• রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪
    ৭ আশ্বিন ১৪৩১
    ঢাকা সময়: ০৫:৩০

বৃষ্টিতে চীনে নিহত ৭৮

পথরেখা অনলানইন : রাজধানী বেইজিংসহ চীনের উত্তরাঞ্চলে রেকর্ডভাঙা বর্ষণে গত দু সপ্তাহে নিহত হয়েছেন ৭৮ জন, এবং এখনও নিখোঁজ রয়েছেন অন্তত ১৬ জন। শুক্রবার দেশটির আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, অদূর ভবিষ্যতে পরিস্থিতি আরও খারাপ হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। কারণ আগামী কয়েক দিনের মধ্যে একটি ঘুর্ণিঝড় এগিয়ে আসার আভাস পেয়েছে আবহাওয়া দপ্তর। ফলে সামনের কয়েক দিনও বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকবে রাজধানী বেইজিং ও তার সংলগ্ন হেবেই প্রদেশ ও আশপাশের এলাকাগুলোতে। গত দু সপ্তাহের প্রবল বর্ষণে রাজধানী বেইজিংয়ে সবচেয়ে বেশি মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে বলে নিশ্চিত করেছে চীনের সরকারি সংবাদামাধ্যম সিনহুয়া। শুক্রবার এক প্রতিবেদনে সিনহুয়া জানিয়েছে, গত ২৫ জুলাই থেকে এ পর্যন্ত প্রবল বর্ষণ ও বন্যায় বেইজিংয়ের বিভিন্ন এলাকায় মৃত্যু হয়েছে ৩৩ জনের।
 
এই তালিকায় বেইজিংয়ের পরেই রয়েছে হেবেই। রাজধানীর সংলগ্ন এই প্রদেশটি থেকে এ পর্যন্ত ২৯ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এছাড়া চীনের উত্তরাঞ্চলীয় অপর প্রদেশ ঝিলিনে ১৪ জন এবং তার পার্শ্ববর্তী লিয়াওনিং প্রদেশে ২ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে সিনহুয়া। বেইজিং-হেবেইয়ের বিভিন্ন এলাকায় মৃতদেহের সন্ধানে এখনও টহল দিয়ে বেড়াচ্ছেন উদ্ধারকর্মীরা। গত প্রায় দু মাস টানা ও দীর্ঘ তাপদাহে পুড়েছে  রাজধানী বেইজিং ও তার সংলগ্ন প্রদেশ হেবেইসহ চীনের উত্তরাঞ্চলের বিভিন্ন এলাকা। জুলাইয়ের শেষ দিকে ঘূর্ণিঝড় দকসুরির প্রভাবে শুরু হয় বৃষ্টি। গত ৩০ জুলাই থেকে ‍বৃষ্টি শুরু হয় বেইজিং-হেবেইয়ে। তারপর ২ আগস্ট ১৪০ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাতের রেকর্ড হয় বেইজিংয়ে। সেই ধাক্কা শেষ না হতেই গত ৫ আগস্ট খানুন নামের আরও একটি ঝড় আঘাত হানে চীনের উত্তরাঞ্চলীয় উপকূলে। ফলে চলতি আগস্টের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত বর্ষণ অব্যাহত রয়েছে বেইজিং-হেবেইয়ে।
 
টানা দু-সপ্তাহ ধরে প্রবল বর্ষণ, বন্যা ও ভূমিধসে প্রাণহানির পাশাপাশি ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণও বিপুল। বেইজিং, হেবেই, ঝিলিনের অপেক্ষাকৃত নিচু এলাকার সড়কগুলো কাদা-আবর্জনায় ঢেকে গেছে। কৃষি ও পশু-পাখির খামারগুলো ধ্বংস হয়ে গেছে, অবকাঠামোগত ক্ষয়ক্ষীতও হয়েছে বিস্তর। উপদ্রুত বিভিন্ন এলাকা সরেজমিনে ঘুরে বার্তাসংস্থা এএফপি জানিয়েছে, গ্রাম ও শহরতলীর অনেক এলাকায় ত্রাণ ও সহায়তা অনিয়মিত থাকায় সেসব অঞ্চলের পরিস্থিতি অনেক বেশি বিপর্যয়কর। বন্যা উপদ্রুতদের সহায়তার জন্য চীনের সরকার ১০০ কোটি ইউয়ানের (১৩ কোটি ৯০ লাখ ডলার) একটি তহবিল গঠন করেছে। ক্ষতিগ্রস্তদের গৃহায়ন, ফসল ও খামারের ক্ষতিপূরণ ও কৃষিজ যন্ত্রপাতি বিতরণ বাবদ এই অর্থ ব্যয় করা হবে বলে জানিয়েছে সিনহুয়া।
পথরেখা/অআ

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

পথরেখা : আমাদের কথা

আমাদের পোর্টালের নাম— pathorekha.com; পথরোখা একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। আমরা এই প্রতিষ্ঠানকে প্রতিদিনের সত্য-সংবাদের পথরেখা হিসেবে প্রমাণ করতে চাই। পথরেখা সারাদেশের পাঠকদের জন্য সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ এবং মতামত প্রকাশ করবে। পথরোখা নিউজ পোর্টাল হিসেবে ২০২৩ সালের জুন মাসে যাত্রা শুরু করলো। অচিরেই পথরেখা অনলাইন মিডিয়া হিসেবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের প্রক্রিয়া শুরু করবে। পথরোখা  দেশ কমিউনিকেশনস-এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান।
 
পথরোখা জাতীয় সংবাদের উপর তো বটেই এর সঙ্গে রাজনীতি, আন্তর্জাতিক, খেলাধুলা, কৃষি, বিনোদন, অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, তথ্য ও প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন বিভাগকেও গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে। মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিকতা এবং চৌকস ফটোগ্রাফিকে বিশেষ বিবেচনায় রাখে।
 
পথরোখা’র সম্পাদক আরিফ সোহেল এই সেক্টরে একজন খুব পরিচিত ব্যক্তিত্ব। সাংবাদিক হিসেবে তার দীর্ঘ ৩০ বছর কর্মজীবনে তিনি দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকা, আজকের কাগজ, রিপোর্ট২৪ ডটকম প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। এ ছাড়া তিনি সরকারী ক্রীড়া পাক্ষিক ‘ক্রীড়া জগত’ ও লাইফস্টাইল ম্যাগাজিক অপ্সরা নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। তিনি জনপ্রিয় অনলাইন দেশকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
 
পথরেখা দেশের মৌলিক মূল্যবোধ, বিশেষ করে জাতীয় সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। এছাড়াও, এটি দেশের নাগরিকের মানবিক ও নাগরিক অধিকারের পক্ষে কথা বলবে। ন্যায়পরায়ণতা, নির্ভুলতা এবং বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রাখতে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ। আমরা বিশ্বাস করি যে জনগণের বিশ্বাসযোগ্যতা আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। পথরেখা রাজনৈতিক ইস্যুতে নির্দলীয় অবস্থান বজায় রাখবে। একটি নিরপক্ষ অনলাইন হিসেবে আমরা নিজেদের কর্মকাণ্ডে প্রমাণ করার শতভাগ প্রছেষ্টা করব। তবে সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করেও কিছু ভুল হতেই পারে। যা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রাখছি সব মহলেই। সততা পথে অবিচল; আলোর পথে অবিরাম যাত্রায় আমাদের পাশে থাকুন; আমরা থাকব আপনাদের পাশে।
 
উল্লেখ্য, পথরেখা হিসেবে একটি প্রকাশনী দীর্ঘদিন থেকে প্রকাশিত হয়ে আসছে। এবার উদ্যোগ নেওয়া হলো অনলাইন অনলাইন নিউজ পোর্টাল হিসেবে প্রকাশ করার।