• রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪
    ৭ আশ্বিন ১৪৩১
    ঢাকা সময়: ০৩:১৭

ফিলিপাইনে যাত্রীবাহী নৌকাডুবি নিহত অন্তত ২৫

পথরেখা অনলাইন : দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ ফিলিপাইনে নৌকাডুবির ঘটনায় কমপক্ষে ২৫ জন প্রাণ হারিয়েছেন। এছাড়া এই ঘটনায় নিখোঁজ রয়েছেন আরও বেশ কয়েকজন। ঝোড়ো বাতাসের মধ্যে বৃহস্পতিবার (২৭ জুলাই) ফিলিপাইনের রাজধানী ম্যানিলার কাছে যাত্রীবাহী ওই নৌকাটি ডুবে যায়। শুক্রবার (২৮ জুলাই) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বৃহস্পতিবার প্রবল বাতাসের মধ্যে রাজধানী ম্যানিলার কাছে একটি নৌকা ডুবে গেছে এবং কমপক্ষে ২৫ জন প্রাণ হারিয়েছেন। কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, নৌকাডুবিতে নিখোঁজ যাত্রীদের উদ্ধারে কার্যত সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে কাজ করছে ফিলিপাইন কোস্ট গার্ড (পিসিজি)।
 
রয়টার্স বলছে, ডুবে যাওয়া নৌকায় ঠিক কতজন আরোহী ছিলেন তা তাৎক্ষণিকভাবে স্পষ্ট নয়, তবে দুর্যোগ কর্মকর্তা নিল ফেরার ডিজেডআরএইচ রেডিওকে বলেছেন, নৌকাডুবির পর ৪০ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে এবং এখনও ছয়জন নিখোঁজ ব্যক্তির সন্ধান চলছে। ফিলিপাইন কোস্ট গার্ডের (পিসিজি) শেয়ার করা একটি ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, নিখোঁজদের অনুসন্ধান ও উদ্ধার অভিযান চালানোর সময় উপকূলরক্ষী বাহিনীর সদস্যরা নারীর মতো দেখতে এক যাত্রীর মৃতদেহ টেনে আনছেন। পিসিজি বলছে, দুর্ঘটনার সময় নৌকাটি ভূখণ্ড থেকে ৪৫ মিটার (১৪৭ ফুট) দূরে ছিল এবং প্রবল বাতাস আঘাত হানার ফলে সমস্ত যাত্রী আতঙ্কিত হয়ে নৌকার একপাশে চলে যায়। এর ফলে ভারসাম্য হারিয়ে নৌকাটি একপর্যায়ে বিনঙ্গোনানের কাছে পানিতে ডুবে যায়।
 
বিনঙ্গোনান হচ্ছে ফিলিপাইনের একটি উপকূলীয় শহর এবং রাজধানী ম্যানিলা থেকে এটি মাত্র দুই ঘণ্টার দূরত্বে অবস্থিত। ৭৬০০ টিরও বেশি দ্বীপপুঞ্জ নিয়ে গঠিত ফিলিপাইনে চলতি সপ্তাহে টাইফুন ডোকসুরি আঘাত হানে। এতে দেশটিতে নিহত হন ৬ জন। ফিলিপাইনের সর্বাধিক জনবহুল দ্বীপ লুজন দ্বীপে এই টাইফুন আঘাত হানার সময় বাতাসের সর্বোচ্চ গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ১৭৫ কিলোমিটার (১০৮ মাইল)। ফিলিপাইনে ব্যাপক তাণ্ডব চালিয়ে টাইফুন ডোকসুরি তাইওয়ানের দিকে চলে যাওয়ার পর বৃহস্পতিবার দেশটিতে কিছু ফেরি ও নৌযান চলাচলের অনুমতি দেওয়া হয়। আর এরপরই নৌকাডুবিতে প্রাণহানির এই ঘটনা ঘটল। অবশ্য সামুদ্রিক নিরাপত্তায় দক্ষিণ-পূর্ব এশীয় এই দেশটির খারাপ রেকর্ড রয়েছে। দেশটির নৌযানগুলোতে প্রায়ই ধারণক্ষমতার তুলনায় অতিরিক্ত যাত্রী বহন করা হয় এবং অনেক পুরোনো নৌযান এখনও ব্যবহার করা হয়।
পথরেখা/অআ

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

পথরেখা : আমাদের কথা

আমাদের পোর্টালের নাম— pathorekha.com; পথরোখা একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। আমরা এই প্রতিষ্ঠানকে প্রতিদিনের সত্য-সংবাদের পথরেখা হিসেবে প্রমাণ করতে চাই। পথরেখা সারাদেশের পাঠকদের জন্য সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ এবং মতামত প্রকাশ করবে। পথরোখা নিউজ পোর্টাল হিসেবে ২০২৩ সালের জুন মাসে যাত্রা শুরু করলো। অচিরেই পথরেখা অনলাইন মিডিয়া হিসেবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের প্রক্রিয়া শুরু করবে। পথরোখা  দেশ কমিউনিকেশনস-এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান।
 
পথরোখা জাতীয় সংবাদের উপর তো বটেই এর সঙ্গে রাজনীতি, আন্তর্জাতিক, খেলাধুলা, কৃষি, বিনোদন, অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, তথ্য ও প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন বিভাগকেও গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে। মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিকতা এবং চৌকস ফটোগ্রাফিকে বিশেষ বিবেচনায় রাখে।
 
পথরোখা’র সম্পাদক আরিফ সোহেল এই সেক্টরে একজন খুব পরিচিত ব্যক্তিত্ব। সাংবাদিক হিসেবে তার দীর্ঘ ৩০ বছর কর্মজীবনে তিনি দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকা, আজকের কাগজ, রিপোর্ট২৪ ডটকম প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। এ ছাড়া তিনি সরকারী ক্রীড়া পাক্ষিক ‘ক্রীড়া জগত’ ও লাইফস্টাইল ম্যাগাজিক অপ্সরা নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। তিনি জনপ্রিয় অনলাইন দেশকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
 
পথরেখা দেশের মৌলিক মূল্যবোধ, বিশেষ করে জাতীয় সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। এছাড়াও, এটি দেশের নাগরিকের মানবিক ও নাগরিক অধিকারের পক্ষে কথা বলবে। ন্যায়পরায়ণতা, নির্ভুলতা এবং বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রাখতে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ। আমরা বিশ্বাস করি যে জনগণের বিশ্বাসযোগ্যতা আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। পথরেখা রাজনৈতিক ইস্যুতে নির্দলীয় অবস্থান বজায় রাখবে। একটি নিরপক্ষ অনলাইন হিসেবে আমরা নিজেদের কর্মকাণ্ডে প্রমাণ করার শতভাগ প্রছেষ্টা করব। তবে সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করেও কিছু ভুল হতেই পারে। যা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রাখছি সব মহলেই। সততা পথে অবিচল; আলোর পথে অবিরাম যাত্রায় আমাদের পাশে থাকুন; আমরা থাকব আপনাদের পাশে।
 
উল্লেখ্য, পথরেখা হিসেবে একটি প্রকাশনী দীর্ঘদিন থেকে প্রকাশিত হয়ে আসছে। এবার উদ্যোগ নেওয়া হলো অনলাইন অনলাইন নিউজ পোর্টাল হিসেবে প্রকাশ করার।