• সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪
    ৯ পৌষ ১৪৩১
    ঢাকা সময়: ২১:১১

কে হচ্ছেন নতুন ওয়ানডে অধিনায়ক?

মোয়াজ্জেম হোসেন রাসেল : অনেকটা হঠাৎ করেই বৃহস্পতিবার রাত আটটার পর জানা যায় ওয়ানডে ক্রিকেটের অধিনায়কত্ব ছাড়ছেন তামিম ইকবাল। এর কিছুক্ষণ পরই আসে ঘোষণা। তাতেই পরিস্কার হয়ে যায় যতদিন ক্রিকেট খেলবেন একজন সাধারণ খেলোয়াড় হিসেবেই খেলবেন। তাতে করে এশিয়া কাপ থেকেই নতুন অধিনায়কের অধীনে খেলবে বাংলাদেশ দল। সেই একই অধিনায়কের নেতৃত্বে বিশ্বকাপ ক্রিকেটে খেলবে লাল সবুজ প্রতিনিধিরা। সংবাদকর্মীদের মতোই বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনেরও জিজ্ঞাসা, কে হবেন ওয়ানডে অধিনায়ক? বিসিবি বসের সাথে জরুরি বৈঠক শেষে ওয়ানডে অধিনায়কত্ব থেকে সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দেন তামিম। এখন অধিনায়কত্ব ছেড়ে দিলেও খেলোয়াড় হিসেবে থাকছেন তিনি। তবে ক্রিকেটার হিসেবে ফেরাটাও শিগ্‌গির হচ্ছে না। এশিয়া কাপের পর ঘরের মাঠে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ দিয়ে ফিরবেন তিনি। তামিম অধিনায়কত্ব ছেড়ে দেওয়ায় একটা শূন্যতা তৈরি হয়েছে ওয়ানডে দলে। অধিনায়কের দায়িত্ব কে নেবেন, সেটা নিয়ে তৈরি হয়েছে নতুন করে জল্পনা। নতুন অধিনায়ক কে হতে পারেন প্রশ্নে বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন বলেছেন, ‘এটা তো এই মুহূর্তে বলা কঠিন। তামিম যদি বলত যে এশিয়া কাপ খেলব না, আমাদের অবশ্যই একজন তো আছেই লিটন দাস (সহ-অধিনায়ক)। কিন্তু এটা তো হচ্ছে না। সে যে অধিনায়কত্ব ছেড়ে দিচ্ছে, এটা আমি আজই (গতকাল) জানলাম। এটা দু-একজনের সঙ্গে কথা না বলে বলতে পারছি না।’
 
সামনের দিনে যাঁকেই দায়িত্ব দেওয়া হোক, বিশ্বকাপ তো অবশ্যই অন্তত দুই বছরের জন্য দায়িত্ব দেওয়া হতে পারে বলে জানিয়েছেন পাপন। কদিন ধরে একটা গুঞ্জন চলছিল, সাকিব আল হাসানকে ওয়ানডে অধিনায়কত্বের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। যদিও বিসিবির সেই প্রস্তাব নাকি তিনি গ্রহণ করেননি, দেশের একটি শীর্ষস্থানীয় পত্রিকা তেমনটাই দাবী করেছেন। যদিও বিষয়টি পুরোপুরি নাকচ করে দিয়েছেন বিসিবি সভাপতি পাপন। যত দূর জানা গেছে, এই মুহূর্তে বিসিবির হাতে সম্ভাব্য দুটি অপশন আছে। প্রথমত, অন্য দুই সংস্করণের অধিনায়ক সাকিবের হাতে দায়িত্ব তুলে দেওয়া। যদি সাকিব রাজি হয়ে যান, সে ক্ষেত্রে সমস্যার সমাধান হয়ে যায়। যদি সাকিব কোনো কারণে রাজি না হন, সে ক্ষেত্রে সহ-অধিনায়ক লিটন দাসের দিকে হাত বাড়াতে হবে। এই সময়ে অনেক কিছুই নির্ভর করছে ‘যদি’ ‘কিন্তু’র ওপর। পাপন জানিয়েছেন, যাঁকেই বেছে নেওয়া হোক, আগে ক্রিকেটারদের মতামত নেওয়া হবে। ক্রিকেটারদের মতামতের পর বল থাকবে বিসিবির কোর্টে।
 
অনেক দিন ধরেই পিঠের নানা সমস্যায় ভুগছিলেন তামিম ইকবাল। নতুন করে সেটি আবার মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। ফলে আসন্ন এশিয়া কাপ ও বিশ্বকাপে দেশসেরা এ ব্যাটারের অংশগ্রহণ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। বাঁহাতি এই ওপেনারকে নিয়ে সৃষ্টি হয়েছে এক ধূম্রজাল। ঘরের মাঠে আফগানিস্তানের বিপক্ষে সিরিজের মাঝপথে হুট করেই অবসরের ঘোষণাও দিয়েছিলেন তিনি। তবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপে ২৮ ঘণ্টা পর সেই সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসেন তামিম। এরপর চলে যান দেড় মাসের ছুটিতে। ছুটির মধ্যেই লন্ডনে গিয়ে চিকিৎসা করিয়ে আসেন। আসন্ন এশিয়া কাপ দিয়ে মাঠে ফেরার কথা ছিল তার। কিন্তু লন্ডনে গিয়ে ধরা পড়ে মেরুদন্ডের হাড়ে ক্ষয় হয়েছে তামিমের। আপাতত ইনজেকশন নিয়ে হাড় ক্ষয়ের চিকিৎসা শুরু করেছেন তিনি। ইনজেকশন নেওয়ার পর যদি উন্নতি হয় ইনজুরির, তবেই তামিম ২২ গজে ফেরার সবুজ সংকেত পাবেন। না হলে তাকে যেতে হবে অস্ত্রোপচারের মধ্য দিয়ে। যার ফলে তিনি নিশ্চিতভাবেই ছিটকে যাবেন এশিয়া কাপ ও বিশ্বকাপ থেকে। সাম্প্রতিক সময়ে ক্রিকেটপাড়ায় আলোচনার মূল কেন্দ্রবিন্দু তামিমের প্রত্যাবর্তন।
 
এখন ইনজেকশনে কি শেষ পর্যন্ত পুরোপুরি সেরে উঠবেন দেশসেরা এই ওপেনার? ফিরলেও থাকবেন কি অধিনায়ক পদে? প্রশ্ন অনেক কিন্তু এখন পর্যন্ত নেই সেগুলোর কোনো উত্তর। চিকিৎসা শেষে গত সোমবার দেশে ফেরেন তামিম। তবে টাইগার ওয়ানডে অধিনায়কের মাঠে ফেরা এখনো ঝুলে আছে তার ফিটনেসের ওপর। বোর্ডের সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনায়ও বসার কথা আছে তামিমের। টাইগার অধিনায়কের বিষয়ে গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেছেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। তিনি বলেন, ‘আমরা শতভাগ নিশ্চিত এখনো পর্যন্ত আমাদের ক্যাপ্টেন তামিম ইকবাল। এখন সমস্যা হচ্ছে, তামিম কখন থেকে খেলবে বা খেলতে পারবে, সেটা তো আমরা এখনো পর্যন্ত জানি না। ও ডাক্তার দেখিয়ে আসছে। স্পষ্টভাবে ওর সমস্যা আছে, এখন যেটা আমরা জানলাম। অবশ্য আগে জানতাম না যে, ওর বেশ সমস্যা আছে। এই সমস্যাটার জন্য কী করতে হবে, কতদিন সময় লাগবে এইগুলো না জেনে কিছু মন্তব্য করা কঠিন।’ এশিয়া কাপের দল ঘোষণা নিয়ে পাপন বলেন, ‘আমি বলছি যে, কোচ ও অধিনায়ক দুইজনের মতামত নিয়ে এরপর স্কোয়াড ঘোষণা করো। একটা পাঠিয়ে দিলে এরপর এটা নিয়ে কোচ বলবে, এটা হলো কেন বা অধিনায়ক বলবে এটা হলো না কেন। যাই হোক, একবারে সবার সঙ্গে কথা বলে স্কোয়াড ঘোষণা করে দাও।’
 
এখন থেকে ৬৪ দিন পর বাংলাদেশ খেলতে নামবে ওয়ানডে বিশ্বকাপের প্রথম ম‌্যাচ। অথচ বড় মঞ্চে নামার আগে অধিনায়কই চূড়ান্ত নয় বাংলাদেশের। তামিম নিজের সিদ্ধান্ত নেওয়ার পেছনে বেশ কিছু কারণ দেখিয়েছেন। তার মধ্যে সবচেয়ে বড় ছিল ইনজুরি ও ফিটনেস। নাজমুল হাসানও তামিমের ইনজুরিকে বড় করে দেখছেন, ‘কোন ম‌্যাচ ও খেলবে, কোন ম‌্যাচ খেলবে না এই অনিশ্চয়তা ওকে-ও পীড়া দিচ্ছে। ওর নিজেরও ভালো লাগছে না এই জিনিসটা। ও ওয়ানডের অধিনায়ক, সামনে এশিয়া কাপ ও বিশ্বকাপ আছে। অথচ সিদ্ধান্ত নিতে পারছে না কোন খেলা খেলতে পারবে। এখন সবচেয়ে জরুরী হচ্ছে কতো তাড়াতাড়ি ও রিকোভারী করে ফেরত আসে।’ অধিনায়কত্ব ছাড়লেও ব্যাটার তামিমকে দ্রুতই পাওয়ার আশা বাংলাদেশের।
পথরেখা/আসো
 

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

পথরেখা : আমাদের কথা

আমাদের পোর্টালের নাম— pathorekha.com; পথরোখা একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। আমরা এই প্রতিষ্ঠানকে প্রতিদিনের সত্য-সংবাদের পথরেখা হিসেবে প্রমাণ করতে চাই। পথরেখা সারাদেশের পাঠকদের জন্য সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ এবং মতামত প্রকাশ করবে। পথরোখা নিউজ পোর্টাল হিসেবে ২০২৩ সালের জুন মাসে যাত্রা শুরু করলো। অচিরেই পথরেখা অনলাইন মিডিয়া হিসেবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের প্রক্রিয়া শুরু করবে। পথরোখা  দেশ কমিউনিকেশনস-এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান।
 
পথরোখা জাতীয় সংবাদের উপর তো বটেই এর সঙ্গে রাজনীতি, আন্তর্জাতিক, খেলাধুলা, কৃষি, বিনোদন, অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, তথ্য ও প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন বিভাগকেও গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে। মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিকতা এবং চৌকস ফটোগ্রাফিকে বিশেষ বিবেচনায় রাখে।
 
পথরোখা’র সম্পাদক আরিফ সোহেল এই সেক্টরে একজন খুব পরিচিত ব্যক্তিত্ব। সাংবাদিক হিসেবে তার দীর্ঘ ৩০ বছর কর্মজীবনে তিনি দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকা, আজকের কাগজ, রিপোর্ট২৪ ডটকম প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। এ ছাড়া তিনি সরকারী ক্রীড়া পাক্ষিক ‘ক্রীড়া জগত’ ও লাইফস্টাইল ম্যাগাজিক অপ্সরা নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। তিনি জনপ্রিয় অনলাইন দেশকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
 
পথরেখা দেশের মৌলিক মূল্যবোধ, বিশেষ করে জাতীয় সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। এছাড়াও, এটি দেশের নাগরিকের মানবিক ও নাগরিক অধিকারের পক্ষে কথা বলবে। ন্যায়পরায়ণতা, নির্ভুলতা এবং বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রাখতে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ। আমরা বিশ্বাস করি যে জনগণের বিশ্বাসযোগ্যতা আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। পথরেখা রাজনৈতিক ইস্যুতে নির্দলীয় অবস্থান বজায় রাখবে। একটি নিরপক্ষ অনলাইন হিসেবে আমরা নিজেদের কর্মকাণ্ডে প্রমাণ করার শতভাগ প্রছেষ্টা করব। তবে সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করেও কিছু ভুল হতেই পারে। যা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রাখছি সব মহলেই। সততা পথে অবিচল; আলোর পথে অবিরাম যাত্রায় আমাদের পাশে থাকুন; আমরা থাকব আপনাদের পাশে।
 
উল্লেখ্য, পথরেখা হিসেবে একটি প্রকাশনী দীর্ঘদিন থেকে প্রকাশিত হয়ে আসছে। এবার উদ্যোগ নেওয়া হলো অনলাইন অনলাইন নিউজ পোর্টাল হিসেবে প্রকাশ করার।