• রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪
    ৬ আশ্বিন ১৪৩১
    ঢাকা সময়: ১২:৪০

বিশ্বকাপ দাবা থেকে খালি হাতে বাংলাদেশ

পথরেখা অনলাইন : ইনডোর গেমস হিসেবে দাবায় সম্ভাবনা থাকার পর সেটিকে কখনোই কাজে লাগানো যায়নি। উপমহাদেশের প্রথম গ্র্যান্ড মাস্টার বাংলাদেশের হলেও এরপরের যাত্রাটা মোটেও মসৃন ছিলনা। এই যেমন সর্বশেষ বিশ্বকাপ দাবা থেকেও হতাশাজনক বিদায় নিতে হয়েছে। আজারবাইজানের বাকু শহরে চলতি ফিদে বিশ্বকাপ দাবার প্রথম রাউন্ড থেকেই বিদায় নিয়েছে বাংলাদেশ। এবারের বিশ্বকাপ দাবায় অংশ নিয়েছিলেন বাংলাদেশের চার দাবাড়ু। এর মধ্যে গ্র্যান্ড মাস্টার এনামুল হোসেন রাজীব ও নারী ফিদে মাস্টার নোশিন আঞ্জুম একটি করে ম্যাচ ড্র করতে পেরেছেন। বাকি দুই জন আন্তর্জাতিক মাস্টার মোহাম্মদ ফাহাদ রহমান ও নারী ক্যান্ডিডেট মাস্টার জান্নাতুল ফেরদৌস দুটি ম্যাচই হেরেছেন। প্রথম রাউন্ডের প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশের সবাই হেরেছিলেন। প্রথম রাউন্ডের দ্বিতীয় ম্যাচে গ্র্যান্ড মাস্টার এনামুল হোসেন রাজীব নকআউট পদ্ধতির খেলায় জার্মানীর সুপার গ্র্যান্ড মাস্টার কোলারস ডমিট্রিজের সাথে ড্র করেছেন। গ্র্যান্ড মাস্টার রাজীব প্রথম রাউন্ডের দ্বিতীয় ম্যাচে সাদা ঘুঁটি নিয়ে রুই-লোপেজ পদ্ধতিতে খেলে এই কৃতিত্ব দেখিয়েছেন।
 
এদিকে নারী ফিদে মাস্টার নোশিন আঞ্জুম পোল্যান্ডের গ্র্যান্ড মাস্টার সককো মনিকার সাথে প্রথম রাউন্ডের দ্বিতীয় ম্যাচে ড্র করেছেন। নোশিন আঞ্জুম সাদা ঘুঁটি নিয়ে গ্র্যান্ড মাস্টার সককো মনিকার পেট্রোফ ডিফেন্স পদ্ধতির বিরুদ্ধে খেলে ৪৩ চালে ড্র করেন। আন্তর্জাতিক মাস্টার মোহাম্মদ ফাহাদ রহমান ইতালির গ্র্যান্ড মাস্টার ভোকাতুরো দেনাইলর কাছে প্রথম রাউন্ডের দুটি ম্যাচেই হেরে বাদ পড়েছেন। ফাহাদ রহমান দ্বিতীয় ম্যাচে সাদা ঘুঁটি নিয়ে গ্র্যান্ড মাস্টার ভোকাতুরো ডেইনয়েলর গুন্ড ফিল্ড ডিফেন্স পদ্ধতির বিরুদ্ধে খেলে ২২ চালের পর ভালো অবস্থান থেকেও সময় সংকটে ৩৩ চালে পজিশন নড়বড়ে করে ফেললে ৪০ চালে হেরে যান। আজারবাইজানের বাকু শহরে অনুষ্ঠানরত বিশ্বকাপ দাবায় বাংলাদেশের তিন দাবাড়ু আন্তর্জাতিক মাস্টার ফাহাদ রহমান, মহিলা ফিদে মাস্টার নোশিন আঞ্জুম ও মহিলা ক্যান্ডিডেট মাস্টার জান্নাতুল ফেরদৌস বিদায় নিয়েছেন।
 
পরের রাউন্ডে যেতে হলে তার জয়ের বিকল্প ছিলনা। প্রথম রাউন্ডের প্রথম খেলায় বাংলাদেশের সকলেই পরাজিত হয়েছিলেন। প্রথম রাউন্ডের দ্বিতীয় গেমে বাংলাদেশের গ্র্যান্ড মাস্টার এনামুল হোসেন রাজীব জার্মানীর ২৬১৮ রেটিং প্রাপ্ত গ্র্যান্ড মাস্টার কোলারস ডমিট্রিজের সাথে ৫৩ চাল পর্যন্ত ড্রয়ের অবস্থানে রয়েছেন তবে টিকে থাকতে হলে তাকে জয়ী হতে হবে। আন্তর্জাতিক মাস্টার মোহাম্মদ ফাহাদ রহমান (রেটিং-২৪২৮) ইতালির ২৬০৯ রেটিং প্রাপ্ত গ্র্যান্ড মাস্টার ভোকাতুরো দেনাইলর কাছে প্রথম রাউন্ডের দু’টি খেলাতেই হেরে বাদ পড়েছেন। দ্বিতীয় খেলায় সাদা ঘুঁটি নিয়ে গ্র্যান্ড মাস্টার ভোকাতুরো ডেইনয়েলর গুন্ড ফিল্ড ডিফেন্স পদ্ধতির বিরুদ্ধে খেলে ২২ চালের পর ভাল অবস্থান পেয়ে যান কিন্তু সময় সংকটে পড়ে ৩৩ চালে অবস্থান খারাপ করে ফেলেন, পরবর্তীতে ৪০ চালে হেরে যান।
 
ফিদে মহিলা বিশ্বকাপ দাবায় ফিদে মাস্টার নোশিন আঞ্জুম ০.৫-১.৫ গেম পয়েন্টের ব্যবধানে বাদ পড়েছেন। প্রথম রাউন্ডের দ্বিতীয় খেলায় মহিলা ফিদে মাস্টার নোশিন আঞ্জুম সাদা ঘুঁটি নিয়ে গ্র্যান্ড মাস্টার সককো মনিকার পেট্রোফ ডিফেন্স পদ্ধতির বিরুদ্ধে খেলে ৪৩ চালে ড্র করেন। প্রথম রাউন্ডের দ্বিতীয় খেলাতেও মহিলা ক্যান্ডিডেট মাস্টার জান্নাতুল ফেরদৌস (রেটিং-১৮১৫) ২৪১৬ রেটিং প্রাপ্ত রোমানিয়ার আন্তর্জাতিক মাস্টার ও মহিলা গ্র্যান্ড মাস্টার বুলমাগো ইরিনার কাছে পরাজিত হন। মহিলা ক্যান্ডিডেট মাস্টার জান্নাতুল ফেরদৌস প্রথম রাউন্ডে ০-২ গেম পয়েন্টে হেরে বাদ পড়েছেন। প্রথম রাউন্ডের দ্বিতীয় খেলায় ক্যান্ডিডেট মাস্টার জান্নাতুল ফেরদৌস কালো ঘুঁটি নিয়ে ক্যারো-কান ডিফেন্স পদ্ধতিতে খেলে ৩২ চালের মাথায় আন্তর্জাতিক মাস্টার ও মহিলা গ্র্যান্ড মাস্টার বুলমাগো ইরিনার কাছে হেরে যান।
 
এর আগে বিশ্বকাপ খেলতে আজারবাইজানে যান চার দাবাড়ু। ফিদে বিশ্বকাপ পুরুষ ও মহিলা দাবায় অংশ নিয়েছেন তারা হলেন, গ্র্যান্ড মাসস্টার এনামুল হোসেন নাজীব, আন্তর্জাতিক মাস্টার মোহাম্মদ ফাহাদ রহমান, মহিলা ফিদে মাস্টার নোশিন আঞ্জুম ও মহিলা ক্যান্ডিডেট মাস্টার জান্নাতুল ফেরদৌস। ফাহাদ রহমান জোন-৩.২ এর ওপেন বিভাগের চ্যাম্পিয়ন হিসেবে, মহিলা ক্যান্ডিডেট মাস্টার জান্নাতুল ফেরদৌস জোন-৩.২ মহিলা বিভাগের চ্যাম্পিয়ন হিসেবে এবং গ্র্যান্ড মাস্টার এনামুল হোসেন রাজীব ও মহিলা ফিদে মাস্টার নোশিন আঞ্জুম বাংলাদেশ দাবা ফেডারেশনের মনোনীত খেলোয়াড় হিসেবে বিশ্বকাপে অংশগ্রহণ করেন। ২০২২ সালের দাবা অলিম্পিয়াডের ফলাফলের ভিত্তিতে বাংলাদেশ ফিদে বিশ্বকাপ পুরুষ ও মহিলা দাবায় একজন করে খেলোয়াড় মনোনয়ন পান। তবে এবারও ব্যর্থতা নিয়ে দেশে ফিরে আসতে হয়।
পথরেখা/আসো
 

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

পথরেখা : আমাদের কথা

আমাদের পোর্টালের নাম— pathorekha.com; পথরোখা একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। আমরা এই প্রতিষ্ঠানকে প্রতিদিনের সত্য-সংবাদের পথরেখা হিসেবে প্রমাণ করতে চাই। পথরেখা সারাদেশের পাঠকদের জন্য সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ এবং মতামত প্রকাশ করবে। পথরোখা নিউজ পোর্টাল হিসেবে ২০২৩ সালের জুন মাসে যাত্রা শুরু করলো। অচিরেই পথরেখা অনলাইন মিডিয়া হিসেবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের প্রক্রিয়া শুরু করবে। পথরোখা  দেশ কমিউনিকেশনস-এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান।
 
পথরোখা জাতীয় সংবাদের উপর তো বটেই এর সঙ্গে রাজনীতি, আন্তর্জাতিক, খেলাধুলা, কৃষি, বিনোদন, অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, তথ্য ও প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন বিভাগকেও গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে। মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিকতা এবং চৌকস ফটোগ্রাফিকে বিশেষ বিবেচনায় রাখে।
 
পথরোখা’র সম্পাদক আরিফ সোহেল এই সেক্টরে একজন খুব পরিচিত ব্যক্তিত্ব। সাংবাদিক হিসেবে তার দীর্ঘ ৩০ বছর কর্মজীবনে তিনি দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকা, আজকের কাগজ, রিপোর্ট২৪ ডটকম প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। এ ছাড়া তিনি সরকারী ক্রীড়া পাক্ষিক ‘ক্রীড়া জগত’ ও লাইফস্টাইল ম্যাগাজিক অপ্সরা নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। তিনি জনপ্রিয় অনলাইন দেশকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
 
পথরেখা দেশের মৌলিক মূল্যবোধ, বিশেষ করে জাতীয় সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। এছাড়াও, এটি দেশের নাগরিকের মানবিক ও নাগরিক অধিকারের পক্ষে কথা বলবে। ন্যায়পরায়ণতা, নির্ভুলতা এবং বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রাখতে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ। আমরা বিশ্বাস করি যে জনগণের বিশ্বাসযোগ্যতা আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। পথরেখা রাজনৈতিক ইস্যুতে নির্দলীয় অবস্থান বজায় রাখবে। একটি নিরপক্ষ অনলাইন হিসেবে আমরা নিজেদের কর্মকাণ্ডে প্রমাণ করার শতভাগ প্রছেষ্টা করব। তবে সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করেও কিছু ভুল হতেই পারে। যা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রাখছি সব মহলেই। সততা পথে অবিচল; আলোর পথে অবিরাম যাত্রায় আমাদের পাশে থাকুন; আমরা থাকব আপনাদের পাশে।
 
উল্লেখ্য, পথরেখা হিসেবে একটি প্রকাশনী দীর্ঘদিন থেকে প্রকাশিত হয়ে আসছে। এবার উদ্যোগ নেওয়া হলো অনলাইন অনলাইন নিউজ পোর্টাল হিসেবে প্রকাশ করার।