- |
- |
- জাতীয় |
- আন্তর্জাতিক |
- বিনোদন |
- ক্রীড়া |
- মত-দ্বিমত |
- শিক্ষা-স্বাস্থ্য |
- বিজ্ঞান-প্রযুক্তি |
- কৃষি বার্তা |
- অর্থ-বাণিজ্য-উন্নয়ন |
- সাহিত্য-সংস্কৃতি-সংগঠন |
- সারাদেশ |
বিশেষ প্রতিবেদন : বিশ্বকাপের আগে একমাত্র টুর্নামেন্ট এশিয়া কাপের দলে সুযোগ পাননি মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। তাতে করে বিশ^কাপের দল তার থাকা নিয়ে তৈরি হয়েছে অনিশ্চয়তা। তবে ‘চিন্তাভাবনা করেই তাকে বাদ দেওয়া হয়েছে’ বলে জানা গেছে। কন্ডিশনিং ক্যাম্পের আগে থেকেই অনুশীলন করছিলেন রিয়াদ। আটঘাট বাঁধা অনুশীলনের দৃশ্য দেখে আলোচনা শুরু হয়েছিল, এশিয়া কাপ দিয়েই কি তবে আবার দলে ফিরছেন এই অলরাউন্ডার? এই বছরে মার্চে ইংল্যান্ড সিরিজের পর বিশ্রামের মোড়কে তাঁকে বাদ দেয় টিম ম্যানেজমেন্ট। কিন্তু আরও কয়েকজনের ওপর পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালিয়ে সুফলও পায়নি তারা। তাই মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ আবারও ফেরার প্রশ্নে শুরু হয় আলোচনা। তবে শনিবার প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নুর এশিয়া কাপের দল ঘোষণায় এই আলোচনার আপাতত ইতি ঘটল। আগামী ৩০ আগস্ট থেকে পাকিস্তÍান ও শ্রীলঙ্কায় অনুষ্ঠেয় এশিয়া কাপের দলে সুযোগ হয়নি তার। সাত নম্বরের পজিশনে ফিনিশারের ভূমিকায় আলোচনায় ছিলেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। তবে ওই পজিশনের জন্য ১৭ সদস্যের দলে শামীম হোসেন পাটোয়ারী, আফিফ হোসেন ধ্রুব ও শেখ মেহেদী হাসানকে সুযোগ দিয়েছে নির্বাচক প্যানেল। অভিজ্ঞ মাহমুদউল্লাহকে দলে না রাখার নানা ব্যাখ্যা দিয়েছেন নির্বাচকরা।
এ বিষয়ে প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদিন নান্নু জানালেন, প্রথমে টিম ম্যানেজমেন্টের পরিকল্পনা, পরে অধিনায়ক ও হেড কোচের সঙ্গে আলোচনা করেই মাহমুদউল্লাহকে ওয়ানডে দল থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। শনিবার সকালে মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামের সংবাদ সম্মেলনকক্ষে মিনহাজুল আবেদীন নান্নু বলেন, ‘মাহমুদউল্লাহকে নিয়ে অনেক লম্বা আলোচনা হয়েছে। টিম ম্যানেজমেন্ট আমাদের একটা পরিকল্পনা দেয়, সামনে কোন সিরিজে খেলবে দল। এই চিন্তাভাবনা করেই কিন্তু মাহমুদউল্লাহকে বাদ করা হয়েছে। ম্যানেজমেন্টের পরিকল্পনাকে আমরা মনে করেছি অবশ্যই ভালো। ওদের সঙ্গে যেহেতু প্রধান কোচের একটা পরিকল্পনা আছে দল কীভাবে পরিচালনা করবে। অধিনায়কের সঙ্গে আলোচনা করে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’ যে তিন খেলোয়াড়কে টিম ম্যানেজমেন্ট সুযোগ দিয়েছে, পারফরম্যান্সে তাঁদের চেয়ে এগিয়ে ছিলেন মাহমুদউল্লাহ। তবু তাঁকে কেন রাখা হয়নি, এমন প্রশ্নে মিনহাজুল আবেদীন বললেন, ‘বিশ্বকাপের দল না, এটা এশিয়া কাপের দল। বিশ্বকাপের দল দিলে এটা নিয়ে জানানো হবে। টিম ম্যানেজমেন্ট আমাদের যেভাবে পরিকল্পনা দেয়, সেই আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতেই এই দল নির্বাচন করা হয়েছে।’
তবে ৭ নম্বর পজিশনে আলোচনায় থাকা সৌম্য সরকারও সুযোগ পাননি এশিয়া কাপের দলে। দলে একমাত্র নতুন মুখ তানজিদ হাসান তামিম। সবশেষ ওয়ানডে সিরিজের দল থেকে বাদ পড়েছেন তাইজুল ইসলাম। এদিকে নীরবেই কি শেষ মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ অধ্যায় শেষ হয়ে যাবে? এখন প্রশ্ন উঠেছে, মাহমুদউল্লাহ অধ্যায় কি তাহলে নীরবেই শেষ হয়ে যাচ্ছে? লম্বা ক্যারিয়ারে বাংলাদেশের ক্রিকেটের গুরুত্বপূর্ণ একটা অংশ ছিলেন তিনি। বিশেষ করে আইসিসি ইভেন্টগুলোতে। যার শুরুটা হয়েছিল ২০০৭ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে। তবে নিজের গুরুত্ব জানান দেন ২০১১ সালে চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে ইংল্যান্ডের বিপক্ষের ম্যাচ দিয়ে। সেই ম্যাচে শফিউল ইসলামকে সঙ্গে নিয়ে ২ উইকেটের জয় তুলে আনেন রিয়াদ। এরপর ২০১৫ সালের বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়ায় ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ক্যারিয়ারের প্রথম শতক তুলে নেন রিয়াদ। একই আসরে নিউজিল্যান্ডের হ্যামিল্টনেও এই অভিজ্ঞ ক্রিকেটার দেখা পান ম্যাজিক ফিগারের। পরবর্তীতে ২০১৭ সালে ইংল্যান্ডের ওভালে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে রিয়াদ আরেকটি সেঞ্চুরি করেন। সবমিলিয়ে আইসিসির বড় টুর্নামেন্টে ৩ সেঞ্চুরি আছে রিয়াদের। তবে সেসব সোনালি দিন পেরিয়ে রিয়াদ পৌঁছে গেছেন ক্যারিয়ারের অন্তিম লগ্নে।
এখন যে অবস্থানে পৌছে গেছেন যেখান থেকে ফেরার সম্ভাবনা আসলে খুবই কম। কেননা এই মুহূর্তে রিয়াদের বয়স ৩৭, যার প্রভাব পড়েছে তার ফিটনেসেও। সে কারণে রিয়াদের পরিবর্তে নতুনদের পরখ করে দেখছে বিসিবি। সবশেষ কয়েক সিরিজে সেটাই লক্ষ্য করা গেছে। আসন্ন এশিয়া কাপ থেকেও ছিটকে পড়বেন রিয়াদ, তা আগে থেকেই গুঞ্জন ছিল। শেষ পর্যন্ত সেটিই সত্যি হলো। রিয়াদ মাঠে থাকবেন কি না সেটা সময়ের হাতে তোলা থাক। তবে রিয়াদ থাকবেন চট্টগ্রাম হয়ে কার্ডিফ থেকে হ্যামিল্টনে। থাকবেন ২০১৭-এর নিদাহাস ট্রফির শ্রীলঙ্কা ম্যাচের পরিচিত কিছু দৃশ্যে। যার ব্যাটে একসময় কোটি ভক্তের মুখে ফুটেছিল আনন্দের ঝিলিক। যিনি জেমস অ্যান্ডারসন থেকে ট্রেন্ট বোল্ট সবাইকে দেখিয়েছেন লড়াইয়ের তেজ।
পথরেখা/আসো
পথরেখা : আমাদের কথা