেই। সততা পথে অবিচল; আলোর পথে অবিরাম যাত্রায় আমাদের পাশে থাকুন; আমরা থাকব আপনাদের পাশে।
 
উল্লেখ্য, পথরেখা হিসেবে একটি প্রকাশনী দীর্ঘদিন থেকে প্রকাশিত হয়ে আসছে। এবার উদ্যোগ নেওয়া হলো অনলাইন অনলাইন নিউজ পোর্টাল হিসেবে প্রকাশ করার।