পথরেখা অনলাইন : সাংবাদিক নেতা এম শাহজাহান মিয়ার স্মরণ সভায় সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ বলেছেন, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে একজন কলম সৈনিক হিসেবে স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলন ও সাংবাদিকতা পেশাকে এগিয়ে নেয়ার ক্ষেত্রে তিনি যে অসাধারণ অবদান রেখে গেছেন তা স্মরণীয় হয়ে থাকবে। শাহজাহান মিয়া ছিলেন অনুকরণীয় এক প্রখ্যাত সাংবাদিক নেতা। ৭ আগস্ট বিএফইউজে-বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (ডিইউজে) আয়োজিত এক শোক সভায় নেতৃবৃন্দ এ সব কথা বলেন। বিএফইউজে’র সভাপতি ওমর ফারুকের সভাপতিত্বে শোক সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন বিএফইউজে’র সাবেক সভাপতি ইকবাল সোবহান চৌধুরী।
সভায় বক্তব্য রাখেন সাংবাদিক নেতা ও বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার প্রধান সম্পাদক ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবুল কালাম আজাদ, বিএফইউজে’র সাবেক সভাপতি মনজুরুল আহসান বুলবুল, ডিইউজে’র সাবেক সাধারণ সম্পাদক বীরমুক্তিযাদ্ধা আজিজুল ইসলাম ভূঁইয়া, জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন ও সাধারণ সম্পাদক শ্যামল দত্ত, দৈনিক যুগান্তর সম্পাদক সাইফুল আলম, বিএফইউজে’র মহাসচিব দীপ আজাদ, বিএফইউজে’র সহ-সভাপতি মধুসূদন মন্ডল ও কোষাধ্যক্ষ খায়রুজ্জামান কামাল, ডিইউজে’র সভাপতি সোহেল হায়দার চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক আকতার হোসেন, বিএফইউজে’র সাবেক মহাসচিব আবদুল জলিল ভূঁইয়া ও ডিইউজে’র সাবেক সভাপতি কুদ্দুস আফ্রাদ প্রমুখ। নেতৃবৃন্দ প্রথিতযশা সাংবাদিক এম শাহজাহান মিয়ার বিভিন্ন অবদান তুলে ধরে জাতীয় কোন একটি পদক দিয়ে সম্মানিত করার জন্য সরকারের প্রতি আহবান জানান।
সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ ডিজিটাল আইন সংশোধন ও পরিবর্তনে সরকারের সিদ্ধান্তের সংবাদে সন্তোষ প্রকাশ করেন এবং সাইবার সিকিউরিটি আইন চূড়ান্ত করার আগে সাংবাদিক নেতৃবৃন্দের সাথে আলোচনা করার দাবি জানান। সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ কতিপয় পত্রিকায় সাংবাদিকদের দিয়ে বিজ্ঞাপন সংগ্রহ করার ঘৃণ্য পদক্ষেপের নিন্দা জানান এবং অবিলম্বে তা বন্ধ করার জন্য আহবান জানান। সভার শুরুতে সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ শাহজাহান মিয়ার অবদান কৃতজ্ঞতার সাথে স্মরণ করেন এবং তার রুহের মাগফেরাত কামনা করে মোনাজাত করা হয়।
পথরেখা/আসো