• রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪
    ৭ আশ্বিন ১৪৩১
    ঢাকা সময়: ০৫:৩২

পাকিস্তানে নির্বাচন নির্ধারিত সময়ে হচ্ছে না

পথরেখা অনলানইন : চলতি বছর নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহে পাকিস্তানে জাতীয় নির্বাচন হওয়ার কথা থাকলেও ভোটার তালিকা হালনাগাদ না হওয়ায় নির্ধারিত সময়ে নির্বাচন হওয়ার সম্ভাবনা প্রায় নেই। দেশটির কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী আজম নাজির তারার শনিবার এক সাক্ষাৎকারে এ তথ্য জানিয়েছেন। পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম জিও নিউজকে দেওয়া সেই সাক্ষাৎকারে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘ভোটার তালিকা এখনও হালনাগাদ হয়নি। আদমশুমারির মাধ্যমে এটি (হালানাগাদ) করতে হবে। শুমারি শেষে নতুন ভোটার তালিকা তৈরিতে সময় লাগবে অন্তত ৪ থেকে ৫ মাস।’ ‘তাছাড়া কোন সাংবিধানিক আসনের আয়তন কতখানি হবে, সেটিও নির্ভর করছে নতুন ভোটার তালিকার ওপর। তালিকা হাতে পেলে আসনগুলোর আয়তন পুনর্বিন্যাস করতে হবে। সেখানেও অন্তত দেড় থেকে দু’ মাস সময় প্রয়োজন।’
 
আজম নাজির তারার বলেন, শনিবার পাকিস্তানের বিশেষ সরকারি সংস্থা কাউন্সিল অব কমন ইন্টারেস্টের (সিসিআই) বৈঠকে এসব ব্যাপারে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ সেই বৈঠকে সভাপতিত্ব করেছেন। উল্লেখ্য, সিসিআই মূলত পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় সরকার এবং প্রাদেশিক সরকারগুলোর মধ্যে একপ্রকার সেতুবন্ধনের কাজ করে। জাতীয় যে কোনো ইস্যুতে কেন্দ্রীয় ও প্রাদেশিস সরকারেরর ঐকমত্যের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্ল্যাটফরম হিসেবে কাজ করে এই সিসিআই। শনিবারের বৈঠকে কেন্দ্রীয় এবং পাকিস্তানের ৪টি প্রদেশের গুরুত্বপূর্ণ সরকারি প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন উল্লেখ করে নাজির তারার বলেন, ‘বৈঠকে সবার ঐকমত্যের ভিত্তিতে এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে যে আগামী নির্বাচন হবে নতুন ভোটার তালিকার ভিত্তিতে।’ ‘এখন, সব দিক সামাল দিয়ে কবে নির্বাচনের আয়োজন করা সম্ভব হবে— সেই ঘোষণা দেবে নির্বাচন কমিশন।’
 
পাকিস্তানে নির্বাচন আয়োজনের সার্বিক দায়িত্বে থাকে তত্ত্বাবধায়ক সরকার। কোনো সরকার তার মেয়াদ শেষ করে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তরের পর তিন মাসের মধ্যে নির্বাচন দেওয়ার বিধান রয়েছে দেশটির সংবিধানে। সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতা অনুযায়ী, আগামী ৩১ আগস্টের মধ্যে তত্ত্ববধায়ক সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফের নেতৃত্বাধীন জোট সরকারকে। গত বৃহস্পতিবার শেহবাজ জানিয়েছেন, আগামী ৯ আগস্ট ক্ষমতা হস্তান্তর করবে তার সরকার। পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশনের সাবেক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা কুনওয়ার দিলশাদ বার্তাসংস্থা রয়টার্সকে বলেন, ‘আদমশুমারি, নতুন ভোটার তালিকা ও সাংবিধানিক আসনগুলোর আয়তন পুনর্বিন্যাস করতে অন্তত ৫ থেকে ৬ মাস সময় লাগবে। সেই হিসেবে সব কিছু ঠিক থাকলে আগামী ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারির দিকে হবে নির্বাচন।’
 
এদিকে শনিবারই আলোচিত তোশাখানা মামলায় গ্রেপ্তার হয়েছেন পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বর্তমান বিরোধী দলীয় নেতা ইমরান খান। ইসলামাবাদের জেলা ও দায়রা আদালত তাকে এই মামলায় ৩ বছর কারাবাসের সাজাও দিয়েছেন। ইমরান খানের রাজনৈতিক দল পাকিস্তান তেহরিক-ই ইনসাফের কো-চেয়ারম্যান শাহ মুহম্মদ কুরেশি অবশ্য বলেছেন, জেলা ও দায়রা আদালতের এই রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করবে পিটিআই।
পথরেখা/অআ

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

পথরেখা : আমাদের কথা

আমাদের পোর্টালের নাম— pathorekha.com; পথরোখা একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। আমরা এই প্রতিষ্ঠানকে প্রতিদিনের সত্য-সংবাদের পথরেখা হিসেবে প্রমাণ করতে চাই। পথরেখা সারাদেশের পাঠকদের জন্য সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ এবং মতামত প্রকাশ করবে। পথরোখা নিউজ পোর্টাল হিসেবে ২০২৩ সালের জুন মাসে যাত্রা শুরু করলো। অচিরেই পথরেখা অনলাইন মিডিয়া হিসেবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের প্রক্রিয়া শুরু করবে। পথরোখা  দেশ কমিউনিকেশনস-এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান।
 
পথরোখা জাতীয় সংবাদের উপর তো বটেই এর সঙ্গে রাজনীতি, আন্তর্জাতিক, খেলাধুলা, কৃষি, বিনোদন, অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, তথ্য ও প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন বিভাগকেও গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে। মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিকতা এবং চৌকস ফটোগ্রাফিকে বিশেষ বিবেচনায় রাখে।
 
পথরোখা’র সম্পাদক আরিফ সোহেল এই সেক্টরে একজন খুব পরিচিত ব্যক্তিত্ব। সাংবাদিক হিসেবে তার দীর্ঘ ৩০ বছর কর্মজীবনে তিনি দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকা, আজকের কাগজ, রিপোর্ট২৪ ডটকম প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। এ ছাড়া তিনি সরকারী ক্রীড়া পাক্ষিক ‘ক্রীড়া জগত’ ও লাইফস্টাইল ম্যাগাজিক অপ্সরা নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। তিনি জনপ্রিয় অনলাইন দেশকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
 
পথরেখা দেশের মৌলিক মূল্যবোধ, বিশেষ করে জাতীয় সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। এছাড়াও, এটি দেশের নাগরিকের মানবিক ও নাগরিক অধিকারের পক্ষে কথা বলবে। ন্যায়পরায়ণতা, নির্ভুলতা এবং বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রাখতে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ। আমরা বিশ্বাস করি যে জনগণের বিশ্বাসযোগ্যতা আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। পথরেখা রাজনৈতিক ইস্যুতে নির্দলীয় অবস্থান বজায় রাখবে। একটি নিরপক্ষ অনলাইন হিসেবে আমরা নিজেদের কর্মকাণ্ডে প্রমাণ করার শতভাগ প্রছেষ্টা করব। তবে সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করেও কিছু ভুল হতেই পারে। যা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রাখছি সব মহলেই। সততা পথে অবিচল; আলোর পথে অবিরাম যাত্রায় আমাদের পাশে থাকুন; আমরা থাকব আপনাদের পাশে।
 
উল্লেখ্য, পথরেখা হিসেবে একটি প্রকাশনী দীর্ঘদিন থেকে প্রকাশিত হয়ে আসছে। এবার উদ্যোগ নেওয়া হলো অনলাইন অনলাইন নিউজ পোর্টাল হিসেবে প্রকাশ করার।