• শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪
    ৬ আশ্বিন ১৪৩১
    ঢাকা সময়: ০৯:২২

সেঞ্চুরি হাকিয়ে ট্রেবলে চোঁখ পেপ গার্দিওলার

দেশকণ্ঠ প্রতিবেদন : উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের দ্বিতীয় সেমিফাইনালের প্রথম লেগে বিয়াল মাদ্রিদ-ম্যানচেষ্টার সিটির ম্যাচটি ১-১ গোলে ড্র হওয়ায় দ্বিতীয় লেগের ম্যাচটি পরিণত হয় অঘোষিত ফাইনালে। ইত্তেহাদ স্টেডিয়ামে ৪-০ গোলে রিয়ালকে পরাজিত করে অনেক প্রশ্নের উত্তর নতুন করে দিয়েছেন পেপ গার্দিওলা। প্রতিপক্ষ শিবিরে থাকা মাস্টার মাইন্ড কার্লোস আনচেলত্তির রিয়াল পাত্তাই পেলনা ম্যানসিটির কাছে। ফাইনালের ইংলিশ জায়ান্টদের প্রতিপক্ষ এবার ইতালির ক্লাব ইন্টার মিলান। কোচ হিসেবে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে এটি গার্দিওলার ১০০তম জয়। এই টুর্নামেন্টে দ্রুততম ১০০ জয়ের রেকর্ড এখন তার। ১৬০তম ম্যাচে মাইলফলকটির দেখা পেলেন সিটি বস। ইতিহাস বলছে চলতি বছর ইতিহাদে কোনো ম্যাচ হারেনি ম্যানচেস্টার সিটি। এছাড়া সাম্প্রতিক ফর্মটাও কথা বলছিল ক্লাবটির হয়ে। তবে প্রতিপক্ষ দলটার নাম যখন রিয়াল মাদ্রিদ, হতে পারতো যে কোনো কিছুই। তবে দ্বিতীয় লেগে ম্যানচেস্টার সিটির কাছে এদিন পাত্তাই পেল না স্প্যানিশ জায়ান্টরা। অথচ গতবছর সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে সেমিফাইনাল ফিরতি লেগে ৮৯ মিনিট পর্যন্ত ৫-৩ গোল এগিয়ে থেকেও শেষ মুহূর্তে তিন গোল খেয়ে ছিটকে গিয়েছিল সিটি। চোখে মুখে অবিশ্বাস নিয়ে শিষ্যদের সান্ত্বনা দিলেও হার হজম করা সহজ ছিল না।
 
তাই এবার স্বপ্নের মতো জয় তুলে নেওয়ার পর গার্দিওলা স্মরণ করেছেন, সেই কঠিন সময়ের কথা। ইউরোপ সেরার শেষ চারের লড়াই জিতে এবার ‘ট্রেবল’ জয়ের স্বপ্ন দেখছেন সিটি কোচ গার্দিওলা। এবার অগ্রগামিতায় ফাইনালে পৌঁছে সিটি কোচ পেপ গার্দিওলা জানালেন ‘ট্রেবল’ জয়ের স্বপ্নের কথা। একই মৌসুমে ইংলিশ প্রিমিয়ার লীগ, এফএ কাপ ও চ্যাম্পিয়নস লীগজয়ী একমাত্র দল ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। ১৯৯৯ সালে স্যার অ্যালেক্স ফার্গুসনের দল ওই ইতিহাস গড়ার পর গত ২৪ বছরে আর কোনো দল পারেনি। সেই কীর্তি স্পর্শ করার হাতছানি এবার ম্যানচেস্টার সিটির সামনে। চ্যাম্পিয়নস লীগের ফাইনালের টিকিট পাওয়া সিটি রয়েছে প্রিমিয়ার লীগ টেবিলের শীর্ষে। আগামী ১০ই জুন ইউসিএলের ফাইনালে ইন্টার মিলানের মুখোমুখি হওয়ার আগে ৩রা জুন ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের বিপক্ষে এফএ কাপের ফাইনাল খেলবে সিটি।
 
রিয়ালকে হারিয়ে সিটি কোচ পেপ গার্দিওলা বলেন, ‘প্রিমিয়ার লীগে আমরা কাছাকাছি আছি। আমরা জানি যে, আরেকটি ম্যাচ জেতা প্রয়োজন আমাদের, এরপর দুটি ফাইনাল, আমাদের প্রতিবেশী হিসেবে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড একটি এবং ইতালিয়ান ক্লাব ইন্টার মিলান বিপক্ষে একটি। মৌসুমটা আমাদের জন্য এখনও পর্যন্ত খুবই ভালো। এখন শেষটা ভালো করতে হবে। আমরা চেষ্টা করব।’ গার্দিওলা বলেন, ‘আমরা প্রায় ট্রেবল জয়ের কাছাকাছি পৌছে গেছি। এখন আমরা এটা নিয়ে ভাবতে পারছি, আমরা এটা দেখতে পারছি। স্রেফ তিনটি ম্যাচ দূরে আছি আমরা। প্রতিটি প্রতিযোগিতায় একটি করে ম্যাচ জেতা প্রয়োজন।’ গত মৌসুমে চ্যাম্পিয়নস লীগের সেমিফাইনালে রিয়াল মাদ্রিদের কাছে হেরেই শিরোপা স্বপ্ন ভঙ্গ হয়েছিল ম্যানচেস্টার সিটির। সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে সেমিফাইনাল ফিরতি লেগে ৮৯তম মিনিট পর্যন্ত ৫-৩ গোলে (দুই লেগ মিলিয়ে) এগিয়ে থেকেও শেষ মুহূর্তে তিন গোল খেয়ে ছিটকে গিয়েছিল সিটি।
 
এদিকে রিয়ালকে ফুটবল শিখিয়ে ফাইনালে উঠে গেল ম্যানসিটি। প্রথম লেগ ড্র ১-১ গোল ব্যবধানে, দ্বিতীয় লেগ ম্যানচেস্টার সিটির মাঠে। তবুও টুর্নামেন্টটির নাম চ্যাম্পিয়নস লীগ আর দলের নাম রিয়াল মাদ্রিদ বলেই সমানে সমান টক্কর হবে, এমন আশা ছিল সবার। কিন্তু ঘরের মাঠে রিয়ালকে যেন পাড়ার দল বানিয়ে ছাড়লো সিটিজেনরা। বলা ভালো, পুরো ৯০ মিনিট জুড়ে রিয়ালকে যেন ফুটবল খেলাটাই শেখালো পেপ গার্দিওয়ালার শিষ্যরা। আর তাতে তারা পেলো বড় জয়। এই জয়ের সাথে সাথে গত আসরের সেমিতে রিয়ালের বিপক্ষে হারের মধুর প্রতিশোধ নিলো সিটিজেনরা। প্রথমার্ধে বার্নাডো সিলভা জোড়া গোল করার পর দ্বিতীয়ার্ধে একটি আত্মঘাতী ও অন্য গোল করেন সিটির বিশ্বকাপজয়ী আর্জেন্টাইন ফুটবলার জুলিয়ান আলভারেজ। ঘরের মাঠে এদিন শুরু থেকেই রিয়ালকে চেপে ধরে সিটি। স্বাগতিকদের দাপটে শুরুতেই কোণঠাসা হয়ে পড়ে করিম বেনজেমার দল। অবস্থা এমন ছিল যে, প্রথম ১৫ মিনিটে ৭৯ শতাংশ সময় বল ছিল সিটিজেন খেলোয়াড়দের পায়ে। সিটির রক্ষণে প্রথম ৩০ মিনিটে বল একবারের জন্যও যায়নি। এমনকি প্রথম ২৫ মিনিটে মনে হচ্ছিল রিয়ালকে ফুটবল শেখাচ্ছে পেপ গার্দিওয়ালার শিষ্যরা।
 
একের পর এক আক্রমণে ১৩তম মিনিটেই এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ পায় সিটি। কিন্তু মানুয়েল আকাঞ্জির ক্রসে ছয় গজ বক্সের মধ্যে থেকে আর্লিং ব্রট হালান্দের হেড অবিশ্বাস্য দক্ষতায় ফিরিয়ে দেন রিয়াল গোলরক্ষক থিবো কোর্তোয়া। ২১তম মিনিটে ডি ব্রুইনার দুর্দান্ত শট ফিরিয়ে আরও একবার রিয়াল দূর্গ অক্ষত রাখেন গোলরক্ষক। তবে বেশিক্ষণ আর পেরে ওঠেননি, মাত্র দুই মিনিটের ব্যবধানে কোর্তোয়ার প্রাচীর ভেদ করেন বার্নাডো সিলভা। ২৩তম মিনিটে ব্রুইনার নিখুঁত পাসে বাঁ পায়ের গোলার মতো শটে লক্ষ্যভেদ করেন সিটির এই পর্তুগিজ মিডফিল্ডার। ম্যাচে ৩২তম মিনিটে প্রথমবারের মতো আক্রমণে যেতে সক্ষম হয় রিয়াল। তবে ভিনিশিয়াস বল নিয়ে সিটির ডি বক্সে ঢুকে পড়লে কাইল ওয়াকার সেটি কেড়ে নিয়ে বিপদ মুক্ত করেন। পাঁচ মিনিটের ব্যবধানে আবারও গোল হজম করে রিয়াল। এবারও গোলদাতা সেই সিলভা। ইলকাই গিনদোয়ানের শট প্রতিপক্ষের পায়ে লেগে বল চলে যায় সিলভার কাছে, নিখুঁত হেডে জালে পাঠান এই পর্তুগিজ। এই ম্যাচে অনেক কিছুরই জবাব দিয়েছে ম্যানসিটি, সাথে কোচ হিসেবে পেপ গার্দিওলাও।
দেশকণ্ঠ/আসো

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

পথরেখা : আমাদের কথা

আমাদের পোর্টালের নাম— pathorekha.com; পথরোখা একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। আমরা এই প্রতিষ্ঠানকে প্রতিদিনের সত্য-সংবাদের পথরেখা হিসেবে প্রমাণ করতে চাই। পথরেখা সারাদেশের পাঠকদের জন্য সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ এবং মতামত প্রকাশ করবে। পথরোখা নিউজ পোর্টাল হিসেবে ২০২৩ সালের জুন মাসে যাত্রা শুরু করলো। অচিরেই পথরেখা অনলাইন মিডিয়া হিসেবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের প্রক্রিয়া শুরু করবে। পথরোখা  দেশ কমিউনিকেশনস-এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান।
 
পথরোখা জাতীয় সংবাদের উপর তো বটেই এর সঙ্গে রাজনীতি, আন্তর্জাতিক, খেলাধুলা, কৃষি, বিনোদন, অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, তথ্য ও প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন বিভাগকেও গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে। মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিকতা এবং চৌকস ফটোগ্রাফিকে বিশেষ বিবেচনায় রাখে।
 
পথরোখা’র সম্পাদক আরিফ সোহেল এই সেক্টরে একজন খুব পরিচিত ব্যক্তিত্ব। সাংবাদিক হিসেবে তার দীর্ঘ ৩০ বছর কর্মজীবনে তিনি দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকা, আজকের কাগজ, রিপোর্ট২৪ ডটকম প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। এ ছাড়া তিনি সরকারী ক্রীড়া পাক্ষিক ‘ক্রীড়া জগত’ ও লাইফস্টাইল ম্যাগাজিক অপ্সরা নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। তিনি জনপ্রিয় অনলাইন দেশকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
 
পথরেখা দেশের মৌলিক মূল্যবোধ, বিশেষ করে জাতীয় সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। এছাড়াও, এটি দেশের নাগরিকের মানবিক ও নাগরিক অধিকারের পক্ষে কথা বলবে। ন্যায়পরায়ণতা, নির্ভুলতা এবং বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রাখতে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ। আমরা বিশ্বাস করি যে জনগণের বিশ্বাসযোগ্যতা আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। পথরেখা রাজনৈতিক ইস্যুতে নির্দলীয় অবস্থান বজায় রাখবে। একটি নিরপক্ষ অনলাইন হিসেবে আমরা নিজেদের কর্মকাণ্ডে প্রমাণ করার শতভাগ প্রছেষ্টা করব। তবে সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করেও কিছু ভুল হতেই পারে। যা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রাখছি সব মহলেই। সততা পথে অবিচল; আলোর পথে অবিরাম যাত্রায় আমাদের পাশে থাকুন; আমরা থাকব আপনাদের পাশে।
 
উল্লেখ্য, পথরেখা হিসেবে একটি প্রকাশনী দীর্ঘদিন থেকে প্রকাশিত হয়ে আসছে। এবার উদ্যোগ নেওয়া হলো অনলাইন অনলাইন নিউজ পোর্টাল হিসেবে প্রকাশ করার।