• সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪
    ৯ পৌষ ১৪৩১
    ঢাকা সময়: ২০:৪২

বিরুদ্ধ কন্ডিশনে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে জয়ে চোঁখ বাংলাদেশের

মোয়াজ্জেম হোসেন রাসেল : আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ফিরতি সফরে বাংলাদেশ দল এখন ইংল্যান্ডে রয়েছে। তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচটি মঙ্গলবার চেমসফোর্ডের ক্লাউডি কাউন্টি গ্রাউন্ডে অনুষ্ঠিত হবে। বৃষ্টি আর বিরুদ্ধ কন্ডিশন মাথায় নিয়ে নামতে হবে তামিম ইকবালের দলকে। তবুও প্রথম ম্যাচে জয় দিয়ে সিরিজ শুরু করতে চায় সফরকারীরা। শক্তিমত্তায় দুই দলের পার্থক্য অনেকটাই স্পষ্ট। কিন্তু মাঠে নির্দিষ্ট দিনে যারা ভালো খেলে জেতে তারাই। চিরাচরিত এমনটাই হয়ে আসছে।
 
বাংলাদেশ-আয়ারল্যান্ড সিরিজের পূর্বানুমান করতে গেলে নিশ্চিতভাবে বাংলাদেশকেই এগিয়ে রাখতে হবে। কিন্তু তিন ম্যাচের সিরিজের ভেন্যু যখন ইংল্যান্ডের চেমসফোর্ড তখন আইরিশরাও কিন্তু কপালে ভাঁজ তোলার জন্য যথেষ্ট। ইংল্যান্ডে পৌঁছে দ্বিতীয় দিনই অলরাউন্ডার মেহেদি হাসান মিরাজ বলেছিলেন, ‘এখানে এসে আমাদের প্রথম লক্ষ্য ছিল কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে নেয়া। এখানে একটু ঠান্ডা আছে। তবে আমরা দ্রুত মানিয়ে নিচ্ছি।’ মিরাজের ওই সুরে সুর মিলিয়ে নির্বাচক হাবিবুল বাশার সুমন প্রতিপক্ষের চেয়ে কন্ডিশনকেই বড় বাধা মনে করছেন। পূর্বাচলে গত শনিবার ফিজিক্যালি চ্যালেঞ্জড ক্রিকেট টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে আলাপে হাবিবুল বলেছেন, ‘আমি মনে করি, সিরিজটা প্রতিদ্বন্ধিতাপূর্ণ হবে। আমাদের একটা প্রস্তুতি ম্যাচ খেলার সুযোগ ছিল। ম্যাচটা খেলতে পারলে খুব ভালো হতো। যদিও অনুশীলনের কিছুটা সুযোগ পাচ্ছি, কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে নেয়ার সময় পাচ্ছি হাতে’।
 
তবে একটা ম্যাচ খেলতে না পারলেও প্রথম ম্যাচের জন্য দল পুরোপুরি প্রস্তুত রয়েছে। কারণ, কন্ডিশন পুরোপুরি ভিন্ন কন্ডিশন হলেও সেটা আয়ারল্যান্ডের জন্য কম অস্বস্থির নয়। যদিও এই সিরিজের ম্যাচে মাঠে নামার আগে মূল মাঠে এখনো অনুশীলনের সুযোগ পায়নি। মূল লড়াইয়ে মাঠে নামার আগে শুক্রবার একটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলার কথা ছিল বাংলাদেশের। বৃষ্টির কারণে আউটফিল্ড খেলার অনুপযুক্ত হয়ে পড়ায় ম্যাচ ভেস্তে যায়। আইসিসি ওয়ানডে সুপার লিগের তিন ম্যাচ খেলবে দুই দল। বাংলাদেশের জন্য এই সিরিজ গুরুত্বের না হলেও আইরিশদের জন্য অনেক বেশি গুরুত্বের। বাংলাদেশকে ৩-০ ব্যবধানে হারাতে পারলে সরাসরি বিশ্বকাপে খেলার সুযোগ পাবে আয়ারল্যান্ড। সে হিসেবে আইরিশরা সুযোগ নিতে মরিয়া হয়ে থাকবে। বাংলাদেশ এরই মধ্যে সরাসরি বিশ্বকাপে অংশগ্রহণ নিশ্চিত করেছে। তবে র‌্যাঙ্কিংয়ে এগিয়ে যেতে এসব ম্যাচের গুরুত্ব অনেক।
 
হাবিবুল বাশার সুমনের সেই কথাই যেন বললেন, ‘যদি জুলাই-আগস্ট মাসে খেলা হতো, আমাদের জন্য ভালো হতো। কারণ ওই সময় ইংল্যান্ডের উইকেট একদম শুষ্ক থাকে। যেটা আমাদের ফেভারে থাকত। আমরা সবসময় ওই সময় ইংল্যান্ডে ভালো খেলি। কিন্তু এই মে মাসের দিকে উইকেট একটু নরম থাকে, বৃষ্টি হয়। কন্ডিশনটা কিন্তু খুব চ্যালেঞ্জিং।’ বিরুদ্ধ কন্ডিশনে আয়ারল্যান্ডকে হারানোর কাজটা সহজ হবে না বলে মন্তব্য করেছেন তিনি। কিছুদিন আগেই আয়ারল্যান্ডকে নিজেদের মাটিতে নাস্তানাবুদ করেছে বাংলাদেশ। ওয়ানডে সিরিজ ২-০ ব্যবধানে জয়ের পর টি-টোয়েন্টি সিরিজে তাদেরকে হারায় ২-১ ব্যবধানে। তবে চেমসফোর্ডে কাজটা সহজ হবে না বলে মন্তব্য করেছেন বিসিবির পরিচালক ও ক্রিকেট পরিচালনা বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান আকরাম খান, ‘বাংলাদেশে যত সহজ মনে হয়েছে জয় পাওয়া অত সহজ হবে না। কারণ, ওই সব জায়গায় আয়ারল্যান্ড ভালো দল। ওরা ইংল্যান্ডকে হারিয়েছে, পাকিস্তানকে হারিয়েছে। ওদের সঙ্গে আমাদের ঠিকঠাক ক্রিকেট খেলতে হবে। তিন বিভাগেই আমাদের সিরিয়াস থাকতে হবে। তাহলে আমরা ভালো ফল করব।’
 
সিরিজ শুরুর দু’দিন আগে সম্প্রচার চ্যানেলের নাম জানিয়েছে আইরিশ ক্রিকেট বোর্ড। প্রিমিয়ার স্পোর্টস শুধু আয়ারল্যান্ডে সীমাবদ্ধ। বাংলাদেশে কোনো চ্যানেলে দেখা যাবে তা এখন পর্যন্ত অনিশ্চিত। বিবৃতি দিয়ে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে আইরিশ বোর্ড। বাংলাদেশে কোন চ্যানেলে দেখা যাবে তা জানা যাবে শিগগিরই। এ ছাড়া উত্তর আমেরিকায় দেখা যাবে উইলো টিভিতে আর ভারতে ফ্যানকোডে। স্বাগতিক বোর্ডই মূলত সম্প্রচার স্বত্ব বিক্রি করে থাকে। আয়ারল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ড এটি করছে তৃতীয় পক্ষ টোটাল স্পোর্টস ম্যানেজম্যান্টের (টিএসএম) মাধ্যমে। এই টিএসএমের কাছ থেকে এখন পর্যন্ত দেশি কোনও টিভি চ্যানেল সম্প্রচার স্বত্ব কেনেনি। এদিকে বাংলাদেশকে ঠেকাতে শক্তি বাড়াচ্ছে আয়ারল্যান্ড। যে কন্ডিশনের সঙ্গে মানিয়ে নিতে সিলেটে তিন দিনের নীবিড় ক্যাম্প, ইংল্যান্ডে এক সপ্তাহ আগে পা রাখা, তার কিছুই মনমতো হয়নি বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের। সেটিও যদি বৃষ্টি বাগড়া না দেয়, কেননা চেমসফোর্ডের আবহাওয়া রঙ বদলায় ক্ষণে ক্ষণে। ইংল্যান্ডের মাটিতে শক্তিশালী বাংলাদেশের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ খেলতে যাবার আগে আইপিএল থেকে বিরতি নিয়ে দলটির সঙ্গে যোগ দিয়েছেন পেসার জশ লিটল। এক বিবৃতিতে লিটলের আইপিএল ছাড়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে তার দল বর্তমান চ্যাম্পিয়ন গুজরাট টাইটান্স। তার আগের দিনই জয়পুরে রাজস্থান রয়্যালসের বিপক্ষে দলটির ম্যাচের পর তিনি দেশে ফিরে গেছেন। ম্যাচে রাজস্থানের বিপক্ষে গুজরাটের ৯ উইকেটের বিশাল জয়ে আঁটসাঁট বোলিং করেন লিটল। ২৩ বছর বয়সী বাঁহাতি ফাস্ট বোলার ৪ ওভারে ২৪ রান খরচায় নেন ১ উইকেট।
 
বাংলাদেশের কাছে আয়ারল্যান্ড পরিচিত প্রতিপক্ষ। ভেন্যু চেমসফোর্ডও পরিচিত। দুই যুগ আগে ১৯৯৯ সালে এ চেমসফোর্ডে বিশ্বকাপ ক্রিকেটে অভিষেক হয়েছিল বাংলাদেশের। ১৯৯৯-২০২৩; ব্যবধান ২৪ বছর। দুই যুগ পর ফের চেমসফোর্ডে সাদা বল ও রঙিন পোশাকে খেলতে নামছে বাংলাদেশ। বিশ্বকাপে প্রতিপক্ষ ছিল নিউজিল্যান্ড। এবার প্রতিপক্ষ আয়ারল্যান্ড। চেমসফোর্ড পরিচিত ভেন্যু, কিন্তু এবারের সিরিজে কন্ডিশনের কারণে চেমসফোর্ড একটু বেশিই অপরিচিত। আয়ারল্যান্ড প্রতিপক্ষ হিসেবে যতটা ভয়ংকর, তার চেয়েও ভয়ংকর চেমসফোর্ডের কন্ডিশন। এখন সেখানে সামার। তাপমাত্রা ১৫-১৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। কখনো দিনভর বৃষ্টি হচ্ছে। কখনো থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে। সঙ্গে কনকনে ঠাণ্ডা বাতাস। ইংল্যান্ডে সামার হলেও বাংলাদেশে এ তাপমাত্রা শীতকালে দেখা মেলে। এমন পরিবেশে ক্রিকেট ম্যাচ খেলা একটু বেশিই কঠিন। প্রথম ম্যাচের পর বাকি দুই ম্যাচ হবে ১২ ও ১৪ মে একই ভেন্যুতে অনুষ্ঠিত হবে।
দেশকণ্ঠ/আসো

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

পথরেখা : আমাদের কথা

আমাদের পোর্টালের নাম— pathorekha.com; পথরোখা একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। আমরা এই প্রতিষ্ঠানকে প্রতিদিনের সত্য-সংবাদের পথরেখা হিসেবে প্রমাণ করতে চাই। পথরেখা সারাদেশের পাঠকদের জন্য সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ এবং মতামত প্রকাশ করবে। পথরোখা নিউজ পোর্টাল হিসেবে ২০২৩ সালের জুন মাসে যাত্রা শুরু করলো। অচিরেই পথরেখা অনলাইন মিডিয়া হিসেবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের প্রক্রিয়া শুরু করবে। পথরোখা  দেশ কমিউনিকেশনস-এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান।
 
পথরোখা জাতীয় সংবাদের উপর তো বটেই এর সঙ্গে রাজনীতি, আন্তর্জাতিক, খেলাধুলা, কৃষি, বিনোদন, অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, তথ্য ও প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন বিভাগকেও গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে। মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিকতা এবং চৌকস ফটোগ্রাফিকে বিশেষ বিবেচনায় রাখে।
 
পথরোখা’র সম্পাদক আরিফ সোহেল এই সেক্টরে একজন খুব পরিচিত ব্যক্তিত্ব। সাংবাদিক হিসেবে তার দীর্ঘ ৩০ বছর কর্মজীবনে তিনি দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকা, আজকের কাগজ, রিপোর্ট২৪ ডটকম প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। এ ছাড়া তিনি সরকারী ক্রীড়া পাক্ষিক ‘ক্রীড়া জগত’ ও লাইফস্টাইল ম্যাগাজিক অপ্সরা নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। তিনি জনপ্রিয় অনলাইন দেশকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
 
পথরেখা দেশের মৌলিক মূল্যবোধ, বিশেষ করে জাতীয় সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। এছাড়াও, এটি দেশের নাগরিকের মানবিক ও নাগরিক অধিকারের পক্ষে কথা বলবে। ন্যায়পরায়ণতা, নির্ভুলতা এবং বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রাখতে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ। আমরা বিশ্বাস করি যে জনগণের বিশ্বাসযোগ্যতা আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। পথরেখা রাজনৈতিক ইস্যুতে নির্দলীয় অবস্থান বজায় রাখবে। একটি নিরপক্ষ অনলাইন হিসেবে আমরা নিজেদের কর্মকাণ্ডে প্রমাণ করার শতভাগ প্রছেষ্টা করব। তবে সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করেও কিছু ভুল হতেই পারে। যা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রাখছি সব মহলেই। সততা পথে অবিচল; আলোর পথে অবিরাম যাত্রায় আমাদের পাশে থাকুন; আমরা থাকব আপনাদের পাশে।
 
উল্লেখ্য, পথরেখা হিসেবে একটি প্রকাশনী দীর্ঘদিন থেকে প্রকাশিত হয়ে আসছে। এবার উদ্যোগ নেওয়া হলো অনলাইন অনলাইন নিউজ পোর্টাল হিসেবে প্রকাশ করার।