• শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪
    ৬ আশ্বিন ১৪৩১
    ঢাকা সময়: ০৯:৪২

সাফ ফুটবলের সেমিফাইনালে খেলা কতটা সম্ভব?

মোয়াজ্জেম হোসেন রাসেল : বাংলাদেশের ফুটবলের কাছে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে যেন সাফল্য সোনার হরিণে পরিণত হয়েছে। বিশেষত সাফ ফুটবলে সর্বশেষ কুড়ি বছরে কোন সাফল্য পায়নি। ২০০৩ সালে প্রথম ও শেষবারের মতো চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল। এরপর থেকে সবকিছু যেন আর কথা বলছেনা। এবার দীর্ঘদিন পর চ্যাম্পিয়নশীপ নয়, সেমিফাইনালে খেলার স্বপ্ন দেখছে বাংলাদেশ দল। কিন্তু সেটা কতটা সম্ভব সেই প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। আগামী মাসে ভারতে শুরু হবে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ। দক্ষিণ এশিয়ার ছয় দলের পাশাপাশি আমন্ত্রিত দেশ হিসেবে অংশ নেবে লেবানন এবং কুয়েত। ফলে এবারের সাফ বেশ চ্যালেঞ্জিংই হবে। তবে সাফে গ্রুপ পর্ব পার করে সেমিফাইনালে খেলার সম্ভাবনা দেখছেন বাফুফে জাতীয় দল কমিটির চেয়ারম্যান ও সহ সভাপতি কাজী নাবিল আহমেদ। সাফে ‘বি’ গ্রুপে খেলবে বাংলাদেশ। শীর্ষ দল হিসেবে গ্রুপে রয়েছে লেবানন। এছাড়াও মালদ্বীপ এবং ভুটানও রয়েছে। সাফে অংশ নেওয়া প্রতিটি দলকেই শক্তিশালী বলে মনে করেন নাবিল, ‘এবার বড় লক্ষ্য আমাদের। যেহেতু আমরা সাফে খেলছি আমি মনে করি প্রতিটি দলই শক্তিশালী। এবারের সাফে আমন্ত্রিত দল রয়েছে। বাইরে থেকে দুটি দেশ অংশ নিচ্ছে। আমরা সকলেই জানি তারা শক্ত প্রতিপক্ষ।’
 
আসরে বাংলাদেশর প্রথম ম্যাচ লেবাননের বিপক্ষে। এরপর খেলবে মালদ্বীপ এবং ভূটানের বিপক্ষে। প্রথমেই শক্ত প্রতিপক্ষের বিপক্ষে খেলার ফলে বাংলাদেশের কাজটা সহজ হবে বলে মনে করেন নাবিল। তিনি বলেন, ‘আমাদের প্রথম ম্যাচ লেবাননের বিপক্ষে এরপর মালদ্বীপ, ভুটানের সঙ্গে। শুরুটা কঠিন প্রতিপক্ষ দিয়ে এরপর আমরা পরের ম্যাচগুলোতে অপেক্ষাকৃত সহজ দলের সঙ্গে খেলবো। এটা আমাদের জন্য ভালো দিক। আমার মতে, আমাদের সুযোগে আছে। পরের রাউন্ডে যাওয়ার বিষয়ে আমি আশাবাদী। দুটো ম্যাচ ভালোমতো আমরা খেলতে পারলে আমাদের সুযোগ থাকবে।’ সাফে বাংলাদেশ দলের কোচিং স্টাফে তিন স্প্যানিশ যোগ দিচ্ছেন। সহকারী কোচ হিসেবে থাকবেন দাভিদ গোমেস, গোলকিপার কোচ হিসেবে থাকবেন মিগেল আনহেল আনিদো এবং ফিজিও হিসেবে থাকছেন দাভিদ দোবারা মাগান। এবারের সাফে দলের ম্যনেজার হিসেবে থাকছেন আমের খান এবং টিম লিডার হিসেবে শওকত আলী খান জাহাঙ্গীর। এছাড়া বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনায় বাংলাদেশ দল অনুশীলন করবে এবং তাদের আবাসন ব্যবস্থা করা হয়েছে ঢাকা রিজেন্সি হোটেল অ্যান্ড রিসোর্টে।
 
সাফের আগে কম্বোডিয়ায় প্রস্তুতি ম্যাচ খেলতে যাওয়ার কথা রয়েছে বাংলাদেশের। ১২ জুন সেখানে যাওয়ার কথা থাকলেও দুই দিন আগেই কম্বোডিয়ায় যাওয়ার পরিকল্পনা করছে বাফুফে। এছাড়া এশিয়ান গেমসে পুরুষ ফুটবল দল পাঠাতে রাজি হওয়ায় বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনকে ধন্যবাদ দিয়েছেন জাতীয় দল কমিটির চেয়ারম্যান। তিনি বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। আমরা বিওএ’র  সিদ্ধান্ত জানতে পেরেছি। আগামী সেপ্টেম্বরে চীনের হ্যাংজুতে অনুষ্ঠিতব্য এশিয়ান গেমসে নারী এবং পুরুষ ফুটবল দল পাঠানো হবে। দুই দলকেই পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়ায় আমরা বিওএ, সভাপতি এবং সকল কর্মকর্তাদের ধন্যবাদ জানাই। আমাদের প্রস্তুতিও চলমান ছিল।’ নাবিলের চোখে সেমিফাইনালে খেলা তাই অনেকের কাছেই ‘বিলাসী’ স্বপ। কাজী নাবিল জাতীয় দল কমিটির দায়িত্বে আছেন ২০১২ সাল থেকে। ১১ বছরে তার নেতৃত্বাধীন কমিটির অধীনে বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দলের পারফরম্যান্স নামতে নামতে তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে। তার জমানায় জাতীয় দল চারটি সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ খেলেছে।
 
এর মধ্য আবার তিনটি আসরের গ্রুপপর্ব থেকে বিদায় নিতে হয়। সর্বশেষ ২০২১ সালে ভিন্ন ফরম্যাটে দল খেলতে পারেনি ফাইনাল। অথচ সেই নাবিলই কিনা আসছে সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে দেখছেন সেমিফাইনালের বিলাসী স্বপ্ন। গতকাল জাতীয় দল কমিটির সভা শেষে তিনি এই আশার কথা শুনিয়েছেন। সাফে এবার দক্ষিণ এশিয়ার বাইরের দুটি দল আমন্ত্রিত হিসেবে খেলবে। বি গ্রুপে বাংলাদেশকে তাই দিতে হবে অগ্নিপরীক্ষা। র‌্যাংকিংয়ের ১৯২তম স্থানে থেকে ৯৯তম লেবাননকে হারানোর স্বপ্ন বিলাসিতাই। আর সাম্প্রতিক বছরে মালদ্বীপের কাছে নিয়মিতই হারের তেতো স্বাদ পেতে হয়েছে বাংলাদেশকে। পুঁচকে ভুটানও র‌্যাংকিংয়ে এখন বাংলাদেশের চেয়ে ঢের এগিয়ে। তো এই তিন প্রতিপক্ষকে পেছনে ফেলে গ্রুপপর্ব উতরে যাওয়াটা কেবল কঠিনই নয়, এক প্রকার অবাস্তব কল্পনা। তারপরও নাবিল মনে করেন, বাংলাদেশের পক্ষে সম্ভব সেমিফাইনালে পৌঁছানো। সর্বশেষ সভায় জাতীয় দলের সহকারী কোচ হিসেবে ডেভিড গঞ্জালেস, গোলকিপিং কোচ মিগুয়েল ইগলেসিয়াস ও ফিজিও ডেভিড ডোবারা ম্যাগানের চুক্তি বাড়ানো হয়েছে। এদিকে গোপন ব্যালটে ছেলেদের ফুটবল খেলার বিষয়ে চুড়ান্ত করা হয়েছে। প্রথমবারের মতো ২১-৬ ভোটে জিতে গেল ফুটবল! আপাত দৃষ্টিতে ব্যাপারটা অন্তত এমনই। এশিয়ান গেমসে ছেলেদের ফুটবল দল পাঠানো হবে কিনা? জানতে চেয়ে বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশন (বিওএ) কমিটির সব সদস্যের কাছে গোপন ব্যালট পাঠিয়েছিল। সেখানেই চীনের হাংজু এশিয়ান গেমসে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-২৩ দল পাঠানোর পক্ষে ভোট পড়েছে ২১টি। এবার তাই সেমিফাইনালে খেলার লক্ষ্য কতটা পূরণ করতে পারবে সেটাই দেখার বিষয়।

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

পথরেখা : আমাদের কথা

আমাদের পোর্টালের নাম— pathorekha.com; পথরোখা একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। আমরা এই প্রতিষ্ঠানকে প্রতিদিনের সত্য-সংবাদের পথরেখা হিসেবে প্রমাণ করতে চাই। পথরেখা সারাদেশের পাঠকদের জন্য সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ এবং মতামত প্রকাশ করবে। পথরোখা নিউজ পোর্টাল হিসেবে ২০২৩ সালের জুন মাসে যাত্রা শুরু করলো। অচিরেই পথরেখা অনলাইন মিডিয়া হিসেবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের প্রক্রিয়া শুরু করবে। পথরোখা  দেশ কমিউনিকেশনস-এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান।
 
পথরোখা জাতীয় সংবাদের উপর তো বটেই এর সঙ্গে রাজনীতি, আন্তর্জাতিক, খেলাধুলা, কৃষি, বিনোদন, অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, তথ্য ও প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন বিভাগকেও গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে। মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিকতা এবং চৌকস ফটোগ্রাফিকে বিশেষ বিবেচনায় রাখে।
 
পথরোখা’র সম্পাদক আরিফ সোহেল এই সেক্টরে একজন খুব পরিচিত ব্যক্তিত্ব। সাংবাদিক হিসেবে তার দীর্ঘ ৩০ বছর কর্মজীবনে তিনি দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকা, আজকের কাগজ, রিপোর্ট২৪ ডটকম প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। এ ছাড়া তিনি সরকারী ক্রীড়া পাক্ষিক ‘ক্রীড়া জগত’ ও লাইফস্টাইল ম্যাগাজিক অপ্সরা নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। তিনি জনপ্রিয় অনলাইন দেশকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
 
পথরেখা দেশের মৌলিক মূল্যবোধ, বিশেষ করে জাতীয় সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। এছাড়াও, এটি দেশের নাগরিকের মানবিক ও নাগরিক অধিকারের পক্ষে কথা বলবে। ন্যায়পরায়ণতা, নির্ভুলতা এবং বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রাখতে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ। আমরা বিশ্বাস করি যে জনগণের বিশ্বাসযোগ্যতা আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। পথরেখা রাজনৈতিক ইস্যুতে নির্দলীয় অবস্থান বজায় রাখবে। একটি নিরপক্ষ অনলাইন হিসেবে আমরা নিজেদের কর্মকাণ্ডে প্রমাণ করার শতভাগ প্রছেষ্টা করব। তবে সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করেও কিছু ভুল হতেই পারে। যা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রাখছি সব মহলেই। সততা পথে অবিচল; আলোর পথে অবিরাম যাত্রায় আমাদের পাশে থাকুন; আমরা থাকব আপনাদের পাশে।
 
উল্লেখ্য, পথরেখা হিসেবে একটি প্রকাশনী দীর্ঘদিন থেকে প্রকাশিত হয়ে আসছে। এবার উদ্যোগ নেওয়া হলো অনলাইন অনলাইন নিউজ পোর্টাল হিসেবে প্রকাশ করার।