- |
- |
- জাতীয় |
- আন্তর্জাতিক |
- বিনোদন |
- ক্রীড়া |
- মত-দ্বিমত |
- শিক্ষা-স্বাস্থ্য |
- বিজ্ঞান-প্রযুক্তি |
- কৃষি বার্তা |
- অর্থ-বাণিজ্য-উন্নয়ন |
- সাহিত্য-সংস্কৃতি-সংগঠন |
- সারাদেশ |
মোয়াজ্জেম হোসেন রাসেল : বিশ্বকাপ ক্রিকেটের ট্রফি নিয়ে উচ্ছাসের মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশ। দ্বিতীয় দিনের মতো সোমবারও উচ্ছাস ছিল স্বপ্নের ট্রফি নিয়ে। শুধু ট্রফি দেখে নয়, এবার স্বপ্ন পূরণ করতে পারবে কি লাল সবুজ প্রতিনিধিরা। এখন সেটাই বড় আশা আর প্রশ্ন। বড় কোনো আসরের আগে ক্লাইমেক্সে ভরপুর থাকে বাংলাদেশের ক্রিকেট। যথারীতি এবারও তার ব্যত্যয় ঘটেনি। ওয়ানডে বিশ্বকাপের আর দুমাসও বাকি নেই। বৈশ্বিক ক্রীড়া মহাযজ্ঞ ঘিরে দলগুলো যখন শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতিতে ব্যস্ত, বাংলাদেশের তখনো ঠিক হয়নি কার হাতে উঠবে নেতৃত্বের আর্মব্যান্ড। নেতৃত্ব ইস্যুতে বিসিবিও যে কিছুটা অস্বস্তিতে আছে, তা এখন স্পষ্ট অনেকটাই। অথচ সুপার লিগে দাপট দেখিয়ে সরাসরি বিশ্বকাপ নিশ্চিত করা বাংলাদেশকে নিয়ে বিশ্বমঞ্চে বড় স্বপ্ন লাল-সবুজের সমর্থকদের। যার কিছুটা উত্তাপ টের পাওয়া যাচ্ছে বিশ্বকাপ ট্রফির বাংলাদেশ সফর ঘিরে। ১০০ দিনের বিশ্ব ভ্রমণের অংশ হিসেবে এখন বাংলাদেশে অবস্থান করছে আসন্ন ভারত বিশ্বকাপের ট্রফি। ট্যুরের প্রথম দিনে পদ্মাসেতু দর্শনের পর হোম অব ক্রিকেট গ্রাউন্ডে নেওয়া হয়েছিল ট্রফিটি। ক্রিকেট বিশ্বের শ্রেষ্ঠত্বের নিদর্শনটি ঘিরে ক্রিকেটারদের উচ্ছ্বাস ছিল চোখে পড়ার মতোন। গেল কদিন ধরেই ঢাকার আকাশের মন ভার।
মেঘলা দিনেও যেন মিরপুরে দ্যুতি ছড়ালো বিশ্বকাপ ট্রফি। সকালে শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে ক্রিকেটারদের ফটোসেশনের জন্য রাখা হয় ট্রফিটি। ড্রেসিংরুম থেকে হাস্যোজ্জল মুশফিকুর রহিম বয়ে নিয়ে আসেন ট্রফি। এরপর জাতীয় দলের খেলোয়াড়েরা একে একে ট্রফির সঙ্গে ছবি তুললেন। ছবি তোলার পর ক্রিকেটারদের অনেকেই অনুশীলনে যোগ দিলেন। তবে তাসকিন আহমেদ, তানজিম হাসান, শামীম হোসেন, তানজিদ হাসান ও রিশাদ হোসেন মঞ্চেই ছিলেন আরও বেশ কিছুটা সময়। ট্রফিটা নিয়ে বাড়তি উৎসাহ দেখা গেল পেসার তাসকিন আহমেদেরও। অনুশীলনে ফেরার আগে খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখছিলেন। পাশে দাঁড়ানো পরিচিত এক চিত্র সাংবাদিককে উদ্দেশ্য করে বললেন, ‘বিলম্ব না করে তাড়াতাড়ি ছবিটা তোলেন ভাই’। অন্যদিকে তানজিম সাকিব সতীর্থদের ছবি তুলে দিচ্ছিলেন। এরপর নিজেই ট্রফির সঙ্গে ছবি তুললেন। যুব দলের হয়ে বিশ্বকাপ জিতেছিলেন শামীম পাটোয়ারী। হাত উঁচিয়ে ধরেছেন মর্যাদার ট্রফিটাও। অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপজয়ী দলের এই সদস্য এখন নিয়মিত খেলছেন জাতীয় দলে। ক্রিকেটারদের ফটোসেশনে আবেগ চেপে রাখতে পারলেন না তিনি।
নিঃশ্বাস দূরত্বে বিশ্বকাপ পেয়ে চুমু এঁকে দিলেন তাতে। পরে দুই বিশ্বকাপের ছবি একত্র করে ফেসবুকে তা পোস্টও করেছেন তিনি। আর ক্যাপশনে লিখলেন, ‘এমন কাজ হাজার বা তারচেয়ে বেশিবার করতে ভালোবাসি। খুব দ্রুতই আবার হবে ইনশাআল্লাহ!’ এমন বার্তা দিয়ে শামীম যে আরও একবার বিশ্বকাপ জেতার প্রত্যাশা করেছেন তা অনায়াসেই বলা চলে। ট্রফি ঘিরে রোমাঞ্চ ছুঁয়ে গেছে সাবেক ক্রিকেটারদেরও। সাবেক অধিনায়ক ও নির্বাচক হাবিবুল বাশার সুমন এক প্রতিক্রিয়ায় বলেন, ‘ট্রফিটা ছুঁতে পেরে খুব ভালো লাগছে, একটা স্বপ্ন তো থাকে। যদি জয়ের পরে উন্মুক্ত ট্রফিটা ধরতে পারতাম তাহলে আরও ভালো লাগবে। একটু রোমাঞ্চ অনুভব করছি। আমাদের জন্য বিশ্বকাপ মনে হচ্ছে আজকে শুরু হয়ে গেল।’ পদ্মা সেতু হয়ে বিশ্বকাপ ট্রফি এসেছিল মিরপুরে। ড্রেসিংরুম থেকে ট্রফিটা অবশ্য মাঠে নিয়ে আসেন মুশফিকুর রহিম। বেশ সময় নিয়ে ট্রফিটা নিয়ে কদম বাড়িয়েছেন মুশফিক। ব্যাপারটা এমন যে হাতে যতক্ষণ বেশি সম্ভব রাখা যায়। মুশফিক ট্রফি আনার আগেই মঞ্চে ওঠেন এশিয়া কাপের প্রাথমিক দলের ক্যাম্পে থাকা ক্রিকেটাররা।
শেরেবাংলা স্টেডিয়ামের শহীদ জুয়েল স্ট্যান্ডের সামনে সাজানো মঞ্চে মুশফিক ট্রফি রাখেন। এরপর ক্রিকেটাররা সবাই একসঙ্গে তুললেন ছবি। তানজিদ হাসান তামিম বা তানজিম হাসান সাকিবের মতো একেবারে তরুণ ক্রিকেটারদের সঙ্গে থাকলেন মুশফিক, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের মতো অভিজ্ঞরাও। তাঁদের সঙ্গে যুক্ত হন মাঠে থাকা কোচিং স্টাফের সদস্যরা। ছুটি কাটিয়ে না ফেরায় ছিলেন না প্রধান কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে। একসঙ্গে তোলার পর আলাদা করেও ছবি তোলেন ক্রিকেটাররা। কখনো তানজিম হাসান সাকিব তো কখনো ফটোগ্রাফারের দায়িত্ব নেন রিশাদ হোসেন। ট্রফি ছেড়ে যাওয়ার আগে তাতে চুমুই এঁকে দেন শামীম হোসেন পাটোয়ারী। ট্রফি সামনে রেখে নিজের অনুভূতি জানিয়েছেন মুশফিকুর রহিমও। অভিজ্ঞতা আর তারুণ্যের মেলবন্ধনে বিশ্বকাপে বাংলাদেশের স্বপ্নের সীমানাও ছড়িয়ে দিয়ে গেছেন এই অভিজ্ঞ ক্রিকেটার। মিরপুরে ট্রফির সঙ্গে ছবি তোলার সুযোগ পাচ্ছেন ক্রিকেটার, বিসিবি পরিচালক, কর্মকর্তা-কর্মচারী, ক্রিকেট সংগঠক ও ক্রীড়া সাংবাদিকদের। এরপর শেষের দিন মঙ্গলবার ঢাকার বসুন্ধরা শপিং কমপ্লেক্সে সর্বসাধারণের জন্য ট্রফি প্রদর্শন করা হবে। নির্দিষ্ট একটি দূরত্ব থেকে ভক্তরা এর সঙ্গে ছবি তুলতে পারবেন। এজন্য কোনো টিকিট লাগবে না। অধিক সংখ্যক মানুষকে ট্রফি দেখা ও ছবি তোলার সুযোগ করে দিতেই বসুন্ধরা শপিং কমপ্লেক্সে ট্রফি প্রদর্শনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানায় বিসিবি। এদিকে বিশ্বকাপে ছেলেদের কাছে সেরাটাই চান জ্যোতি।
কয়েকমাস পরই বিশ্বকাপ ক্রিকেট। ছেলেদের বিশ্বকাপ তাতে কি! জার্সিটা যখন লাল-সবুজের তখন আবেগটা ঠিক একইরকম। বাংলাদেশ নারী দলের অধিনায়ক নিগার সুলতানা জ্যোতির কন্ঠেও পাওয়া গেল তেমন আবেগের আভাস। বিশ্বকাপ ট্রফিকে সামনাসামনি দেখে নারী দলের অধিনায়ক জানিয়েছেন বিশ্বকাপে তার প্রত্যাশার কথা। ২০২৩ সালের বিশ্বকাপ নিয়ে বাংলাদেশের মানুষের প্রত্যাশা শুরু থেকেই ছিল তুঙ্গে। সাধারণ মানুষের মতো ক্রিকেটাররাও বিশ্বাস করেন যে এবার ভালো করা সম্ভব। নিজেদের চেনা কন্ডিশনে বিশ্বকাপ, তাই সেই স্বপ্নটা এবার আরও জোরালো। ওয়ানডে ফরম্যাটের বিশ্বকাপ বলেই কিনা বাংলাদেশ দল থেকে একটু বেশিই প্রত্যাশা রাখছেন জ্যোতি। বর্তমানে টাইগারদের ফর্মটাই স্বপ্ন দেখাচ্ছে তাকে, ‘এক্সপেক্টেশন বাংলাদেশের কাছ থেকে আমাদের সবার খেলোয়াড় হিসেবে অনেক বেশি, প্লাস হচ্ছে জনগণেরও অনেক বেশি। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে আমার মনে হয় সেরা দলটাই বোধ হয় এবার। যারা তরুণ খেলোয়াড় তারা খুব ভালো ছন্দে আছে’।
পথরেখা/আসো
পথরেখা : আমাদের কথা