• মঙ্গলবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪
    ৮ আশ্বিন ১৪৩১
    ঢাকা সময়: ১৫:০৯

বন্ধ হয়ে গেল বরগুনা-ঢাকা রুটে লঞ্চ চলাচল

  • জাতীয়       
  • ২৩ আগস্ট, ২০২৩       
  • ২৪
  •       
  • ২৩-০৮-২০২৩, ০৯:৩২:৩০

পথরেখা অনলাইন : নানা জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে বন্ধ হয়ে গেল বরগুনা-ঢাকা রুটের লঞ্চ চলাচল। পদ্মাসেতু চালু হওয়ার পর থেকেই এ নৌ-রুটের লঞ্চ চলাচল বন্ধের গুঞ্জন ওঠে। পরে পদ্মা সেতু চালু হলেও এই রুটে চলছিল লঞ্চ। তবে মঙ্গলবার (২২ আগস্ট) লঞ্চ চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রীরা। পাশাপাশি ক্ষতির আশঙ্কা করছেন স্থানীয় ব্যবসায়ীরা। প্রতিদিন বিকেল ৩টা ও ৪টায় রাজধানীর উদ্দেশ্য দুটি লঞ্চ ছেড়ে যেত বরগুনা নদী বন্দর থেকে। মঙ্গলবার বিকেল থেকে লঞ্চ চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এতে করে পণ্য পরিবহনে ব্যয় বৃদ্ধির আশঙ্কা করছেন স্থানীয় ব্যবসায়ীরা। লঞ্চ কর্তৃপক্ষ বলছেন, জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির কারণে গত এক বছরে কোটি কোটি টাকার লোকসান হয়েছে তাদের। এছাড়াও আশানুরূপ যাত্রীও পাওয়া যাচ্ছে না। তাই বাধ্য হয়ে লঞ্চ চলাচল বন্ধ করা হয়েছে। তবে জ্বালানি তেলের দাম কমলে পুনরায় লঞ্চ চলাচল স্বাভাবিক হতে পারে বলেও জানিয়েছে তারা। 
 
বরগুনা নদী বন্দরে আসা আতিকুর রহমান নামে এক যাত্রী বলেন, জরুরি প্রয়োজন ছাড়া মানুষ বাসে না গিয়ে লঞ্চে যাতায়াত করতো। কিন্তু অনির্দিষ্টকালের জন্য লঞ্চ চলাচল বন্ধের খবরে চরম ভোগান্তিতে পড়েছি আমরা। এখন ফিরে যেতে হচ্ছে। বাস ছাড়া তো আর উপায় নেই। আরেক যাত্রী লিমন বলেন, লঞ্চ যাত্রা তুলনামূলকভাবে আরামদায়ক। নিরাপদ যাতায়াতের জন্য মানুষ এখনো লঞ্চে যাতায়াত করে। কিন্তু বরগুনায় লঞ্চ চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় যাত্রীদের দুর্ভোগের শেষ নেই। অসুস্থ রোগীদের কম খরচে লঞ্চে ঢাকা নেওয়া যেত। এখন আর সে উপায় নেই। এম কে শিপিং লাইন্স কোম্পানির বরগুনার ব্যবস্থাপক এনায়েত হোসেন বলেন, আগে এই পথে চলাচলকারী একেকটি লঞ্চে বরগুনা নদীবন্দর ঘাট থেকেই প্রতিদিন ৭০০ থেকে ৮০০ যাত্রী হতো। পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পর ২০০ থেকে ৩০০ যাত্রী হচ্ছে। তাছাড়া তেলের দাম বৃদ্ধিতে লোকসান হচ্ছে কোম্পানির। তাই মালিকপক্ষ এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। 
 
বরগুনা ব্যবসায়ী সমিতির সহ-সভাপতি জহিরুল হক পনু বলেন, এই পথের লঞ্চ চলাচল অব্যাহত থাকা প্রয়োজন। প্রাচীন এই নৌপথ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বরগুনার ব্যবসা-বাণিজ্য হুমকির মুখে পড়বে। পণ্য পরিবহনের ব্যয় বৃদ্ধি পেয়ে ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত হবে। যার প্রভাব পড়বে বাজারে। এতে করে ক্রেতারাও ক্ষতির মুখে পড়বেন। বরগুনা নদী বন্দর কর্মকর্তা নিয়াজ মোহাম্মদ খান বলেন, লঞ্চ চলাচল বন্ধ করার পর আমি এম কে শিপিং লাইন্স কোম্পানির মালিককে বেশ কয়েকবার ফোন করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। তার সঙ্গে এখন পর্যন্ত যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। এরপর আমি বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে লিখিতভাবে জানিয়েছি। এম কে শিপিং লাইন্স কোম্পানির স্বত্বাধিকারী মাসুম খান বলেন, আজ থেকে আমরা ঢাকা-বরগুনা রুটের লঞ্চ চলাচল বন্ধ রেখেছি। আগে ৬ হাজার লিটার দিয়ে আসা-যাওয়া করতাম। জ্বালানির দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় সেখানে এখন ৩ হাজার লিটার দিয়ে আসা-যাওয়া করি। তাতেও প্রতিটি ট্রিপে দেড় থেকে দুই লাখ টাকার লোকসান হয়। গত মাসে ৩৮ লাখ টাকা লোকসান হয়েছে। তার ওপর কয়েক কোটি টাকার তেলের দাম বাকি রয়েছে। এতো লোকসান দিয়ে আর লঞ্চ চালাতে পারছি না।
পথরেখা/অআ

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

পথরেখা : আমাদের কথা

আমাদের পোর্টালের নাম— pathorekha.com; পথরোখা একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। আমরা এই প্রতিষ্ঠানকে প্রতিদিনের সত্য-সংবাদের পথরেখা হিসেবে প্রমাণ করতে চাই। পথরেখা সারাদেশের পাঠকদের জন্য সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ এবং মতামত প্রকাশ করবে। পথরোখা নিউজ পোর্টাল হিসেবে ২০২৩ সালের জুন মাসে যাত্রা শুরু করলো। অচিরেই পথরেখা অনলাইন মিডিয়া হিসেবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের প্রক্রিয়া শুরু করবে। পথরোখা  দেশ কমিউনিকেশনস-এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান।
 
পথরোখা জাতীয় সংবাদের উপর তো বটেই এর সঙ্গে রাজনীতি, আন্তর্জাতিক, খেলাধুলা, কৃষি, বিনোদন, অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, তথ্য ও প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন বিভাগকেও গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে। মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিকতা এবং চৌকস ফটোগ্রাফিকে বিশেষ বিবেচনায় রাখে।
 
পথরোখা’র সম্পাদক আরিফ সোহেল এই সেক্টরে একজন খুব পরিচিত ব্যক্তিত্ব। সাংবাদিক হিসেবে তার দীর্ঘ ৩০ বছর কর্মজীবনে তিনি দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকা, আজকের কাগজ, রিপোর্ট২৪ ডটকম প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। এ ছাড়া তিনি সরকারী ক্রীড়া পাক্ষিক ‘ক্রীড়া জগত’ ও লাইফস্টাইল ম্যাগাজিক অপ্সরা নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। তিনি জনপ্রিয় অনলাইন দেশকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
 
পথরেখা দেশের মৌলিক মূল্যবোধ, বিশেষ করে জাতীয় সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। এছাড়াও, এটি দেশের নাগরিকের মানবিক ও নাগরিক অধিকারের পক্ষে কথা বলবে। ন্যায়পরায়ণতা, নির্ভুলতা এবং বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রাখতে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ। আমরা বিশ্বাস করি যে জনগণের বিশ্বাসযোগ্যতা আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। পথরেখা রাজনৈতিক ইস্যুতে নির্দলীয় অবস্থান বজায় রাখবে। একটি নিরপক্ষ অনলাইন হিসেবে আমরা নিজেদের কর্মকাণ্ডে প্রমাণ করার শতভাগ প্রছেষ্টা করব। তবে সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করেও কিছু ভুল হতেই পারে। যা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রাখছি সব মহলেই। সততা পথে অবিচল; আলোর পথে অবিরাম যাত্রায় আমাদের পাশে থাকুন; আমরা থাকব আপনাদের পাশে।
 
উল্লেখ্য, পথরেখা হিসেবে একটি প্রকাশনী দীর্ঘদিন থেকে প্রকাশিত হয়ে আসছে। এবার উদ্যোগ নেওয়া হলো অনলাইন অনলাইন নিউজ পোর্টাল হিসেবে প্রকাশ করার।