• মঙ্গলবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪
    ৯ আশ্বিন ১৪৩১
    ঢাকা সময়: ১৯:২১
চট্টগ্রামের ৫ জেলা বন্যাক্রান্ত

পানিবন্দি লাখো মানুষ

  • জাতীয়       
  • ০৮ আগস্ট, ২০২৩       
  • ২৩
  •       
  • ০৮-০৮-২০২৩, ২০:১১:৪১

পথরেখা অনলাইন : লাগাতার বৃষ্টিতে চট্টগ্রামের বন্যা পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন কয়েক লাখ মানুষ। নিচু এলাকা তলিয়ে গেছে পানির নিচে, একই সঙ্গে অনেক জায়গায় ভূমিধসের ঘটনাও ঘটছে। বন্যার পানিতে ডুবে দুইজন নিখোঁজ রয়েছেন। চট্টগ্রাম নগরীসহ বিভিন্ন এলাকায় বিশুদ্ধ পানির সংকট দেখা দিয়েছে। চট্টগ্রামের সঙ্গে বান্দরবান ও কক্সবাজারের সড়ক যোগাযোগ কার্যত বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। এমন পরিস্থিতিতে চট্টগ্রাম ও বান্দরবান জেলায় সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।

৮ আগস্ট সকালে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) থেকে এক বার্তায় এ তথ্য জানানো হয়েছে। আইএসপিআর জানায়, চট্টগ্রাম ও বান্দরবানে বন্যা পরিস্থিতি ও ভূমিধস মোকাবিলায় সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে।

এদিকে অতি ভারি বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে চট্টগ্রামের সাতকানিয়া ও লোহাগাড়া উপজেলায় বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। জেলা প্রশাসনের অনুরোধে দুই উপজেলায় বন্যার্তদের সহায়তায় কাজ করছে সেনা ও নৌবাহিনীর সদস্যরা। মঙ্গলবার (৮ আগস্ট) দুপুরে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে জেলা প্রশাসক আবুল বাশার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান সাংবাদিকদের এ তথ্য দিয়েছেন।

জেলা প্রশাসক জানান, টানা বৃষ্টিতে চট্টগ্রাম নগরীতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টির পাশাপাশি সব উপজেলায় বন্যা সৃষ্টি হয়েছে। ফটিকছড়ি ছাড়া সব উপজেলা কম বেশি প্লাবিত হয়েছে। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে সাতকানিয়া ও লোহাগাড়া উপজেলা। সাতকানিয়ার সব ইউনিয়ন পানিতে তলিয়ে গেছে। জেলা প্রশাসক আরও বলেন, ‘সাতকানিয়া ও লোহাগাড়া উপজেলার বন্যাদুর্গত মানুষকে সহায়তা করার জন্য চট্টগ্রামের জিওসি ও নৌবাহিনীর সঙ্গে আলাপ করেছি। ইতোমধ্যে দুই উপজেলায় সেনা ও নৌবাহিনীর সদস্যরা বন্যার্তদের সহায়তায় কাজ শুরু করেছে।’

এদিকে বন্যার্তদের সহায়তার জন্য ৪০০ টন চাল, শুকনো খাবার বরাদ্দ রাখা হয়েছে বলে জেলা প্রশাসক জানান। চট্টগ্রামের বন্যা কবলিত বিভিন্ন উপজেলায় চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ত্রাণ সহয়তা চালানো হচ্ছে। টানা ৫ দিন ধরে প্রবল বৃষ্টিতে চট্টগ্রাম নগরের নিচু এলাকা এখনও পানির নিচে। এতে ব্যাপক ভোগান্তিতে পড়েছেন এসব এলাকার বাসিন্দারা। জলাবদ্ধতার কারণে মঙ্গলবার চট্টগ্রাম মহানগরের সব স্কুল-কলেজ বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার (৩ আগস্ট) সন্ধ্যা থেকে চট্টগ্রামসহ আশপাশের এলাকায় বৃষ্টিপাত শুরু হয়। দুইদিনের মাথায় সেটা অতি ভারি বর্ষণে রূপ নেয়। সোমবার সন্ধ্যার পর বৃষ্টিপাত বন্ধ হলেও মঙ্গলবার সকাল থেকে আবারও থেমে থেমে চলছে।

বন্দরনগরী চট্টগ্রামে ৩০ বছরের মধ্যে একদিনে সর্বোচ্চ ৩০৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাতের নতুন রেকর্ড হয়েছে গত রবিবার। এছাড়া চলতি মাসে যেখানে বৃষ্টিপাত হওয়ার কথা ছিল ৫৩০ দশমিক ৬ মিলিমিটার সেখানে গত এক সপ্তাহে চট্টগ্রামে ৬৬৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। যা বিগত কয়েক বছরের চেয়ে বেশি। অতিবৃষ্টির সঙ্গে যুক্ত হয়েছে পূর্ণিমার প্রভাবে স্বাভাবিকের চেয়ে অন্তত তিনফুট উঁচু জোয়ার। চট্টগ্রাম-কক্সবাজার ও বান্দরবান সড়ক যোগাযোগ কার্যত বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, মঙ্গলবার ভোর থেকে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের চন্দনাইশ কসাইপাড়া এলাকায় পানির নিচে সড়ক তলিয়ে যাওয়াতে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। এ ছাড়া সাতকানিয়ার কেরানিহাটে সড়কে ওপর বুক সমান পানি জমে যাওয়া বান্দরবান সড়কে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। এদিকে সাঙ্গু নদীর ঢলে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার সড়ক সম্পূর্ণ যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। চন্দনাইশের বাগিচাহাট থেকে দোহাজারী অংশের সড়ক পানি ডুবে গেছে। স্মরণকালের রেকর্ড পরিমাণ পানি এখন কেরানীহাটে। প্রায় বুক সমান পানি কেরানীহাটেই। চন্দনাইশ, সাতকানিয়ার প্রায় ৯৫ ভাগ এলাকা পানিতে প্লাবিত। সাতকানিয়ার কেওছিয়া, পুরানগড়, বাজালিয়া, ছদাহা, কাশিইয়াশ ইউনিয়ন পুরোপুরি পানিতে তলিয়ে গেছে। দোহাজারী সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী সুমন সিংহ সড়ক দুটিতে যান চলাচল ব্যাহত হওয়ার তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, সড়ক তলিয়ে গেছে। বড় গাড়িগুলো ধীরগতিতে চললে ছোট যান চলাচল করতে পারছে না। পানি কমলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে। এছাড়া টানা বর্ষণে ডুবে গেছে উত্তর ও দক্ষিণ চট্টগ্রামের রেলপথও। ডুবে গেছে চন্দনাইশ, সাতকানিয়া, লোহাগড়া, হাটহাজারী, রাউজানসহ চট্টগ্রামের বিভিন্ন উপজেলা। এতে চরম দুর্ভোগে পড়েছে ওইসব এলাকার লাখ লাখ মানুষ। এছাড়া একাধিক স্থানে পাহাড়ধসের ঘটনাও ঘটেছে।

টানা বৃষ্টিপাত আর পাহাড়ি ঢলে চট্টগ্রামের ৮ উপজেলায় বিদ্যুতের খুঁটি ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। যার কারণে এসব এলাকায় বন্ধ রয়েছে বিদ্যুৎ সরবরাহ। অন্ধকাচ্ছন্ন হয়ে দুর্ভোগে পড়েছেন লাখো মানুষ। কোথাও হাঁটু সমান, আবার কোথাও কোমর সমান পানি উঠেছে চট্টগ্রামের এসব উপজেলায়। বন্ধ রয়েছে যান চলাচল।

পটিয়া উপজেলার কেলিশহর, হাইদগাঁও, আশিয়া, কাশিয়াইশ, জিরি, কোলাগাঁও, হাবিলাসদ্বীপ, খরনা, ছনহরা, ভাটিখাইন, কচুয়াই ইউনিয়নসহ বেশ কিচু এলাকায় টানা বৃষ্টি আর ঝড়ে গাছপালা ও ব্যাপক ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ঝড়ের কবলে পড়ে বৈদ্যুতিক খুঁটি ও তার ছিঁড়ে যাওয়ায় এসব এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। ফলে মানুষের স্বাভাবিক জীবনযাপন ব্যহত হচ্ছে। চট্টগ্রামের পটিয়া, সাতকানিয়া, লোহাগাড়া, চন্দনাইশ, বাঁশখালীর কয়েকটি এলাকা, বোয়ালখালী, রাঙ্গুনিয়া, রাউজান, হাটহাজারীর ও আনোয়ারার কিছু এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে।

চট্টগ্রাম পল্লীবিদ্যুৎ সমিতি পটিয়া-১ এর সিনিয়র জেনারেল ম্যানেজার আবু বক্কর সিদ্দিক বলেন, ভারি বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে এবং দমকা বাতাসে প্রায় অর্ধশতাধিক খুঁটি ভেঙে পড়েছে। এ ছাড়াও অন্তত তিন শতাধিক স্পটে বিদ্যুৎ সরবরাহ লাইনের তার ছিঁড়ে বিদ্যুৎ সরবরাহ মারাত্মক ব্যাহত হয়েছে। এ কারণে দক্ষিণ চট্টগ্রামের প্রায় ছয় লাখ বিদ্যুৎ গ্রাহকের মধ্যে অন্তত লাখো গ্রাহক বিদ্যুৎবিহীন রয়েছে। তিনি আরও বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত বিদ্যুৎ সরবরাহ লাইন মেরামতের কাজ চলছে। ঝড়ের কারণে বৈদ্যুতিক খুঁটি ভেঙে গেছে। এখনও অনেক স্থানেই বিদ্যুৎ নেই।

এদিকে, ভারি বর্ষণে প্লাবিত এলাকায় বিশুদ্ধ পানির সংকট দেখা দিয়েছে। একইসঙ্গে ঘরে পানি ঢুকে যাওয়ায় ব্যাহত হচ্ছে রান্নাসহ দৈনন্দিন কাজকর্ম। পানি কিছুটা কমে আসলেও এখনও দুর্ভোগ কমেনি নগরবাসীর। মঙ্গলবার বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে দেখা যায়, টানা বৃষ্টি ও জোয়ারের পানিতে নগরীর চকবাজার, বাকলিয়া, বাদুরতলাসহ নগরীর নিম্নাঞ্চলে প্রায় প্রতিটি দোকানে ও বাসায় পানি ঢুকেছে। নষ্ট হয়েছে অনেক দোকানের মালামাল। অনেক বাসার নিচতলায় পানির মোটর নষ্ট হয়ে গেছে। এতে ভবনে পানি তুলতে না পারায় সংকট তৈরি হয়েছে বিশুদ্ধ পানির সংকট।

স্থানীয়দের অভিযোগ, নালা-নর্দমা নিয়মিত পরিষ্কার না করায় অতিবৃষ্টিতে জলজট সৃষ্টি হয়েছে। এতে দোকানপাট ও বাসাবাড়িতে পানি ঢুকে পড়ে। সিটি কর্পোরেশন উদ্যোগ না নেওয়ার কারণে এ দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে নগরবাসীকে। এদিকে লোহাগাড়ায় বন্যার পানিতে ডুবে আসহাব মিয়া (৬৫) নামে এক কৃষক নিখোঁজ রয়েছেন। সোমবার (৭ আগস্ট) সন্ধ্যার দিকে নিখোঁজ হলেও এখনও সন্ধান মেলেনি। নিখোঁজ আসহাব মিয়া আমিরাবাদ ইউনিয়নের উত্তর আমিরাবাদ চট্টলা পাড়ার মৃত কালা মিয়ার ছেলে।

জানা গেছে, সোমবার সন্ধ্যার দিকে পদুয়া বাজার থেকে বাড়ি ফেরার পথে রাস্তায় পানির স্রোতে ভেসে যান তিনি। এরপর থেকে এখনও খোঁজ মেলেনি। নিখোঁজের সন্ধানে আশেপাশের এলাকায় তল্লাশি অভিযান চালানো হচ্ছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান এস এম ইউনুচ। তিনি জানান, ভারি বর্ষণের কারণে পাহাড়ি ঢলে আশেপাশের এলাকা প্লাবিত হওয়ায় একটু বেগ পেতে হচ্ছে। অন্যদিকে চট্টগ্রামের হালদা নদীর শাখা খালে পড়ে পানিতে ডুবে গেছে শাহেদ হোসেন বাবু (৪০) নামে এক খামারি।

নৌ পুলিশ জানিয়েছে, টানা বৃষ্টিতে ডুবে যাওয়া খামারের বেশকিছু গরু খালে ভেসে যায়। সেগুলো উদ্ধার করে ফেরার পথে এ দুর্ঘটনা ঘটে। সোমবার (৭ আগস্ট) সন্ধ্যায় রাউজান উপজেলার উরকিরচর এলাকায় হালদা নদী ও শাখা খালের সংযোগস্থলে এ ঘটনা ঘটে। নিখোঁজ খামারিকে উদ্ধারে ফায়ার সার্ভিস ও সদরঘাট থানা নৌ পুলিশের সদরঘাট থানার টিম তল্লাশি অভিযান চালাচ্ছে। নিখোঁজ শাহেদ রাউজানের উরকিরচর এলাকার বাসিন্দা। তিনি পেশায় কৃষি ও মৎস্য খামারি বলে জানিয়েছে নৌ পুলিশ। জানা গেছে, অতি ভারি বর্ষণে উরকিরচর গ্রামে শাহেদের গরুর খামার ডুবে যায়। খামারে থাকা কয়েকটি গরু পার্শ্ববর্তী খালে ভেসে যায়। গরুগুলো উদ্ধার করে শাহেদ আরও তিনজন সঙ্গীসহ সন্ধ্যায় নৌকায় করে ফেরার জন্য হালদার শাখা খালপাড়ে যান।

নৌ পুলিশের সদরঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) একরাম উল্লাহ বলেন, ‘উরকিরচরের চার নম্বর ওয়ার্ডে হালদা নদীর ওপর একটি ব্রিজ আছে। ব্রিজসংলগ্ন শাখা খালে নৌকায় ওঠার সময় শাহেদ পা পিছলে পড়ে স্রোতের টানে পানিতে তলিয়ে যান। এ সময় নৌকা উল্টে আরও তিন জন পানিতে পড়ে গেলেও তারা সাঁতার কেটে তীরে উঠতে সক্ষম হন। সদরঘাট নৌ থানা থেকে একটি টিম হালদা নৌ ফাঁড়ির পুলিশ সদস্যদের নিয়ে স্পিডবোটে করে নদী ও শাখা খালে নিখোঁজ ব্যক্তির সন্ধানে তল্লাশি চালাচ্ছে।
পথরেখা/আসো

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

পথরেখা : আমাদের কথা

আমাদের পোর্টালের নাম— pathorekha.com; পথরোখা একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। আমরা এই প্রতিষ্ঠানকে প্রতিদিনের সত্য-সংবাদের পথরেখা হিসেবে প্রমাণ করতে চাই। পথরেখা সারাদেশের পাঠকদের জন্য সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ এবং মতামত প্রকাশ করবে। পথরোখা নিউজ পোর্টাল হিসেবে ২০২৩ সালের জুন মাসে যাত্রা শুরু করলো। অচিরেই পথরেখা অনলাইন মিডিয়া হিসেবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের প্রক্রিয়া শুরু করবে। পথরোখা  দেশ কমিউনিকেশনস-এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান।
 
পথরোখা জাতীয় সংবাদের উপর তো বটেই এর সঙ্গে রাজনীতি, আন্তর্জাতিক, খেলাধুলা, কৃষি, বিনোদন, অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, তথ্য ও প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন বিভাগকেও গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে। মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিকতা এবং চৌকস ফটোগ্রাফিকে বিশেষ বিবেচনায় রাখে।
 
পথরোখা’র সম্পাদক আরিফ সোহেল এই সেক্টরে একজন খুব পরিচিত ব্যক্তিত্ব। সাংবাদিক হিসেবে তার দীর্ঘ ৩০ বছর কর্মজীবনে তিনি দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকা, আজকের কাগজ, রিপোর্ট২৪ ডটকম প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। এ ছাড়া তিনি সরকারী ক্রীড়া পাক্ষিক ‘ক্রীড়া জগত’ ও লাইফস্টাইল ম্যাগাজিক অপ্সরা নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। তিনি জনপ্রিয় অনলাইন দেশকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
 
পথরেখা দেশের মৌলিক মূল্যবোধ, বিশেষ করে জাতীয় সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। এছাড়াও, এটি দেশের নাগরিকের মানবিক ও নাগরিক অধিকারের পক্ষে কথা বলবে। ন্যায়পরায়ণতা, নির্ভুলতা এবং বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রাখতে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ। আমরা বিশ্বাস করি যে জনগণের বিশ্বাসযোগ্যতা আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। পথরেখা রাজনৈতিক ইস্যুতে নির্দলীয় অবস্থান বজায় রাখবে। একটি নিরপক্ষ অনলাইন হিসেবে আমরা নিজেদের কর্মকাণ্ডে প্রমাণ করার শতভাগ প্রছেষ্টা করব। তবে সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করেও কিছু ভুল হতেই পারে। যা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রাখছি সব মহলেই। সততা পথে অবিচল; আলোর পথে অবিরাম যাত্রায় আমাদের পাশে থাকুন; আমরা থাকব আপনাদের পাশে।
 
উল্লেখ্য, পথরেখা হিসেবে একটি প্রকাশনী দীর্ঘদিন থেকে প্রকাশিত হয়ে আসছে। এবার উদ্যোগ নেওয়া হলো অনলাইন অনলাইন নিউজ পোর্টাল হিসেবে প্রকাশ করার।