• রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪
    ৭ আশ্বিন ১৪৩১
    ঢাকা সময়: ২১:৩৮

সুদান ছাড়ছে বিদেশি কূটনীতিকরা দেশজুড়ে ইন্টারনেট বিভ্রাট

  • আন্তর্জাতিক       
  • ২৩ এপ্রিল, ২০২৩       
  • ৪৭
  •       
  • ২৩-০৪-২০২৩, ২১:৩৯:৫০

দেশকন্ঠ ডেস্ক : সুদানের সশস্ত্র বাহিনী (এসএএফ) এবং আধাসামরিক বাহিনী র‍্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস (আরএসএফ)-এর লড়াই অব্যাহত থাকায় দেশজুড়ে ইন্টারনেট বিভ্রাটের খবর পাওয়া গেছে। ইতিমধ্যে দেশটি ছেড়ে যাচ্ছেন বিভিন্ন দেশের নাগরিকরা। কিছু কিছু দেশ তাদের কূটনীতিকদেরও সরিয়ে নিচ্ছে।

কূটনীতিকদের সরিয়ে নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র:

মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, সুদান থেকে মার্কিন সরকারি কর্মকর্তাদের সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, আমার নির্দেশে মার্কিন সামরিক বাহিনী খার্তুম থেকে আমাদের কর্মকর্তাদের বের করে আনতে অভিযান চালিয়েছে।

মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন বলেন, সব মার্কিন কর্মী ও তাদের পরিবারকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। খার্তুমে মার্কিন দূতাবাসের কার্যক্রম সাময়িকভাবে স্থগিত করা হয়েছে। ১০০ জনেরও বেশি স্পেশাল অপারেশন ফোর্সের একটি দল তাদের সরিয়ে আনতে সক্ষম হয়।

মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন বলেন, মার্কিন আফ্রিকা কমান্ডের নেতৃত্বে এবং স্টেট ডিপার্টমেন্টের সঙ্গে সমন্বয়ের মাধ্যমে এই অভিযান চালানো হয়। সুদানের সশস্ত্র বাহিনী এসএএফ এবং আরএসএফ-এর মধ্যে এক সপ্তাহ ধরে তীব্র লড়াইয়ের পর আমেরিকান সেনাদেরও সরিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এদিকে, ফ্রান্সের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, তারা সুদান থেকে তাদের নাগরিক ও কূটনৈতিকদের সরিয়ে নিতে শুরু করেছে।

একইভাবে ব্রিটিশ কূটনীতিক ও তাদের পরিবারের সবাইকে সুদান থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। দেশটির প্রধানমন্ত্রী ঋষি বলেছেন, 'জটিল ও দ্রুত' অভিযানে ব্রিটিশ কূটনীতিক ও তাদের পরিবারকে সুদান থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। সুদানে অবস্থানরত ব্রিটিশ নাগরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কাজ চলছে।

সুদানে কানাডার কার্যক্রম সাময়িকভাবে স্থগিত:

সুদানে কার্যক্রম সাময়িকভাবে স্থগিত করেছে কানাডা। দেশটি জানিয়েছে, তাদের কূটনীতিকরা সাময়িকভাবে দেশের বাইরে নিরাপদ অবস্থান থেকে কাজ করবেন। কানাডীয় সরকার এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, খার্তুমে কার্যক্রম স্থগিত থাকলেও সীমিত আকারে কনস্যুলার সেবা অব্যাহত রয়েছে।

তুর্কিদের সরিয়ে নেয়া শুরু হয়েছে :

তুরস্কের ইস্তাম্বুল থেকে আল-জাজিরার সাংবাদিক আমির লাফি বলেন, তুরস্কের নাগরিকদের পাশাপাশি অন্যান্য দেশের নাগরিকদের সরিয়ে নেওয়া শুরু হয়েছে সুদান থেকে। তুরস্কের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তাদের নাগরিকদের জন্য তিনটি অ্যাসেম্বলি এলাকা নির্দিষ্ট করেছে। তারা সেখানে নিরাপদে অবস্থান করবেন।

সুদানে ৪০০ সৈন্য পাঠানোর অনুমোদন সুইডেনের:
সুইডিশ পার্লামেন্ট সুদান থেকে তাদের নাগরিকদের সরিয়ে নিতে সশস্ত্র বাহিনী পাঠানোর জন্য সরকারকে প্রয়োজনীয় অনুমোদন দিয়েছে। এক বিবৃতিতে রিক্সড্যাগ সরকারকে এই কাজের জন্য ৪০০ সৈন্যের একটি ইউনিট পাঠানোর প্রস্তাব অনুমোদন হয়েছে। দেশটির ফরেন অ্যাফেয়ার্স কমিটির প্রস্তাব অনুযায়ী, সুদান থেকে সুইডিশ ও বিদেশি নাগরিকদের সরিয়ে নেয়ার দায়িত্ব দেওয়া হবে এ বাহিনীকে।

নাগরিকদের সরিয়ে নিতে যোগ দিয়েছে বেলজিয়াম:
বেলজিয়ামের শীর্ষ কূটনীতিকরা বলেছেন, সুদান থেকে বেলজিয়ামের নাগরিক এবং অন্যান্য যোগ্য ব্যক্তিদের সরিয়ে নিতে ফ্রান্স ও নেদারল্যান্ডসের সাথে কাজ করছে বেলজিয়াম। বেলজিয়ামের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাদজা লাহবিব এক টুইটবার্তায় বলেছেন, যত দ্রুত সম্ভব ইউরোপীয় নাগরিকদের সরিয়ে নিতে সুদানে একাধিক অভিযান চলছে। একইভাবে সৌদি আরবও ঘোষণা করেছে তারা ভ্রাতৃপ্রতিম কিছু দেশের নাগরিকদের সুদান থেকে সরিয়ে নেওয়ার ব্যবস্থা করছে। সর্বশেষ খবরে বলা হয়, সৌদি মিশনের কূটনীতিকরা ইতোমধ্যেই সড়কপথে পোর্ট সুদান গিয়ে সেখান থেকে নিজ দেশের উদ্দেশে বিমান উঠেছেন।

প্রসঙ্গত, সুদানের সামরিক নেতৃত্বের দুই অংশের মধ্যে ক্ষমতার দ্বন্দ্বের কারণে গত সপ্তাহে সহিংসতা শুরু হয়। এক সপ্তাহ ধরে চলা সহিংসতায় এ পর্যন্ত কমপক্ষে ৪০০ লোক নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে  সাড়ে তিন হাজারেরও বেশি মানুষ। সুদানে কীভাবে বেসামরিক শাসন ফিরিয়ে আনা হবে, মূলত তা নিয়ে দুই ক্ষমতাধর সামরিক অধিনায়কের দ্বন্দ্ব থেকে এই লড়াই চলছে। বর্তমান সামরিক সরকার চলে মূলত সেনাপ্রধান জেনারেল আবদেল ফাত্তাহ আল-বুরহানের নেতৃত্বে। তার সঙ্গে উপনেতা হিসেবে আছেন আরেকটি আধা-সামরিক বাহিনী র‍্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেসের (আরএসএফ) প্রধান মোহাম্মদ হামদান হেমেডটি ডাগালো।

বেসামরিক শাসনে প্রত্যাবর্তনের পরিকল্পনা অনুযায়ী, এই দুটি বাহিনীকে একীভূত করার কথা। কিন্তু আরএসএফ তাদের বিলুপ্ত করার বিপক্ষে এবং এই পরিকল্পনা থামানোর জন্য তাদের বাহিনীকে রাস্তায় নামায়। এরপর এটি সেনাবাহিনী এবং আরএসএফের মধ্যে একটি পূর্ণাঙ্গ লড়াইয়ে রূপ নিয়েছে। জাতিসংঘ জানিয়েছে, দশ হাজার থেকে বিশ হাজার মানুষ সুদান ছেড়ে পালিয়েছে পাশের দেশ চাদে আশ্রয় নেওয়ার জন্য। এদের বেশিরভাগ নারী ও শিশু।
দেশকন্ঠ/এআর

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

পথরেখা : আমাদের কথা

আমাদের পোর্টালের নাম— pathorekha.com; পথরোখা একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। আমরা এই প্রতিষ্ঠানকে প্রতিদিনের সত্য-সংবাদের পথরেখা হিসেবে প্রমাণ করতে চাই। পথরেখা সারাদেশের পাঠকদের জন্য সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ এবং মতামত প্রকাশ করবে। পথরোখা নিউজ পোর্টাল হিসেবে ২০২৩ সালের জুন মাসে যাত্রা শুরু করলো। অচিরেই পথরেখা অনলাইন মিডিয়া হিসেবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের প্রক্রিয়া শুরু করবে। পথরোখা  দেশ কমিউনিকেশনস-এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান।
 
পথরোখা জাতীয় সংবাদের উপর তো বটেই এর সঙ্গে রাজনীতি, আন্তর্জাতিক, খেলাধুলা, কৃষি, বিনোদন, অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, তথ্য ও প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন বিভাগকেও গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে। মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিকতা এবং চৌকস ফটোগ্রাফিকে বিশেষ বিবেচনায় রাখে।
 
পথরোখা’র সম্পাদক আরিফ সোহেল এই সেক্টরে একজন খুব পরিচিত ব্যক্তিত্ব। সাংবাদিক হিসেবে তার দীর্ঘ ৩০ বছর কর্মজীবনে তিনি দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকা, আজকের কাগজ, রিপোর্ট২৪ ডটকম প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। এ ছাড়া তিনি সরকারী ক্রীড়া পাক্ষিক ‘ক্রীড়া জগত’ ও লাইফস্টাইল ম্যাগাজিক অপ্সরা নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। তিনি জনপ্রিয় অনলাইন দেশকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
 
পথরেখা দেশের মৌলিক মূল্যবোধ, বিশেষ করে জাতীয় সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। এছাড়াও, এটি দেশের নাগরিকের মানবিক ও নাগরিক অধিকারের পক্ষে কথা বলবে। ন্যায়পরায়ণতা, নির্ভুলতা এবং বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রাখতে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ। আমরা বিশ্বাস করি যে জনগণের বিশ্বাসযোগ্যতা আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। পথরেখা রাজনৈতিক ইস্যুতে নির্দলীয় অবস্থান বজায় রাখবে। একটি নিরপক্ষ অনলাইন হিসেবে আমরা নিজেদের কর্মকাণ্ডে প্রমাণ করার শতভাগ প্রছেষ্টা করব। তবে সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করেও কিছু ভুল হতেই পারে। যা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রাখছি সব মহলেই। সততা পথে অবিচল; আলোর পথে অবিরাম যাত্রায় আমাদের পাশে থাকুন; আমরা থাকব আপনাদের পাশে।
 
উল্লেখ্য, পথরেখা হিসেবে একটি প্রকাশনী দীর্ঘদিন থেকে প্রকাশিত হয়ে আসছে। এবার উদ্যোগ নেওয়া হলো অনলাইন অনলাইন নিউজ পোর্টাল হিসেবে প্রকাশ করার।