• রবিবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৪
    ৬ আশ্বিন ১৪৩১
    ঢাকা সময়: ১১:৩৩

মেসির সামনে আরেকটি শিরোপার হাতছানি

পথরেখা অনলাইন : আর্জেন্টাইন সুপারস্টার লিওনেল মেসি পিএসজি থেকে ইন্টার মায়ামিতে যোগদানের পর প্রথম শিরোপার দেখা পেয়েছেন দিনকয়েক আগে। সেই শিরোপা জিতে খেলোয়াড় হিসেবে সবচেয়ে বেশি শিরোপা জয়ের রেকর্ড গড়েছেন। এবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে দ্বিতীয় শিরোপার হাতছানি দিয়ে ডাকছে। নাটকীয় জয়ে ইউএস ওপেন কাপের ফাইনালে ওঠেছে তার দল। মেসির ছোঁয়ায় বদলে গেছে মেজর লিগ সকারের (এমএলএস) দল ইন্টার মায়ামি।
 
মাঠ কিংবা মাঠের বাইরে, দুই জায়গায়ই ডেভিড বেকহামের দলটাকে একেবারে বদলে দিয়েছেন আর্জেন্টাইন তারকা। এবার বিশ্বকাপজয়ী তারকার ছোঁয়ায় আরেকটি শিরোপার সামনে দাঁড়িয়ে ‘দ্য হেরনস’রা। ইউএস ওপেন কাপের সেমিফাইনালে যুক্তরাষ্ট্রের লিগের সেরা দল সিনসিনাটির মুখোমুখি হয়েছিল মায়ামি। এই ম্যাচে মেসিকে মার্ক করবেন না বলে ম্যাচের আগে জানিয়েছেন সিনসিনাটি কোচ। তবে ম্যাচে পুরোটা সময় তাকে মার্ক করে রেখেছিল প্রতিপক্ষ। কিন্তু লাভ হয়নি। প্রতিপক্ষের কড়া মার্কিংয়ের মধ্যেই যে সুযোগটুকু পেলেন, তাতেই যা করার করে ফেললেন মেসি। একদম মাস্টারস্ট্রোক যাকে বলে।
 
ম্যাচে দুই অ্যাসিস্টে দলকে ম্যাচে তো ফেরালেনই, ফাইনালের মঞ্চেও তুলে দিলেন সাতবারের ব্যালন ডি’অর জয়ী তারকা। তখন যোগ করা সময়ের খেলা চলছে। ২-১ গোলে এগিয়ে সিনসিনাটি। শেষ বাঁশি বাজতে আর সর্বোচ্চ ২ মিনিট বাকি। ঠিক তখনই মাঠের বাঁ প্রান্ত থেকে নিখুঁত ক্রস বাড়ালেন মেসি। বল বাতাসে ভাসছে, চোখ ফেরালেন না মায়ামি ফরোয়ার্ড লিওনার্দো ক্যাম্পানা। শুধু ঠিকঠাক মতো হেডটা করলেন। ব্যস, চোখের পলকে ম্যাচে সমতা। ক্যাম্পানার প্রথম গোলের উৎসও মেসি। মায়ামি তখন ২-০ গোলে পিছিয়ে। ৬৮ মিনিটে ফ্রি কিক পায় মায়ামি। মেসি মাথা খাটিয়ে ফ্রি কিকটা ফেললেন ডি-বক্স বরাবর, একদম ক্যাম্পানার মাথার ওপর! একটু লাফিয়ে বাকি কাজ সারেন ইকুয়েডর ফরোয়ার্ড। যুক্তরাষ্ট্রে যাবার পর বৃহস্পতিবারই প্রথম কোনো ম্যাচে গোলবঞ্চিত থাকলেন মেসি। তবে গোল করাতে ভুললেন না। মায়ামির হয়ে ৮ ম্যাচে মেসির গোল এখন ১০টি। পাশাপাশি করেছেন ৩টি অ্যাসিস্ট। আর মেসির ছোঁয়ায় আরেকটি শিরোপার দিকে ছুটছে মায়ামি।
 
ইউএস ওপেন কাপের ফাইনাল ২৭ সেপ্টেম্বর। অন্য সেমিফাইনালে লড়ছে হিউস্টন ডায়নামো ও রিয়াল সল্ট লেক। এই দুই দলের মধ্যে জয়ী দলের বিপক্ষে ফাইনালে মাঠে নামবে টাটা মার্টিনোর দল। ইউএস ওপেন কাপের সেমিফাইনালে সিনসিনাটির কাছে প্রথম দুই গোলে পিছিয়ে পরেও শেষ পর্যন্ত টাইব্রেকারে জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে মেসির মায়ামি। এই জয়ে ইউএস ওপেন কাপের ফাইনাল নিশ্চিত করল তারা। শেষ পর্যন্ত স্পট কিকে ইউএস ওপেন কাপের ফাইনাল নিশ্চিত করে মায়ামি। এদিন ম্যাচের শুরু থেকে দাপট ছিল সিনসিনাটির। লুসিয়ানো অ্যাকোস্তার ১৮ মিনিটে গোল করে দলকে এগিয়ে নেন, ওই লিড নিয়েই বিরতিতে যায় তারা। এরপর ৫৮ মিনিটে বক্সের বাইরে থেকে করা শটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন ব্রান্ডন ভাসকুয়েজ। দুই গোলে পিছিয়ে পড়া মায়ামির ফেরার শুরুটা হয় ৬৮তম মিনিটে। বক্সের বাঁ প্রান্তে মেসিকে ফাউল করার পর ফ্রি কিক পেয়েছিল তারা। শটও নিতে যান আর্জেন্টাইন জাদুকর। তার বাড়ানো বল লাফিয়ে হেডে জালে জড়ান কাম্পানার।
 
টাইব্রেকারে মায়ামির গোলকিপার ড্রেক ক্যালেন্ডার সিনসিনাটির নিক হ্যাগল্যান্ডের শট রুখে দেন। বেঞ্জামিন ক্রেমাশি এসে গোল করে ৫-৪ ব্যবধানে মায়ামির জয় নিশ্চিত করেন। দলের হয়ে প্রথম শটটি নিয়েছিলেন মেসি, গোল করেছেন তিনি। এই ম্যাচে গোল না পেলেও জোড়া গোল বানিয়ে মায়ামিকে ফাইনালে তুললেন মেসি। এর আগে মেসির কাছ থেকে উপহার পেয়ে হারের দুঃখ ভুলে গেলেন বিপক্ষ ফুটবলার। বিপক্ষ ফুটবলারদের এই খুদে যাদুকর জার্সি উপহার দিয়ে থাকেন প্রায়ই। ক্লাব ফুটবল, আন্তর্জাতিক ফুটবল-সব জায়গাতেই মেসি এমন কাজ করেন। এবার লিগস কাপে বিপক্ষ ফুটবলারকে জার্সি উপহার দিয়েছেন তিনি। লিগস কাপের ফাইনালে রোববার ফাইনালে মুখোমুখি হয়েছিল ন্যাশভিল এসসি-ইন্টার মায়ামি। ক্লাবটির ইতিহাসে প্রথমবার শিরোপা জিতেছে মায়ামি। রুদ্ধশ্বাস ফাইনাল ১-১ গোলে ড্র হলে পেনাল্টিতে ১০-৯ গোলে জেতে মায়ামি। ম্যাচ শেষে ন্যাশভিল ফুটবলার ড্যাক্স ম্যাককার্থিকে জার্সি উপহার দিয়েছেন মেসি। জার্সি উপহার পেয়ে ছবি নিজের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টুইটার অ্যাকাউন্টে পোস্ট করেছেন ম্যাককার্থি। সেখানে মেসিকে নিয়ে ভাললাগার কথা জানিয়েছেন। কেন তিনি বিশ্বসেরা সেটাও বুঝিয়ে দিয়েছেন তার লেখায়।
পথরেখা/আসো

  মন্তব্য করুন
আরও সংবাদ
×

পথরেখা : আমাদের কথা

আমাদের পোর্টালের নাম— pathorekha.com; পথরোখা একটি অনলাইন নিউজ পোর্টাল। আমরা এই প্রতিষ্ঠানকে প্রতিদিনের সত্য-সংবাদের পথরেখা হিসেবে প্রমাণ করতে চাই। পথরেখা সারাদেশের পাঠকদের জন্য সঠিক ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ এবং মতামত প্রকাশ করবে। পথরোখা নিউজ পোর্টাল হিসেবে ২০২৩ সালের জুন মাসে যাত্রা শুরু করলো। অচিরেই পথরেখা অনলাইন মিডিয়া হিসেবে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে নিবন্ধনের প্রক্রিয়া শুরু করবে। পথরোখা  দেশ কমিউনিকেশনস-এর অঙ্গ প্রতিষ্ঠান।
 
পথরোখা জাতীয় সংবাদের উপর তো বটেই এর সঙ্গে রাজনীতি, আন্তর্জাতিক, খেলাধুলা, কৃষি, বিনোদন, অর্থনীতি, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, তথ্য ও প্রযুক্তিসহ বিভিন্ন বিভাগকেও গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে। মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিকতা এবং চৌকস ফটোগ্রাফিকে বিশেষ বিবেচনায় রাখে।
 
পথরোখা’র সম্পাদক আরিফ সোহেল এই সেক্টরে একজন খুব পরিচিত ব্যক্তিত্ব। সাংবাদিক হিসেবে তার দীর্ঘ ৩০ বছর কর্মজীবনে তিনি দৈনিক বাংলাবাজার পত্রিকা, আজকের কাগজ, রিপোর্ট২৪ ডটকম প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। এ ছাড়া তিনি সরকারী ক্রীড়া পাক্ষিক ‘ক্রীড়া জগত’ ও লাইফস্টাইল ম্যাগাজিক অপ্সরা নির্বাহী সম্পাদক হিসেবে দীর্ঘদিন কাজ করেছেন। তিনি জনপ্রিয় অনলাইন দেশকণ্ঠের নির্বাহী সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।
 
পথরেখা দেশের মৌলিক মূল্যবোধ, বিশেষ করে জাতীয় সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ। এছাড়াও, এটি দেশের নাগরিকের মানবিক ও নাগরিক অধিকারের পক্ষে কথা বলবে। ন্যায়পরায়ণতা, নির্ভুলতা এবং বস্তুনিষ্ঠতা বজায় রাখতে আমরা অঙ্গীকারাবদ্ধ। আমরা বিশ্বাস করি যে জনগণের বিশ্বাসযোগ্যতা আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। পথরেখা রাজনৈতিক ইস্যুতে নির্দলীয় অবস্থান বজায় রাখবে। একটি নিরপক্ষ অনলাইন হিসেবে আমরা নিজেদের কর্মকাণ্ডে প্রমাণ করার শতভাগ প্রছেষ্টা করব। তবে সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করেও কিছু ভুল হতেই পারে। যা ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ রাখছি সব মহলেই। সততা পথে অবিচল; আলোর পথে অবিরাম যাত্রায় আমাদের পাশে থাকুন; আমরা থাকব আপনাদের পাশে।
 
উল্লেখ্য, পথরেখা হিসেবে একটি প্রকাশনী দীর্ঘদিন থেকে প্রকাশিত হয়ে আসছে। এবার উদ্যোগ নেওয়া হলো অনলাইন অনলাইন নিউজ পোর্টাল হিসেবে প্রকাশ করার।