• মঙ্গলবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪
    ৯ আশ্বিন ১৪৩১
    ঢাকা সময়: ২১:৩১

ফাইল গায়েব করে সম্পদের পাহাড়

  • জাতীয়       
  • ০২ আগস্ট, ২০২৩       
  • ১৮
  •       
  • ০২-০৮-২০২৩, ০৮:৫১:০২

পথরেখা অনলাইন : সনদ জালিয়াতি ও দুর্নীতির অভিযোগে জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের (জাগৃক) উচ্চমান সহকারী দেলোয়ার হোসেনকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। সচিবালয় থেকে তার বিরুদ্ধে মামলাও করা হয়েছে। মঙ্গলবার বিকালে গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব কাজী ওয়াছি উদ্দিন সাংবাদিকদের বলেন, দেলোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে সনদ জালিয়াতির অভিযোগ ছিল। সে বিষয়ে আজ মন্ত্রণালয়ে শুনানি হয়। তদন্তে প্রমাণ পাওয়ায় তার বিরুদ্ধে মামলা করে শাহবাগ থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। সচিব বলেন, তার বিরুদ্ধে ফাইল আটকে রাখা, ফাইল গায়েব করাসহ বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে। এসব অনিয়ম করে তিনি সম্পদের পাহাড় গড়েছেন। এবং বিদেশে বাড়ি করার অভিযোগ রয়েছে। তিনি যেন বিদেশে যেতে না পারেন সে বিষয়ে আমরা ইমিগ্রেশনকে চিঠি লিখেছি। এছাড়া দুর্নীতি দমন কমিশনকে (দুদক) আজ আমরা চিঠি দেবো।   
 
দেলোয়ারের বিরুদ্ধে অভিযোগ কী? কেন তাকে আটক করা হলো এমন প্রশ্নের জবাবে সচিব কাজী ওয়াছি উদ্দিন বলেন, আমাদের কাছে অনেক অভিযোগ আসে। মূল অভিযোগগুলো আসে জমি নিয়ে। কারণ, সেখানে জমি সংক্রান্ত কাজ বেশি হয়। সে জমির ফাইলগুলো কিছু লোকের কাছে জিম্মি। ফলে সেবা গ্রহিতারা সেবা না পেয়ে নানা ধরনের হয়রানির শিকার হন। আমাদের কাছে আসা অভিযোগের মধ্যে একটি হলো সেখানে একটা সিবিএ আছে। সেটার নেতা বা সাধারণ সম্পাদক হলেন দেলোয়ার হোসেন।  তার পদ উচ্চমান সহকারী। এই পদের জন্য যে শিক্ষাগত যোগ্যতা লাগে সেটা তার নেই।  এইচএসসি সার্টিফিকেট জালিয়াতি করে চাকরি নিয়েছেন তিনি। অনেক দিক থেকে অভিযোগ আসার পর আমরা বিষয়টিকে তলিয়ে দেখতে একটি তদন্ত কমিটি করেছি। তদন্তের এক পর্যায়ে তার কাছে সার্টিফিকেট চাওয়া হলে সে একটা সার্টিফিকেট দেয় আমাদের। এরপর জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষের কাছে তার নিয়োগ সংক্রান্ত সকল কাগজপত্র চাওয়া হলে সেগুলো তারা দেখাতে পারেনি। কাজী ওয়াছি উদ্দিন বলেন, যেহেতু উচ্চমান সহকারী হতে হলে এইচএসসি পাস হতেই হবে। এজন্য উপসচিবকে কুমিল্লা বোর্ডে ও কলেজে পাঠানো হয়। কিন্তু কলেজ কর্তৃপক্ষ কোনো কাগজপত্র দেয়নি। কোনো ধরনের সহযোগিতা করেনি। এরপর বোর্ডের চেয়ারম্যানের সাথে কথা বললে তিনিও প্রথমে কথা বলতে রাজি হননি। পরে যখন বললাম যে, দেলোয়ার হোসেনের সার্টিফিকেটে বাবার নাম আব্দুল আলীম। তখন বলেন দেলোয়ার ২০১৯ সালে একটি এভিডেভিট করিয়েছেন। সেখানে দেখা গেছে সার্টিফিকেটে যেখানে বাবার নামের স্থানে শিশু মিয়া ছিল, সেটা পরিবর্তন করে আব্দুল আলীম করা হয়েছে। এরপর আমরা দেলোয়ার হোসেনের এলাকায় বা উপজেলায় খোঁজ নিয়ে জানতে পারি এই নামে আরও এক ব্যাক্তি রয়েছে, যার বাবার নাম শিশু মিয়া। 
 
সচিব বলেন, আমরা এভাবে তদন্ত করে পুরোপুরি নিশ্চিত হয়েছি যে তার এইচএসসির সার্টিফিকেট জাল। তদন্তে প্রামাণিত হয়েছে দেলোয়ার হোসেন সনদ জাল করে চাকরি নিয়েছেন৷ এ ছাড়াও তার নামে বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে। সেসব বিষয়ে আমরা দুদককে বলেছি তদন্ত করতে। সে আসলে অনেক টাকার মালিকও। এর আগে বিভিন্ন সংস্থা তার বিরুদ্ধে তদন্ত করেছে, সে সব জায়গায় নিষ্কৃতি পেয়েছে। সেজন্যই আজকে আমরা তাকে ধরেছি। দেলোয়ারকে কেন বদলি করা হয়নি? এমন এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমি বলার পর দুই জনকে বদলি করা হলেও দেলোয়ারকে সরানো হয়নি। কারণ বলা হয়েছিল সে সিবিএ করে, সেজন্য তাকে বদলি করা যাবে না।  সেবা গ্রহীতাকে হয়রানির কতোগুলো অভিযোগ এসেছে, কতদিন আগে এসেছে, চেয়ারম্যানকে অভিযোগ না দিয়ে আপনার কাছে কেন এলো- এসব বিষয়ে জানতে চাইলে সচিব বলেন, মানুষ মনে করে এখানে অভিযোগ দিলে প্রতিকার হবে। সে কারণে এখানে দেওয়া হয়েছে। সেখানেও অভিযোগ দেওয়া হয়। কিন্তু প্রতিকার তো এখান থেকে করতে হয়। এ পর্যন্ত শত শত অভিযোগ এসেছে আমাদের কাছে। দুই মাস হলো আমরা এ বিষয়ে কাজ শুরু করেছি। এ ছাড়া ভূমি নিয়ে যে অভিযোগ সেগুলো মোটামুটি অনেক আগে থেকে আসছে। চেয়ারম্যান কিছুর প্রতিকার করেছেন, কিছু পারে নাই। কী ধরনের অভিযোগ জমা পড়েছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, কোনো ফাইল হারিয়ে যাচ্ছে, গায়েব হয়ে যাচ্ছে, ফাইল আটকে রাখা হচ্ছে।
পথরেখা/অআ

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

পথরেখা : আমাদের কথা

আমাদের পোর্টালের নাম— pathorekha.com; পথরোখা একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। আমরা এই প্রতিষ্ঠানকে প্রতিদিনের সত্য-সংবাদের পথরেখা হিসেবে প্রমাণ করতে চাই। পথরেখা সারাদেশের পাঠকদের জন্য সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ এবং মতামত প্রকাশ করবে। পথরোখা নিউজ পোর্টাল হিসেবে ২০২৩ সালের জুন মাসে যাত্রা শুরু করলো। অচিরেই পথরেখা অনলাইন মিডিয়া হিসেবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের প্রক্রিয়া শুরু করবে। পথরোখা  দেশ কমিউনিকেশনস-এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান।
 
পথরোখা জাতীয় সংবাদের উপর তো বটেই এর সঙ্গে রাজনীতি, আন্তর্জাতিক, খেলাধুলা, কৃষি, বিনোদন, অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, তথ্য ও প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন বিভাগকেও গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে। মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিকতা এবং চৌকস ফটোগ্রাফিকে বিশেষ বিবেচনায় রাখে।
 
পথরোখা’র সম্পাদক আরিফ সোহেল এই সেক্টরে একজন খুব পরিচিত ব্যক্তিত্ব। সাংবাদিক হিসেবে তার দীর্ঘ ৩০ বছর কর্মজীবনে তিনি দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকা, আজকের কাগজ, রিপোর্ট২৪ ডটকম প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। এ ছাড়া তিনি সরকারী ক্রীড়া পাক্ষিক ‘ক্রীড়া জগত’ ও লাইফস্টাইল ম্যাগাজিক অপ্সরা নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। তিনি জনপ্রিয় অনলাইন দেশকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
 
পথরেখা দেশের মৌলিক মূল্যবোধ, বিশেষ করে জাতীয় সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। এছাড়াও, এটি দেশের নাগরিকের মানবিক ও নাগরিক অধিকারের পক্ষে কথা বলবে। ন্যায়পরায়ণতা, নির্ভুলতা এবং বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রাখতে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ। আমরা বিশ্বাস করি যে জনগণের বিশ্বাসযোগ্যতা আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। পথরেখা রাজনৈতিক ইস্যুতে নির্দলীয় অবস্থান বজায় রাখবে। একটি নিরপক্ষ অনলাইন হিসেবে আমরা নিজেদের কর্মকাণ্ডে প্রমাণ করার শতভাগ প্রছেষ্টা করব। তবে সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করেও কিছু ভুল হতেই পারে। যা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রাখছি সব মহলেই। সততা পথে অবিচল; আলোর পথে অবিরাম যাত্রায় আমাদের পাশে থাকুন; আমরা থাকব আপনাদের পাশে।
 
উল্লেখ্য, পথরেখা হিসেবে একটি প্রকাশনী দীর্ঘদিন থেকে প্রকাশিত হয়ে আসছে। এবার উদ্যোগ নেওয়া হলো অনলাইন অনলাইন নিউজ পোর্টাল হিসেবে প্রকাশ করার।