• রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪
    ৬ আশ্বিন ১৪৩১
    ঢাকা সময়: ১১:৪১

মালদ্বীপের বিপক্ষে বাংলাদেশের ’ফাইনাল’ ম্যাচ

মোয়াজ্জেম হোসেন রাসেল : সাফ চ্যাম্পিয়নশীপের প্রথম ম্যাচে লেবাননের কাছে ২-০ গোলের হার দিয়ে আসর শুরু করে বাংলাদেশ। আগে থেকে সেমিফাইনালে খেলার টার্গেট নেওয়া বাংলাদেশ দল দ্বিতীয় ম্যাচে রবিবার মুখোমুখি হবে মালদ্বীপের। শেষ চারে খেলতে হলে দ্বীপ দেশটির বিপক্ষে জয়ের কোন বিকল্প নেই। সে হিসেবে এই ম্যাচটি জামাল ভুইয়ার দলের কাছে এককথায় ফাইনাল ম্যাচ। এক ম্যাচ থেকে এখনো পয়েন্টের দেখা পায়নি বাংলাদেশ দল। সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের খতিয়ান এমনই। বেঙ্গালুরুতে সেই ম্যাচ সামনে রেখেই চলছে বাংলাদেশের অনুশীলন। কোচ হাভিয়ের কাবরেরা বলেছেন, লেবানন ম্যাচ থেকে শিক্ষা নিয়ে এগিয়ে যেতে হবে ফুটবলারদের। কাবরেরার দাবি, লেবাননের কাছে হেরে বাংলাদেশের ফুটবলারদের কেউ হতাশ নয় বরং সবাই উজ্জীবিত। তার মতে, লেবাননের কাছে হারই মালদ্বীপের বিপক্ষে জয়ের সুযোগ এনে দিতে পারে। কাবরেরা বলেন, ‘আমাদের মানসিকতা এমন হওয়া উচিত যে আমরা মালদ্বীপের সঙ্গে জিতব। এটা ভাবলে হবে না যে এক পয়েন্ট হলেই বোধহয় যথেষ্ট। আমাদের জিততে হবে। লেবাননের সঙ্গে সবকিছু আমাদের পরিকল্পনামতোই এগিয়েছে। আমরা জানতাম, লেবানন হাইলাইন ডিফেন্স করবে আর আমরা প্রতি আক্রমণে যাব’।
 
কাবরেরা আরও বলেন, ’মাঠের অনুশীলনে এ দুটি বিষয় আমরা ভালোভাবে সামলেছি। এবং আমরা ১: ১ অবস্থায় মিস করেছি। হ্যাঁ, আমাদের উন্নতি করতে হবে এটা ঠিক। গতকালের ম্যাচকে আপনি নেতিবাচক-ইতিবাচক দুভাবেই নিতে পারেন। আমি ইতিবাচকভাবেই নিচ্ছি।’ সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে প্রথম ম্যাচে শক্তিশালী লেবাননের কাছে হেরে কিছুটা ব্যাকফুটে বাংলাদেশ। সেমিফাইনালে খেলার স্বপ্ন বাঁচিয়ে রাখতে মালদ্বীপের বিপক্ষে জয়ের বিকল্প নেই জামাল ভুইয়াদের। অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়ার কাছে এই ম্যাচ এক রকম ’ফাইনাল’। লেবাননের বিপক্ষে ম্যাচ হারায় ডিফেন্ডার তারিক কাজী ও ইসা ফয়সালের ভুলকে দায়ী করছেন ফুটবলসংশ্লিষ্টরা। তবে ম্যাচের আগে অনুশীলনে দুজনেই বেশ ফুরফুরে মেজাজে ছিলেন। অনুশীলন শেষেও বারবার একই ভুলের কারণ জানতে চান সাংবাদিকরা। কিন্তু লেবানন ম্যাচ ভুলে এখন মালদ্বীপের বিপক্ষে বাঁচা-মরার ম্যাচেই সব মনোযোগ জামাল ভুইয়ার ও বাংলাদেশ দলের।
 
জয়ের কোন বিকল্প না দেখা দলের পরিকল্পনা সম্পর্কে অধিনায়খ জানিয়েছেন, ’মালদ্বীপের বিপক্ষে জয়ের লক্ষ্য নিয়েই মাঠে নামব আমরা। লেবানন ম্যাচে আমরা ভালো করেছি; কিন্তু যেটা হয় সেই ইতিহাস আবারও ফিরে এসেছে। এখন যে অবস্থা আছে, তা ভুলে যেতে হবে। ফোকাস হলো মালদ্বীপ ম্যাচ। টুর্নামেন্টের আগে সবাই বলেছি এটা ফাইনাল ম্যাচ। এখন আমরা মালদ্বীপ ম্যাচে মনোযোগ রাখছি’। সতীর্থরা ভুল করলেও অভিযোগের আঙুল না তুলে উল্টো পাশে এসে দাড়িয়েছেন। এই দুঃসময়ে দলকে ঐক্যের সুঁতোয় বেঁধে রাখছেন অধিনায়ক। তিনি বলেন, ’ভাল খেলে লেবানন ম্যাচে আমরা বেশকিছু সুযোগ তৈরি করেছিলাম। শুধু যে ফরোয়ার্ডরা গোল করবে এমন না, সবাই গোল করতে পারে। এখানে স্ট্রাইকারের দোষ দিলে লাভ নেই। আমরা একসাথে হারব, এক সাথে জিতব’। জামালের সঙ্গে একমত দলের অন্যতম সিনিয়র ফুটবলার সোহেল রানা, ’এবারের আসরটি অনেক কারণেই আমাদের জন্য বেশ গুরুত্বপূর্ণ। টুর্নামেন্টে টিকে থাকতে হলে মালদ্বীপের বিপক্ষে আমাদের পয়েন্ট পেতেই হবে। আমরা কাউকে দোষারোপ বা দায়ী করছি না। সবাই আগের ম্যাচ ভুলে এখন সামনের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছি। জয় ছাড়া অন্যকিছু ভাবছিনা আমরা’।
 
প্রথম ম্যাচে  র‌্যাংকিং এ একশরও বেশ উপরে থাকা লেবাননের বিপক্ষে চোখে চোখ রেখে লড়েছে বাংলাদেশ। যদিও শেষ দিকে এসে খেই হারাতে হয়েছে। নিজেদের ভুলে দুই গোল হজম করে পয়েন্ট হারাতে হয়েছে। এখন সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে টিকে থাকতে হলে মালদ্বীপ ও ভুটান ম্যাচ থেকে পয়েন্ট নিতে হবে। স্প্যানিশ কোচ কাবরেরাও দলকে পূর্ণাঙ্গ সহযোগিতা করে চলেছেন। লেবানন ম্যাচে নিজেদের ভুলে গোল হজম করতে হয়েছে। এছাড়া সুযোগ পেয়েও এর আগে গোল করতে পারেনি বাংলাদেশ। এই ম্যাচে ফয়সাল আহমেদ ফাহিম গোলকিপারকে একা পেয়ে লক্ষ্যভেদ করতে পারেনি। সেই সুযোগ থেকে গোল হলে হয়তো বাংলাদেশ-লেবানন ম্যাচের চিত্রটা অন্যরকম হতে পারতো। এছাড়া সুমন রেজা সাধ্যমতো চেষ্টা করলেও গোলের দেখা পাননি। মালদ্বীপ ম্যাচটা বাংলাদেশের জন্য বাঁচামরার হতে যাচ্ছে। টিকে থাকতে হলে মালদ্বীপকে হারাতে হবে। বড় দলের বিপক্ষে একবার ভূল করেও জিততে পারে না বাংলাদেশ। লড়াই করার মানসিকতাই তাদের থাকে না। তবে মাঝেমধ্যে প্রতিপক্ষের বিপক্ষে চোখ রাঙানো পারফরম করতে দেখা যায় জামাল ভূঁইয়াদের। সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে লেবাননের বিপক্ষেও এমনই একটি লড়াই দেখিয়েছেন তারা। তবে শেষদিকে স্নায়ূচাপ আর ধরে রাখতে পারেননি। দিকে নিজেদের ভুলে দুই গোল হজম করে পয়েন্ট হারাতে হয়েছে। প্রথম ম্যাচে গত বৃহস্পতিবার লেবাননের বিপক্ষে ৭৮ মিনিট পর্যন্ত প্রতিপক্ষকে সামলে চলছেন বাংলাদেশের ফুটবলাররা। ততক্ষণ পর্যন্ত খেলার ফলাফল ছিল গোলশূন্য ড্র। তবে ৭৯ মিনিটে গোল পেয়ে যায় মধ্যপ্রাচ্যের দেশটি। জয়ের লক্ষ্যে থাকা বাংলাদেশ দল মালদ্বীপের বিপক্ষে কি পারফরম্যান্স করে সেটাই দেখার বিষয়।
দেশকণ্ঠ/আসো
 

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

পথরেখা : আমাদের কথা

আমাদের পোর্টালের নাম— pathorekha.com; পথরোখা একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। আমরা এই প্রতিষ্ঠানকে প্রতিদিনের সত্য-সংবাদের পথরেখা হিসেবে প্রমাণ করতে চাই। পথরেখা সারাদেশের পাঠকদের জন্য সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ এবং মতামত প্রকাশ করবে। পথরোখা নিউজ পোর্টাল হিসেবে ২০২৩ সালের জুন মাসে যাত্রা শুরু করলো। অচিরেই পথরেখা অনলাইন মিডিয়া হিসেবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের প্রক্রিয়া শুরু করবে। পথরোখা  দেশ কমিউনিকেশনস-এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান।
 
পথরোখা জাতীয় সংবাদের উপর তো বটেই এর সঙ্গে রাজনীতি, আন্তর্জাতিক, খেলাধুলা, কৃষি, বিনোদন, অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, তথ্য ও প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন বিভাগকেও গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে। মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিকতা এবং চৌকস ফটোগ্রাফিকে বিশেষ বিবেচনায় রাখে।
 
পথরোখা’র সম্পাদক আরিফ সোহেল এই সেক্টরে একজন খুব পরিচিত ব্যক্তিত্ব। সাংবাদিক হিসেবে তার দীর্ঘ ৩০ বছর কর্মজীবনে তিনি দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকা, আজকের কাগজ, রিপোর্ট২৪ ডটকম প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। এ ছাড়া তিনি সরকারী ক্রীড়া পাক্ষিক ‘ক্রীড়া জগত’ ও লাইফস্টাইল ম্যাগাজিক অপ্সরা নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। তিনি জনপ্রিয় অনলাইন দেশকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
 
পথরেখা দেশের মৌলিক মূল্যবোধ, বিশেষ করে জাতীয় সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। এছাড়াও, এটি দেশের নাগরিকের মানবিক ও নাগরিক অধিকারের পক্ষে কথা বলবে। ন্যায়পরায়ণতা, নির্ভুলতা এবং বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রাখতে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ। আমরা বিশ্বাস করি যে জনগণের বিশ্বাসযোগ্যতা আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। পথরেখা রাজনৈতিক ইস্যুতে নির্দলীয় অবস্থান বজায় রাখবে। একটি নিরপক্ষ অনলাইন হিসেবে আমরা নিজেদের কর্মকাণ্ডে প্রমাণ করার শতভাগ প্রছেষ্টা করব। তবে সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করেও কিছু ভুল হতেই পারে। যা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রাখছি সব মহলেই। সততা পথে অবিচল; আলোর পথে অবিরাম যাত্রায় আমাদের পাশে থাকুন; আমরা থাকব আপনাদের পাশে।
 
উল্লেখ্য, পথরেখা হিসেবে একটি প্রকাশনী দীর্ঘদিন থেকে প্রকাশিত হয়ে আসছে। এবার উদ্যোগ নেওয়া হলো অনলাইন অনলাইন নিউজ পোর্টাল হিসেবে প্রকাশ করার।