• সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪
    ৯ পৌষ ১৪৩১
    ঢাকা সময়: ০১:২৫

উৎসবের অপেক্ষায় বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনা

মোয়াজ্জেম হোসেন রাসেল : দক্ষিণ এশিয়ার প্রথম ক্লাব হিসেবে স্টেডিয়াম নির্মান করে আগেই ইতিহাসের অংশ হয়ে গিয়েছিলেন। দেশের ঘরোয়া আসরের একাধিক ম্যাচ আয়োজন করার পর অপেক্ষায় ছিল আন্তর্জাতিক ম্যাচের। এবার সেই আশাও পূরণ হতে যাচ্ছে। আন্তর্জাতিক ম্যাচের অভিষেকের অপেক্ষা ফুরাচ্ছে বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনার। বাংলাদেশ-আফগানিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে আন্তর্জাতিক ফুটবলে অভিষেক হতে যাচ্ছে ভেন্যুটির। এক ভিডিও বার্তায় এমনটাই জানিয়েছেন বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সহ-সভাপতি এবং জাতীয় দল কমিটির চেয়ারম্যান কাজী নাবিল আহমেদ।
 
সেপ্টেম্বরে ফিফা উইন্ডোতে আফগানিস্তানের বিপক্ষে দুইটি প্রীতি ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ জাতীয় দল। এই দুইটি ম্যাচই হবে কিংস অ্যারেনায়। ৪ ও ৭ সেপ্টেম্বরে আয়োজিত হবে ম্যাচ দুটি। ইতোমধ্যেই ম্যাচ দুটি আয়োজনের জন্য অনুমোদন মিলেছে বলে জানিয়েছেন বসুন্ধরা কিংসের মিডিয়া ও মার্কেটিং ম্যানেজার আহমেদ শায়েক। এছাড়াও বাফুফের পক্ষ থেকে জানিয়ে দেয়া হয়েছে ম্যাচের ভেন্যু হচ্ছে বসুন্ধরা কিংস। এক ভিডিও বার্তায় কাজী নাবিল বলেন, ‘আগামী ৪ এবং ৭ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ বনাম আফগানিস্তান দুটি ফিফা ফ্রেন্ডলি ম্যাচের আয়োজন করা হয়েছে। ম্যাচ দুটি আয়োজিত হবে বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনা স্টেডিয়ামে। ফুটবল দলের ক্যাম্প হবে ঢাকা রিজেন্সি হোটেলে। অনুশীলন হবে বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনায়’।
 
আফগানিস্তান দল আসবে আগামী ২৬ আগস্ট। তারাও একই হোটেলে অবস্থান করবে এবং একই ভেন্যুতে অনুশীলন করবে। এর আগে ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে প্রিমিয়ার লিগে বসুন্ধরা কিংস ও বাংলাদেশ পুলিশ এফসির ম্যাচ দিয়ে যাত্রা শুরু হয় কিংস অ্যারেনার। এরপর টানা দুই মৌসুম কিংস অ্যারেনায় হোম ভেন্যু হিসেবে খেলেছে বসুন্ধরা কিংস ও শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্র। দেড় বছরের ব্যবধানে আন্তর্জাতিক ম্যাচেরও স্বাদ পেতে যাচ্ছে আধুনিক এই মাঠ। এই মাঠেই সোমবার থেকে অনুশীলন শুরু করেছে বাংলাদেশ জাতীয় দল। বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামের সংস্কার কাজ শুরু হওয়ার পর থেকে বেশিরভাগ আন্তর্জাতিক ম্যাচই আয়োজিত হয়েছে সিলেট জেলা স্টেডিয়ামে। তবে সেই স্টেডিয়ামের মান নিয়ে সন্তুষ্ট নন ফুটবলার এবং কোচিংস্টাফরা। তাদের সেইসব দাবি মাথায় নিয়ে আধুনিক স্টেডিয়াম কিংস অ্যারেনাই বাফুফের প্রথম পছন্দের তালিকায় ছিল। অপেক্ষা ছিল কিংস অ্যারেনার আন্তর্জাতিক ম্যাচ আয়োজনের জন্য এএফসি এবং ফিফার অনুমতির। সেই অনুমতি মিলেছে। এবার কিংস অ্যারেনায় আন্তর্জাতিক ম্যাচ আয়োজনে কোনও বাধা নেই।
 
কিংস অ্যারিনায় এরই মধ্যে ক্লোজ ডোর অনুশীলন করেছে লাল সবুজ প্রতিনিধিরা। বসুন্ধরা কিংস অ্যারিনায় আন্তর্জাতিক ম্যাচের অভিষেক হবে দুই দেশের লড়াই দিয়ে। কিংস অ্যারিনায় জাতীয় দলের অনুশীলন শুরু হয়েছে। কোচ হ্যাভিয়ে ক্যাবরেরা ৩২ জন খেলোয়াড়কে ক্যাম্পে ডেকে অনুশীলনে নামিয়েছেন। পারফরমেন্স যাচাই করে এখান থেকেই চূড়ান্ত দল ঘোষণা হবে; যারা আফগানিস্তানের বিপক্ষে খেলবেন। বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-২৩ দল এশিয়ান গেমস ও ২০২৬ বিশ্বকাপের বাছাইপর্বে ম্যাচে মালদ্বীপের বিপক্ষে লড়বে জাতীয় দল। কোচ ক্যাবরেরার কাছে তাই দুটি প্রীতি ম্যাচের গুরুত্ব অনেক। প্রথম দিনে ফুটবলারদের অনুশীলন পর্যাবেক্ষণ করেন বাফুফের সহ-সভাপতি ও বসুন্ধরা কিংসের সভাপতি ইমরুল হাসান। তিনি বলেন, ‘আফগানিস্তান যথেষ্ট শক্তিশালী দল। প্রীতি ম্যাচ হলেও বাংলাদেশের ফুটবলারদের এখানে কিছু শেখার আছে। ভুলত্রুটি শুধরে সামনে প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচ খেলতে পারবে। আন্তর্জাতিক ম্যাচের ভেন্যু হিসেবে স্বীকৃতি পেতে চলেছে বসুন্ধরা কিংস অ্যারিনা। আমার বিশ্বাস অভিষেকটা স্মরণীয় হবে বাংলাদেশের জয় দিয়ে।’ এছাড়া বাংলাদেশের ম্যাচ সামনে রেখে শাটল সার্ভিস চালু করবে বসুন্ধরা। বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনায় বাংলাদেশ-আফগানিস্তানের মধ্যকার ফিফা ফ্রেন্ডলি ম্যাচ দিয়ে স্টেডিয়ামটির আন্তর্জাতিক ম্যাচের অভিষেক হতে যাচ্ছে।
 
ইতিহাস গড়া এই ম্যাচে গ্যালারিতে দর্শক উপস্থিতিতে কোনো বিঘ্ন না থাকে, তা নিশ্চিত করতে শাটল সার্ভিস চালু করছে বসুন্ধরা। বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামের সংস্কার কাজ শুরু হওয়ার পর থেকেই বাংলাদেশ জাতীয় দলের খেলাগুলো ঢাকার বাইরে আয়োজিত হচ্ছিল। গ্যালারিতে তেমন দর্শক উপস্থিতি ছিল না। বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনা আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পাওয়ায় আবারও ঢাকায় খেলা ফিরছে। জানা গেছে আফগানিস্তানের বিপক্ষে দুই ম্যাচেই গ্যালারিতে দর্শক পরিপূর্ণ দেখতে চান আয়োজকরা। দুই ম্যাচে দর্শকদের জন্য শাটল সার্ভিস ব্যবস্থা করা হবে বলে জানিয়েছেন ইমরুল হাসান। বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার তিনটি মূল প্রবেশ পথেই স্টেডিয়াম পর্যন্ত শাটল সার্ভিস চালু রাখা হবে। খেলার দিনগুলোতে দর্শকদের আসা যাওয়ার জন্য এই সার্ভিস চালু থাকবে। বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনা বসুন্ধরা কিংসের হোম ভেন্যু। এখানে প্রতি ম্যাচেই গ্যালারি ভর্তি দর্শক থাকে। বাংলাদেশের ম্যাচেও যেন গ্যালারিতে দর্শক উপস্থিতিতে কোনো বিঘ্নন না থাকে তা নিশ্চিত করতে শাটল সার্ভিস চালু করছে বসুন্ধরা। বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনায় বাংলাদেশ-আফগানিস্তানের মধ্যকার ফিফা ফ্রেন্ডলি ম্যাচ দিয়ে স্টেডিয়ামটির আন্তর্জাতিক ম্যাচের অভিষেক হতে যাচ্ছে। আর এ জন্য গ্যালারিতে দর্শক উপস্থিতিতে কোনো বিঘ্ন না থাকে, তা নিশ্চিত করতে শাটল সার্ভিস চালু করছে বসুন্ধরা। সব মিলিয়ে ইতিহাসের দোড়গোড়ায় দাড়িয়ে বসুন্ধরা কিংষ অ্যারেনা। সেখানে আরু উচুঁতে উঠতে যাচ্ছে বাংলাদেশের ফুটবল।
পথরেখা/আসো

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

পথরেখা : আমাদের কথা

আমাদের পোর্টালের নাম— pathorekha.com; পথরোখা একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। আমরা এই প্রতিষ্ঠানকে প্রতিদিনের সত্য-সংবাদের পথরেখা হিসেবে প্রমাণ করতে চাই। পথরেখা সারাদেশের পাঠকদের জন্য সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ এবং মতামত প্রকাশ করবে। পথরোখা নিউজ পোর্টাল হিসেবে ২০২৩ সালের জুন মাসে যাত্রা শুরু করলো। অচিরেই পথরেখা অনলাইন মিডিয়া হিসেবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের প্রক্রিয়া শুরু করবে। পথরোখা  দেশ কমিউনিকেশনস-এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান।
 
পথরোখা জাতীয় সংবাদের উপর তো বটেই এর সঙ্গে রাজনীতি, আন্তর্জাতিক, খেলাধুলা, কৃষি, বিনোদন, অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, তথ্য ও প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন বিভাগকেও গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে। মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিকতা এবং চৌকস ফটোগ্রাফিকে বিশেষ বিবেচনায় রাখে।
 
পথরোখা’র সম্পাদক আরিফ সোহেল এই সেক্টরে একজন খুব পরিচিত ব্যক্তিত্ব। সাংবাদিক হিসেবে তার দীর্ঘ ৩০ বছর কর্মজীবনে তিনি দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকা, আজকের কাগজ, রিপোর্ট২৪ ডটকম প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। এ ছাড়া তিনি সরকারী ক্রীড়া পাক্ষিক ‘ক্রীড়া জগত’ ও লাইফস্টাইল ম্যাগাজিক অপ্সরা নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। তিনি জনপ্রিয় অনলাইন দেশকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
 
পথরেখা দেশের মৌলিক মূল্যবোধ, বিশেষ করে জাতীয় সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। এছাড়াও, এটি দেশের নাগরিকের মানবিক ও নাগরিক অধিকারের পক্ষে কথা বলবে। ন্যায়পরায়ণতা, নির্ভুলতা এবং বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রাখতে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ। আমরা বিশ্বাস করি যে জনগণের বিশ্বাসযোগ্যতা আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। পথরেখা রাজনৈতিক ইস্যুতে নির্দলীয় অবস্থান বজায় রাখবে। একটি নিরপক্ষ অনলাইন হিসেবে আমরা নিজেদের কর্মকাণ্ডে প্রমাণ করার শতভাগ প্রছেষ্টা করব। তবে সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করেও কিছু ভুল হতেই পারে। যা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রাখছি সব মহলেই। সততা পথে অবিচল; আলোর পথে অবিরাম যাত্রায় আমাদের পাশে থাকুন; আমরা থাকব আপনাদের পাশে।
 
উল্লেখ্য, পথরেখা হিসেবে একটি প্রকাশনী দীর্ঘদিন থেকে প্রকাশিত হয়ে আসছে। এবার উদ্যোগ নেওয়া হলো অনলাইন অনলাইন নিউজ পোর্টাল হিসেবে প্রকাশ করার।