মেজর চাকলাদার (অব.) : ৩১ আগস্ট শুরু হবে এশিয়া কাপ ক্রিকেট। ভারত, পাকিস্তান, আফগানিস্তান, নেপাল আর আমাদের বাংলাদেশ এই ছয় দল খেলবে। এবারে ১৬তম আসর। ৫০ ওভারের এই টুর্নামেন্ট পাকিস্তান আর শ্রীলংকাতে অনুষ্ঠিত হবে। ১৩ ম্যাচের মধ্যে পাকিস্তানে হবে চারটি আর ০৯টি হবে শ্রীলংকাতে। এই ১৬তম আসর হবার কথা ছিল ২০২১ সালে তবে করোনা মহামারি রূপ নেয়াতে পিছিয়ে ২০২৩ সালে শুরু হচ্ছে। ১৭ সেপ্টেম্বর ফাইনাল হবে। বর্তমান চ্যাম্পিয়ন হলো শ্রীলংকা।
নেপাল এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিল ‘মেন্স প্রিমিয়ার কাপে ইউএইকে হারিয়ে এশিয়া কাপ টুর্নামেন্ট অংশ নেবার সুযোগ পায়। শ্রীলংকা, আফগানিস্তান, বাংলাদেশ এক গ্রুপে আর ভারত,পাকিস্তান আর নেপাল অন্য গ্রুপে। প্রতিগ্রুপ থেকে দুটো দল পরবর্তী রাউন্ডে যাবে। ভারত আর পাকিস্তান খুব সহজেই নেপালকে হারাবে তবে বাংলাদেশের গ্রুপে শ্রীলংকা যারা বর্তমান চ্যাম্পিয়ন আর আফগানিস্তান যাদের এই মূহুর্তে বিশ্বের বিস্ময়কর স্পিন শক্তি নিয়ে সব ক্রিকেট দলের মাথা ব্যথা তাদের নিয়ে ভাবতেই হবে। সাকিব সব সময়ই নির্ভরতার প্রতীক, আছে দ্রুত বোলার তাসকিন, ইবাদত, শরীফুল। মোস্তাফিজ সব সময়ই বিপক্ষের দুশ্চিন্তা। আমাদের প্রত্যেকেই বড় ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতা আছে ১৯০৭, ১১, ১৫ ১৯ এই চার বিশ্বকাপে সাকিব, মুশফিক, আর তানিম খেলেছে। আইপিএল খেলার অভিজ্ঞতা আছে সাকিব, মেস্তাফিজ আর লিটনের। সাকিবের দল কোলকাতা নাইট রাইডার্স হয়ে দুইবার আইপি এল বিজয়ী আর মোস্তাফিজ সান রাইজ হায়দরাবাদের হয়ে একবার আইপিএল জয়ী, ভারতের মাটিতে তাই খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে।অনুর্দ্ধ-১৯ বিশ্ব বিজয়ী আমরা। সুতরাং সূচাগ্র মেদেনী আমরা লড়াই বাদে হাত ছাড়া করবোনা।
হার জিত মাঠে হয় না সেটা ঠি ক হয় নিজের মানসিক প্রস্তুতিতে। আর এই মানসিক প্রস্তুতি হলো অভিজ্ঞতা নির্ভর। ক্রিকেট বিনোদনের খেলা এখানে হার জিত থাকবেই, এটা বেহেস্ত নয় যেখানে কবি বলেন- ‘স্বর্গের প্রেমে নাই বিরহ অনলসুন্দর আখি আছে, নেই আখি জল’ প্রেমে যদি মান অভিমান কান্না না থাকে তবে সেটা ক্যামন প্রেম? খেলাও তাই হার জিত থাকবেই তবে শেষে আমাদের জয় থাকতেই হবে, আমরা দলের কাছে জয় চাই, তাদের সে ক্ষমতা আছে। ‘আমরা একটি ফুলকে বাঁচাব বলে যুগ্ধ করি।’ একটি ফুল মানে একটাই ডিমান্ড- জয়। এই মাত্র পাওয়া খবর হলো ভারতের মাটিতে এক দিনের বিশ্বকাপের মাত্র তিন মাস আগে দলের অধিনায়ক তানিম ইকবাল অবসর ঘোষণা করলেন। ১৬ বছরের ক্রিকেট জীবনে ২৪১টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলে ১৪টি শতরান করে ছিলেন। এই অবসর ঘোষণা দলের পারফরম্যান্সে প্রভাব ফেলবেই। কোন দুঃখে এই সিদ্ধান্ত নিলেন তা তিনি খোলসা করেন নাই। কে তার যায়গায় অধিনায়ক হবেন তা নিয়ে নির্বাচকরা আলাপ আলোচনা করছেন। এক জন মরনের আগে বলছিল আমার মরার পর আমার লাশটা তিন রাস্তার মুখে গাছে ঝুলিয়ে দিও। পাড়া পরশী তাই করলো, এর পর শুরু হলো পুলিশি ঝামেলা, কেন এমন ভাবে ঝুলানো হলো, হাজারো প্রশ্ন। তানিম ও সরে গিয়ে নির্বাচকদের ত্রাহি অবস্থায় ফেলে গেল। উপমহাদেশের মাটিতে খেলার যে তেল তেলেভাব ছিল তা শুকনা কড় কড়ে হয়ে গেল। খেলতেত হবেই।
লেখক : সাবেক অধিনায়ক জাতীয় ও সেনাবাহিনী হকি দল এবং জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কার বিজয়ী।