পথরেখা অনলাইন : নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার একটি শোরুমে ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। ২৯ জুলাই সকালে উত্তর কাশীপুর এলাকায় ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার (ইজিবাইক) শোরুমে বিস্ফোরণে অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন। সকাল সোয়া ৯টার দিকে সদর উপজেলার কাশীপুর ইউনিয়নের ভোলাইল এলাকায় ঢাকা-মুন্সিগঞ্জ সড়কের পাশে এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজন বলেন, সকালে ভোলাইল এলাকার ‘মুসকান মোটরস’ নামের একটি অটোরিকশার শোরুমে বিকট শব্দে বিস্ফোরণ হয়। বিস্ফোরণে শোরুমের দুই পাশের দেয়াল ধসে পড়ে। ভেতরে বেশ কিছু অটোরিকশা, ব্যাটারি ও প্লাস্টিকের গ্যালনভর্তি কেমিক্যাল দেখা যায়। বিস্ফোরণে পাশের একটি একতলা সেমিপাকা ভবন ও আরেকটি দোতলা পাকা ভবনের দেয়াল ধসে যায়। এ ছাড়া বিস্ফোরণের বিকট শব্দে আশপাশের কয়েকটি ভবনের জানালার কাচও ভেঙে যায়। এ ঘটনায় অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন। তাঁদের নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আহত ব্যক্তিরা হলেন ওই শোরুমের পাশের ক্ষতিগ্রস্ত ভবনের মালিক সিরাজুল হক (৭০), তাঁর স্ত্রী রোকসানা বেগম (৫০), তাঁদের তিন ছেলে সুমন হক (৪০), মাসুদ হক (৩৩) ও রাসেল হক (৩৫), মাসুদের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী সুমাইয়া আক্তার, রাসেলের স্ত্রী দোলা আক্তার, সুমনের স্ত্রী বীথি আক্তার, ছেলে আবু সুফিয়ান (১২), মেয়ে আরফা মনি, মাসুদের ছেলে আবু বকর সিদ্দিক (৩), রাসেলের ছেলে আরফান (৪) ও নির্মাণশ্রমিক পল্টু (৪০)। বাকি দুজনের নাম জানা যায়নি।
ফায়ার সার্ভিসের নারায়ণগঞ্জ কার্যালয়ের উপসহকারী পরিচালক ফখরুদ্দিন আহমেদ বলেন, একটি চারতলা ভবনের নিচতলায় ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা অ্যাসেম্বল করা হয় এবং বিক্রি করা হয়। প্রতিষ্ঠানটির ভেতরে অসংখ্য ব্যাটারি আছে। ওই ব্যাটারি থেকেই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। পাশের ভবনের মালিক সিরাজুল হক বলেন, হঠাৎ বিকট শব্দে বিস্ফোরণ হয়। বিস্ফোরণে তাঁর ভবনের দেয়াল ধসে পড়েছে। দেয়াল চাপা পড়ে তাঁর পরিবারের লোকজন আহত হন। তিনি অভিযোগ করেন, অটোরিকশার শোরুমের ভেতর অবৈধ কেমিক্যাল রাখা হতো। ওই কেমিক্যাল থেকেই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে।
ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূরে আযম বলেন, ব্যাটারি কারখানায় বিস্ফোরণে আহত ব্যক্তিদের হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বিস্ফোরণের বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। শোরুম ও নির্মাণাধীন ভবনটির মালিক স্বপন হোসেন বলেন, ব্যাটারিচালিত রিকশা অ্যাসেম্বল করে বিক্রি করেন তিনি। কীভাবে বিস্ফোরণ হয়েছে, সে বিষয়ে তাঁর কোনো ধারণা নেই।
পথরেখা/আসো