• সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪
    ৯ পৌষ ১৪৩১
    ঢাকা সময়: ০১:১১

অপেক্ষার নারী ফ্রাঞ্চাইজি ফুটবল লিগ

দেশকণ্ঠ প্রতিবেদন : ছেলেদের ফুটবলে না হলেও এবার মেয়েদের ফুটবলে প্রথমবারের মতো ফ্রাঞ্চাইজি লিগ শুরুর অপেক্ষা এখন। এরই মধ্যে ট্রফি ও টুর্নামেন্টের বলের পরিচিতি অনুষ্ঠান করা হয়েছে। এএফসি অনুর্ধ্ব-১৭ ফুটবলে দারুণ ফলাফল করার পর পরই লিগ নিয়ে আরেকটু শংকা কেটে যাওয়ার খবর আসে। সিঙ্গাপুরে অনুষ্ঠিত চ্যাম্পিয়নশিপ বাছাইপর্বের প্রথম রাউন্ডে চ্যাম্পিয়ন হয়ে সোমবার সকালে দেশে ফিরেছে বাংলাদেশ নারী ফুটবল দল। নারী চ্যাম্পিয়নশীপ বাছাইয়ে বাংলাদেশ ‘ডি’ গ্রুপে ছিল। প্রথম ম্যাচে তুর্কমেনিস্তানকে ৬-০ গোলে উড়িয়ে দেয় বাংলাদেশ। পরের ম্যাচে স্বাগতিক সিঙ্গাপুরকে ৩-০ গোলে হারিয়েছে তারা। যেখানে জোড়া গোল করেন সুরভী আকন্দ প্রীতি। তিন দলের মধ্যে সর্বোচ্চ ৬ পয়েন্ট নিয়ে বাছাইপর্বের দ্বিতীয় রাউন্ড নিশ্চিত করে বাংলাদেশ। মাঠের বাইরে নানা সংকটের মধ্যদিয়ে যাওয়া বাংলাদেশের ফুটবলে আবারও সুখবর নিয়ে আসে মেয়েরা। এই অবস্থার মধ্যেই রাজধানীর এক হোটেলে জমকালো অনুষ্ঠানে এই লিগের ট্রফি ও বলের উন্মোচন হয়েছে। বাংলাদেশ ওমেন্স সুপার লিগের ট্রফিটি ইংল্যান্ডে তৈরী হয়েছে। ট্রফির দৈর্ঘ্য ২২ ইঞ্চি।
 
এটি তৈরিতে ব্যবহৃত হয়েছে কপার, সিলভার এবং ১৮ ক্যারেট সোনা। বল তৈরি করেছে ভারতের নিভিয়া স্পোর্টস। এই বলটি বাংলাদেশের ওমেন্স ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগের জন্য বিশেষভাবে নির্মিত। অন্য কোনো প্রতিযোগিতায় এই বল ব্যবহৃত হবে না। নারী ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগের বলের অফিসিয়াল নাম দেওয়া হয়েছে ’অস্ত্র’। চারটি দল নিয়ে হবে এই ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ। কোন চার ফ্র্যাঞ্চাইজি অংশগ্রহণ করছে সেই নাম অবশ্য এখনও ঘোষণা করেনি বাফুফে ও টুর্নামেন্টের স্বত্বাধিকারীর প্রতিষ্ঠান কে স্পোর্টস। আগামী ১২ মে টুর্নামেন্টের পরবর্তী আপডেট প্রদান করা হবে বলে জানানো হয়েছে। ১৫ মে টুর্নামেন্ট শুরুর দিনক্ষণ থাকলেও সম্প্রতি বাফুফের কিছু বিষয়ের কারণে সেটা পেছাতে খানিকটা বাধ্য হয়েছে। এরপরও এই মাসের মধ্যে শুরুর চেষ্টা চলছে। জমকালো অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ফেডারেশনের নির্বাহী কমিটির ২০ জনের মধ্যে মাত্র দুইজন। মহিলা ফুটবল কমিটির চেয়ারম্যান মাহফুজা আক্তার কিরণ ও ফেডারেশনের অন্যতম সদস্য জাকির হোসেন চৌধুরী।
 
চার দল নিয়ে চলতি মাসেই থেকে মাঠে গড়াতে পারে নারী ফুটবলারদের ফ্র্যাঞ্চাইজি লীগ। প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ মেয়েদের নিয়ে আয়োজন করেছে এমন লীগের। কোন চার ফ্র্যাঞ্চাইজি অংশগ্রহণ করছে সেই নাম অবশ্য এখনও ঘোষণা করেনি বাফুফে ও টুর্নামেন্টের স্বত্বাধিকারী প্রতিষ্ঠান। এর আগে প্রথমে ঘোষণা ছিল দেশের প্রথম নারী ফ্র্যাঞ্চাইজি ফুটবল লিগ হবে সিলেট ও ঢাকায়। দল হবে ৫ বা ৬টি। দুটি পরিকল্পনা থেকেই সরে এসেছে বাফুফে এবং কে-স্পোর্টস। লিগ আয়োজন উপলক্ষ্যে গঠিত সাংগঠনিক কমিটির প্রথম সভায় সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছিল প্রথম আয়োজন হবে ৪ দল নিয়ে। আর খেলা হবে শুধু ঢাকায়। তবে ঢাকার কোন ভেন্যুতে হবে তা এখনো চূড়ান্ত হয়নি। কমলাপুর বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ সিপাহী মোহাম্মদ মোস্তফা কামাল স্টেডিয়াম অথবা বসুন্ধরা কিংস এরেনায় হতে পারে নারী ফুটবলের ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ।
 
সাংগঠনিক কমিটির সভায় উপস্থিত ছিলেন বাফুফের তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক মো. আবু নাইম সোহাগ, বাফুফের নারী ফুটবল কমিটির ও লিগ উপলক্ষ্যে গঠিত সাংগঠনিক কমিটির চেয়ারম্যান মাহফুজা আক্তার কিরণ এবং কে-স্পোর্টসের ফাহাদ করিম। সভা শেষে মাহফুজা আক্তার কিরণ বলেছেন, ‘প্রথমে ঠিক করা হয়েছিল এই ফ্র্যাঞ্চাইজি ফুটবল লিগে ৫-৬টি দল খেলবে; কিন্তু আমরা এখন সিদ্ধান্ত নিয়েছি, লিগটা ভালোভাবে আয়োজনের জন্য ৪টা দল খেলবে। আমরা কোয়ালিটির সঙ্গে কোন কমপ্রোমাইজ করতে চাই না। দলগুলোর নাম কি হবে তা পরে ঠিক করা হবে। জেলা, বিভাগ বা ফ্রাঞ্চাইজি যে কোনো একটার নামে গঠিত হবে দল’। মধ্য মে’তে লিগ শুরুর কথা বলা হয়েছিল। সেটা ঠিক আছে। ১৫ মে থেকে ৪ জুন পর্যন্ত খেলা হবে। ডাবল লিগ পদ্ধতিতে খেলার পর পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষ দুই দল ফাইনাল খেলবে। সব মিলিয়ে ১৩টি ম্যাচ হবে। লিগে প্রতিটি দলে পাঁচজন করে বিদেশী খেলোয়াড় এবং বিদেশী কোচিং স্টাফ থাকবে। দলগুলোকে উন্নতমানের হোটেলে রাখা হবে। প্রথমবার চার দলের লিগ হচ্ছে। পরের বছরগুলোতে দল ও ম্যাচের সংখ্যা বাড়বে।
 
মাহফুজা আক্তার কিরণ বলেছেন, ‘পরবর্তীতে সভা করে দলগুলোর নাম, খেলোয়াড়রা কে কোন ক্যাটাগরিতে সর্বনিন্ম ও সর্বোচ্চ কত টাকা পারিশ্রমিক পাবেন এবং ভেন্যুর নামসহ বিস্তারিত জানিয়ে দেওয়া হবে’। বর্তমানে নারী ফুটবলে যে ক্লাবগুলো খেলে তাদের মধ্যে কারা এই ফ্রাঞ্চাইজি লিগের ব্যাপারে আগ্রহী? কিরণ বললেন, ‘ক্লাবের নাম এখন বলা যাবে না। খুব দ্রুতই সভা করে বলবো। তবে কিছু ক্লাব আগ্রহ প্রকাশ করেছে। এই ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ আয়োজন করে রাইটস হোল্ডারের কাছ থেকে বাফুফে যে অর্থ পাবে, সেটা ফুটবলের উন্নয়নে ব্যয় করা হবে।’ এদিকে নারী ফুটবল নিয়ে এমন পরিস্থিতিতে আর পড়তে চায় না বাফুফে।
দেশকণ্ঠ/আসো

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

পথরেখা : আমাদের কথা

আমাদের পোর্টালের নাম— pathorekha.com; পথরোখা একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। আমরা এই প্রতিষ্ঠানকে প্রতিদিনের সত্য-সংবাদের পথরেখা হিসেবে প্রমাণ করতে চাই। পথরেখা সারাদেশের পাঠকদের জন্য সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ এবং মতামত প্রকাশ করবে। পথরোখা নিউজ পোর্টাল হিসেবে ২০২৩ সালের জুন মাসে যাত্রা শুরু করলো। অচিরেই পথরেখা অনলাইন মিডিয়া হিসেবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের প্রক্রিয়া শুরু করবে। পথরোখা  দেশ কমিউনিকেশনস-এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান।
 
পথরোখা জাতীয় সংবাদের উপর তো বটেই এর সঙ্গে রাজনীতি, আন্তর্জাতিক, খেলাধুলা, কৃষি, বিনোদন, অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, তথ্য ও প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন বিভাগকেও গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে। মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিকতা এবং চৌকস ফটোগ্রাফিকে বিশেষ বিবেচনায় রাখে।
 
পথরোখা’র সম্পাদক আরিফ সোহেল এই সেক্টরে একজন খুব পরিচিত ব্যক্তিত্ব। সাংবাদিক হিসেবে তার দীর্ঘ ৩০ বছর কর্মজীবনে তিনি দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকা, আজকের কাগজ, রিপোর্ট২৪ ডটকম প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। এ ছাড়া তিনি সরকারী ক্রীড়া পাক্ষিক ‘ক্রীড়া জগত’ ও লাইফস্টাইল ম্যাগাজিক অপ্সরা নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। তিনি জনপ্রিয় অনলাইন দেশকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
 
পথরেখা দেশের মৌলিক মূল্যবোধ, বিশেষ করে জাতীয় সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। এছাড়াও, এটি দেশের নাগরিকের মানবিক ও নাগরিক অধিকারের পক্ষে কথা বলবে। ন্যায়পরায়ণতা, নির্ভুলতা এবং বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রাখতে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ। আমরা বিশ্বাস করি যে জনগণের বিশ্বাসযোগ্যতা আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। পথরেখা রাজনৈতিক ইস্যুতে নির্দলীয় অবস্থান বজায় রাখবে। একটি নিরপক্ষ অনলাইন হিসেবে আমরা নিজেদের কর্মকাণ্ডে প্রমাণ করার শতভাগ প্রছেষ্টা করব। তবে সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করেও কিছু ভুল হতেই পারে। যা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রাখছি সব মহলেই। সততা পথে অবিচল; আলোর পথে অবিরাম যাত্রায় আমাদের পাশে থাকুন; আমরা থাকব আপনাদের পাশে।
 
উল্লেখ্য, পথরেখা হিসেবে একটি প্রকাশনী দীর্ঘদিন থেকে প্রকাশিত হয়ে আসছে। এবার উদ্যোগ নেওয়া হলো অনলাইন অনলাইন নিউজ পোর্টাল হিসেবে প্রকাশ করার।